হযত উসমান (রা:) এর জিবনী: Biography of Hazrat Uthman (ra)
Автор: মিফতাহুল জান্নাত Miftahul Jannat
Загружено: 2022-03-20
Просмотров: 13
Описание:
হযত উসমান (রা:) এর জিবনী: Biography of Hazrat Uthman (ra)
পূর্ননামঃ উসমান ইবনে আফফান জন্মঃ ৫৭৭ খিস্টাব্দ। পেশাঃ ব্যবসায়ী। উল্লেখযোগ্য পদবীঃ ইসলামের তৃতীয় খলিফা। রাজত্বকালঃ ১১ নভেম্বর ৬৪৪ – ২০ জুন ৬৫৬। পূর্বসূরিঃ হযরত উমর (সাঃ)। উত্তরসূরিঃ হযরত আলী (রাঃ)। মৃত্যুঃ ৬৫৬ খ্রীষ্টাব্দের ২০ জুন। সমাধিস্থলঃ জান্নাতুল বাকীর পিছনে জিউস কবর স্থানে। খোদায়ী বিধানের প্রতি গভীরভাবে অনুরক্ত, দানশীলতায় অগ্রগামী, লজ্জাশীলতায় সর্বকালীন দৃষ্টান্ত, ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত ‘ওসমান ইবনে আফফান’ ৫৭৩ মতান্তরে ৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে (ড. সৈয়দ মাহমুদুল হাসান) মক্কার ঐতিহ্যবাহী কোরাইশ বংশের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ছিলেন মধ্যমাকৃতির অত্যন্ত সুদর্শন। ইবনে আসাকির আব্দুল্লাহ ইবনে হাজাম মাজেনি থেকে একটি বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘হজরত ওসমান অপেক্ষা সুদর্শন কোনো পুরুষ আমি দেখিনি। হজরত ওসমান (রা.)-এর জীবনের প্রাথমিক অবস্থার ইতিহাস খুব সামান্যই সংরক্ষিত আছে। তবে যতটুকু জানা গেছে, জাহিলিয়াতের যুগে জন্ম হলেও জাহিলিয়াতের বীভৎসতা তাঁর চরিত্রকে কলুষিত করতে পারেনি। ইসলাম গ্রহণের আগে তিনি ছিলেন হানিফ ঘরানার লোক। যাঁরা নিজের বিবেকের নির্দেশনায় খারাপ কাজ থেকে বিরত থেকেছেন।
তিনি ছিলেন আরবের মুষ্টিমেয় শিক্ষিত লোকের একজন। তিনি ছিলেন কোরাইশ বংশের অন্যতম কুস্তিবিদ্যা বিশারদ। কোরাইশদের প্রাচীন ইতিহাস বিষয়েও তিনি ছিলেন গভীর জ্ঞানের অধিকারী। বংশীয় আভিজাত্যের ধারায় তিনি ব্যবসায় নিয়োজিত হন। সর্বোচ্চ সততা ও বিশ্বস্ততার দরুন অল্প সময়েই তিনি অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেন। বিপুল ধন-ঐশ্বয্যের কারণে তিনি ‘গনি’ উপাধি লাভ করেন। মমতা, সহনশীলতা, আত্দমর্যাদাবোধ, দান ও লজ্জা ছিল তাঁর মহৎ চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
এছাড়াও তিনি আশারায়ে বাশ্শারা’র একজন এবং সেই ৬ জন সাহাবীর মধ্যে অন্যতম যাদের উপর মুহাম্মদ আমরণ সন্তুষ্ট ছিলেন। এক নজরে হযরত ওসমান (রাঃ) ওসমান (রাঃ) এর পরিবার ও বংশ তিনি কুরাইশ বংশের উমাইয়্যা শাখার সন্তান ছিলেন। তার উর্ধ্ব পুরুষ আবদে মান্নাফে গিয়ে হযরত মুহাম্ম(সাঃ) এর বংশের সাথে মিলিত হয়েছে। তার নানী বায়দা বিনতু আবদিল মুত্তালিব ছিলেন হযরত মুহাম্ম(সাঃ)এর ফুফু। ইসলাম গ্রহণের পর হযরত মুহাম্ম(সাঃ) তার কন্যা রুকাইয়্যার সাথে তার বিয়ে দেন। হিজরী দ্বিতীয় সনে তাবুক যুদ্ধের পরপর মদিনায় রুকাইয়্যা মারা যায়। এরপর নবী তার দ্বিতীয় কন্যা উম্মু কুলসুমের সাথে তার বিয়ে দেন।
এ কারণেই তিনি মুসলিমদের কাছে যুন-নূরাইন বা দুই জ্যোতির অধিকারী হিসেবে খ্যাত। উসমান(রাঃ) এবং রুকাইয়্যা ছিলেন প্রথম হিজরতকারী মুসলিম পরিবার। তারা প্রথম আবিসিনিয়ায় হিজরত করেছিলেন। সেখানে তাদের একটি ছেলে জন্ম নেয় যার নাম রাখা হয় আবদুল্লাহ ইবন উসমান। প্রাথমিক জীবন ও ইসলাম গ্রহনঃ কুরাইশদের প্রাচীন ইতিহাস সম্বন্ধে তার অগাধ জ্ঞান ছিল। ইসলাম গ্রহণের পূর্বেও তার এমন বিশেষ কোন অভ্যাস ছিলনা যা ইসলামী নীতিতে ঘৃণিত। যৌবনেকালে তিনি অন্যান্য অভিজাত কুরাইশদের মত ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসা খাতে তার সাফল্য ছিল ঈর্ষণীয়। মক্কার সমাজে একজন ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন বলেই তার উপাধি হয়েছিল গনী যার অর্ধ ধনী। ইসলাম গ্রহনঃ হজরত ওসমান (রা.) প্রথম পর্যায়ে ইসলাম গ্রহণকারীদের অন্যতম।
হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর উৎসাহে তিনি দ্বীনে ইসলাম গ্রহণ করেন যৌবনে, যখন তাঁর বয়স ত্রিশের কোটায়। তিনি নিজেই বলেছেন, ‘আমি ইসলাম গ্রহণকারী চারজনের মধ্যে চতুর্থ।’ হজরত আবু বকর, হজরত আলী ও জায়েদ বিন হারিসের পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। কোরাইশ বংশের অত্যন্ত সম্মানিত ও বিত্তবান ব্যক্তি হওয়া সত্তে¡ও ইসলাম গ্রহণ করার কারণে তাঁকে কাফিরদের অমানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। তাঁর চাচা ‘হাকাম ইবনে আবিল আস’ তাঁকে রশি দিয়ে বেঁধে বেদম প্রহার করত আর বলত, যতক্ষণ পর্যন্ত মুহাম্মদ (সা.)-এর ধর্ম ত্যাগ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোকে ছাড়া হবে না।
‘সীমাহীন নির্যাতনের পরও তাঁর ইমান একটুও টলেনি। খলিফা মনোনীত হওয়ার ইতিহাস: হযরত ওমর (রা.) যখন ছুরিকাহত হয়ে মৃত্যুশয্যায়, তখন তাঁর কাছে পরবর্তী খলিফা মনোনয়নের দাবি উত্থাপিত হলে তিনি বলেন, তোমাদের সামনে এমন একটি দল রয়েছে, যাদের সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তাঁরা জান্নাতের অধিবাসী। তাঁরা হলেন হযরত আলী, ওসমান, আব্দুর রহমান, সাদ, জুবাইর ও তালহা। তাঁদের যেকোনো একজনকে খলিফা নির্বাচিত করতে হবে। হযরত ওমর (রা.)-এর মৃত্যুকালীন উপরিউক্ত উক্তি থেকে এ কথাই প্রমাণিত হয়, আদর্শের মানদন্ডে উন্নীত রাসুল (সা.)-এর জবানে জান্নাতের বাশারাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাই খিলাফতের যোগ্যতম উত্তরাধিকারী।
অর্থাৎ উপরিউক্ত ব্যক্তিদের আয়ুষ্কাল পর্যন্তই ‘খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুয়্যাহ’ সীমাবদ্ধ। হজরত ওমর (রা,) উল্লিখিত ছয়জনকে নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করে তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়ে বললেন, ‘আমার মৃত্যুর পর তাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজেদের যেকোনো একজনকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে খলিফা মনোনীত করবেন।’ হজরত ওমর (সা.)-এর ইন্তেকাল হলো। বোর্ড সদস্যরা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসলেন, তুমুল তর্ক-বিতর্ক, বাগ্বিতণ্ডা চলল। সময় গড়িয়ে দুই দিন পেরিয়ে গেল। মসজিদে নববি লোকে লোকারণ্য। শেষদিনে আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রা.) বললেন, ‘আমি আমার খিলাফতের দাবি ত্যাগ করছি।
Credits:
Song:- হযত উসমান (রা:) এর জিবনী: Biography of Hazrat Uthman (ra)
Singer & google mix voice
Lyrics:- Biography of Hazrat Uthman (ra)
Label: knowledge publish
ANTI-PIRACY WARNING * This content is Copyright to Miftahul Jannat. Any unauthorized reproduction, redistribution or re-upload is strictly prohibited from this material. Legal action will be taken against those who violate the copyright of the following material presented!
All rights reserved by Miftahul Jannat. This Visual and Audio Element is Copyrighted Content of Miftahul Jannat Any Unauthorized Publishing is Strictly Prohibited
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: