‪@YPSATV‬

Описание: "সেন্টমার্টিনে #YPSA প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপের মেরিন পার্ক হোটেলে ২০০ জন স্থানীয় মানুষ এবং স্কুল ছাত্রদের মধ্যে প্রশিক্ষণটি পরিচালিত হয় এবং পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ সাসটেইনেবল অ্যালায়েন্সের যৌথ উদ্যোগে ফেব্রুয়ারিতে দুই দিনব্যাপী 'ক্লিন-আপ প্রোগ্রাম' সম্পন্ন হয়।

স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে গত দুই মাসে বিপুল পরিমাণ ময়লা-আবর্জনা ও সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক সংগ্রহ করে অপসারণ করা হয়েছে। নদী ও সমুদ্র দূষণ রোধে জাহাজ ঘাট থেকে ২৪১ কেজি প্লাস্টিক ও ৮৭ কেজি পলিথিন সংগ্রহ করা হয়। প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোরের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন থেকে ১৪.৩ মেট্রিক টন এবং কক্সবাজার থেকে ৬৭.৩ মেট্রিক টন প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন। পর্যটকদের ভ্রমণে ৯ মাসের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এ অবস্থায় দ্বীপের পরিবেশ উন্নয়নে মাসব্যাপী পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম চলছে। উদ্দেশ্য দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ও প্লাস্টিক দূষণ কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দৈনিক সর্বোচ্চ ২,০০০ পর্যটকের রাতযাপনের সীমা নির্ধারণ করা হয়। এই সময়ে গড়ে ১,৬৯৪ জন পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণ করেছেন। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে কয়েকটি জাহাজকে সতর্ক করা হয় এবং দুইটি জাহাজকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।সমুদ্র সৈকতের পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তায় বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির অধীনে ১০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ৬ জন লাইফগার্ড সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণের দায়িত্ব আমাদের সকলের। দ্বীপের বাসিন্দাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এ বিষয়ে একযোগে কাজ করবে।

#YPSA-এর সহকারী পরিচালক মোঃ আবদুস সবুরের নির্দেশনায় ওয়াইপিএসএর দশজন মাস্টার প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের সুবিধা প্রদান করেন। প্রশিক্ষণে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের দ্বারা সৃষ্ট পরিবেশগত ঝুঁকি, স্বেচ্ছাসেবকতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্ন অভিযান, পরিবেশ রক্ষায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সমাজের মানুষের ভূমিকা, সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় আইনগত বাধ্যবাধকতা ইত্যাদি বিষয় ছিল। প্রশিক্ষণে টেকনাফ উপজেলার ইউএনও ও পরিবেশ অধিদফতরের ডিডিও ছিলেন।

সরকারের এই উদ্যোগের ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা ও টেকসই পর্যটন উন্নয়নের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।"