আজ ৭ই ডিসেম্বর,এই দিনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-এর উপস্থিতিতে প্রথম বিধবা বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
Автор: বাংলা ও বাঙালি Bangla O Bangali
Загружено: 2021-12-07
Просмотров: 224
Описание:
নিজের শিশুকন্যার বালবৈধব্য ঘোচাতে রাজা রাজবল্লভ অনেক কাল আগে বিধবাবিবাহ প্রচলনে উদ্যোগী হয়েছিলেন, কিন্তু নবদ্বীপের পণ্ডিতসমাজের বিরোধিতায় তা বানচাল হয়ে যায়।
রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ১৮৫৬ সালের ৭ ডিসেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-এর উপস্থিতিতে প্রথম বিধবা বিবাহের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
হিন্দুদের মধ্যে কোনো বিয়ে অবৈধ নয় এবং এই ধরনের বিবাহও অবৈধ হবে না, যদি পূর্বে বিবাহিত বা বিয়ের পড়ে স্বামী মারা যাওয়ায় কোনো নারী বিয়ে করতে পারে।
সমস্ত অধিকার এবং স্বার্থসহ যে কোনো বিধবা তার মৃত স্বামীর সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে, বা তার স্বামী বা তার উত্তরাধিকারীদের উত্তরাধিকার দ্বারা, অথবা এর যেকোনো ইচ্ছার বা নিয়মানুবর্তিতার ভিত্তির উপর নির্ভর করে, অনুমতি ব্যতীত পুনরায় বিবাহ করা, এই ধরনের সম্পত্তি সীমিত মুনাফা, পুনর্বিবাহের অবসান ঘটবে বা স্বামী মারা গেছে কিনা তা যাচাই করা।
সতীদাহ প্রথা মূলত হিন্দু ধর্মের কোনো মৌলিক বিধান নয়; পৌরাণিক কাহিনি থেকেই এর সূত্রপাত। কথিত আছে দক্ষ রাজার কন্যা শিবের স্ত্রী সতী ,স্বামীর সাথে জ্বলন্ত চিতায় আত্মাহুতি দেন। আর তখন থেকেই মূলত হিন্দু ধর্মে এই অপসংস্কৃতির অনুপ্রবেশ। বিদ্যাসাগর প্রাথমিক ভাবে কেন বিধবা বিবাহ নিয়ে এগিয়ে আসেন তা নিয়ে উনিশ শতকে তার দুই জীবনীকার বিহারীলাল সরকার এবং চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষ্য আলাদা। তার ছোট ভাই শম্ভুচন্দ্র বিদ্যারত্নের বক্তব্যটিই অনেকে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে করেন (‘বিদ্যাসাগর-জীবনচরিত ও ভ্রমনিরাস’)। চণ্ডীচরণের মতে, সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক শম্ভুচন্দ্র বাচস্পতির বালিকাবধূর অকালবৈধব্য বিদ্যাসাগরকে এই ‘মহৎ কর্মে ব্রতী’ হওয়ার জন্য প্রাণিত করে। বিহারীলাল লিখেছেন, বীরসিংহে বিদ্যাসাগরের এক বাল্যসহচরী ছিল। সে অকালে বিধবা হয়। এক দিন তিনি শুনলেন একাদশী বলে মেয়েটি সারা দিন খায়নি। আর শুনে তিনি কেঁদেই ফেললেন। তবে এই দুটো ঘটনাই তার ছাত্রজীবনে ঘটা। আর শম্ভুচন্দ্র যা বলছেন তা তার কর্মজীবনের শেষ দিকের। ঘটনা এ রকম যে, এক দিন বিদ্যাসাগর বাড়ির চণ্ডীমণ্ডপে বসে বাবার সঙ্গে স্থানীয় বিদ্যালয়গুলোর অবস্থা সম্পর্কে যখন আলোচনা করছেন, তখনই তার মা ‘রোদন করিতে করিতে’ সেখানে এসে ‘একটি বালিকার বৈধব্য-সংঘটনের উল্লেখ করত,’ তাকে বললেন ‘তুই এত দিন যে শাস্ত্র পড়িলি, তাহাতে বিধবাদের কোনও উপায় আছে কিনা?’ তার বাবাও তখন জানতে চাইলেন, ধর্মশাস্ত্রে বিধবাদের প্রতি শাস্ত্রকারেরা কী কী ব্যবস্থা করেছেন? এর পরই নাকি ‘শাস্ত্র-সমুদ্র মন্থন’ করে তিনি লিখলেন ‘বিধবাবিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কিনা’ শীর্ষক প্রবন্ধটি, যা ১৮৫৪-র ফেব্রুয়ারিতে ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’-য় প্রকাশিত হয়। ১৮৫৫-র জানুয়ারিতে প্রকাশিত হল তার ‘বিধবাবিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব।’ এর পরই সৃষ্টি হল প্রবল আলোড়ন। শেষে ১৮৫৬-র ২৬ জুলাই অনুমোদিত হল বিধবাবিবাহ আইন।
music: Wet Dreams ( Rainy Day )
#bangali #banglaobangali #lovebanglaobangali
#vidyasagar Bangla O Bangali
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: