"শব্দের গভীরে যে কবি খুঁজেছেন নীরবতার মানে- জীবনানন্দ"
Автор: TRAVO NEWS BANGLA
Загружено: 2025-07-02
Просмотров: 123
Описание:
শেষবার তার সাথে যখন হয়েছে দেখা মাঠের উপরে বলিলাম: 'একদিন এমনসময়
আবার আসিয়ো তুমি,আসিবার ইচ্ছা যদি হয়!-পঁচিশ বছর পরে!
বাংলা সাহিত্যের এক নিঃসঙ্গ অথচ প্রগাঢ়তম কণ্ঠস্বর- জীবনানন্দ দাশ।
তাঁর কবিতা যেন গোধূলির আলোয় ভেজা বৃষ্টির শব্দ, যেখানে শহরের কোলাহল পেরিয়ে, আমরা পৌঁছে যাই নিসর্গ, নিঃশব্দ আর আত্মসমীক্ষার জগতে।
১৮৯৯ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্ম তাঁর। বাবা ছিলেন ব্রজমোহন দাশ, সাহিত্যপ্রেমী সমাজসেবক। মা কুসুমকুমারী দাশ নিজেও কবিতা লিখতেন। বলা যায়, শব্দ আর ছন্দ ছিল তাঁর রক্তে।
জীবনানন্দ প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করেন। পেশায় ছিলেন অধ্যাপক, কখনও কলকাতায়, কখনও বরিশালে। কিন্তু তাঁর আসল সত্তা লুকিয়ে ছিল কাগজ আর কলমের ভেতরে।
তাঁর প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় ‘ব্রাহ্মবাণী’ পত্রিকায়।
১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম কাব্যগ্রন্থ- ‘ঝরা পালক’।
কিন্তু তাঁর আসল জনপ্রিয়তা আসে পরে- যখন প্রকাশ পায় সেই অমর কবিতা,
“বনলতা সেন”, যেখানে দু’চোখের আরামে এক ক্লান্ত যাত্রা খুঁজে পায় আশ্রয়।
তাঁর অন্যান্য বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে আছে- ‘রূপসী বাংলা’, ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’, ‘বেলা অবেলা কালবেলা’।
জীবনানন্দ দাশ ছিলেন আধুনিকতাবাদের পথপ্রদর্শক, কিন্তু কখনোই সরাসরি উচ্চারণ করেননি বিদ্রোহ।
তাঁর ভাষা ছিল মৃদু, কিন্তু গভীর
জানেন কি? জীবনানন্দ দাশ তাঁর জীবনকালে প্রায় অবহেলিত ছিলেন। তাঁর অনেক কবিতা প্রকাশিতই হয়নি।
মৃত্যুর পরে তাঁর ডায়েরি, খাতা, পাণ্ডুলিপি থেকে উদ্ধার হয়েছে বহু অমূল্য কবিতা ও গদ্য।
তাঁর লেখা প্রথম উপন্যাস ‘মাল্যবান’ এবং গদ্য ‘কবিতার কথা’ আজ সাহিত্যের ঐশ্বর্য।
১৯৫৪ সালের ২২শে অক্টোবর, কলকাতায় এক ট্রাম দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বহুদিন অবহেলিত থাকা এই কবিকে বাংলা আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।
কারণ জীবনানন্দ দাশ কেবল একজন কবি নন,
তিনি নিঃশব্দে লেখা এক দীর্ঘ আত্মজীবনী- বাংলা কবিতার অন্তরতম স্তরে গাঁথা।
তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমার এই নিবেদন
হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের ’পর
হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।
সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন
সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রং নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;
সব পাখি ঘরে আসে- সব নদী- ফুরায় এ জীবনের সব লেনদেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: