সাধনার গোপন রহস্য – অন্তরে জাগিছ মা অন্তর্যামিনী — স্বামী সুজ্ঞানানন্দ মহারাজ
Автор: Avijit Pal
Загружено: 2021-02-02
Просмотров: 174
Описание: আমরা সকলেই ঈশ্বরকে প্রথমে বাইরে খুঁজি। একটি ঘটে, একটি পটে বা মূর্তিতে তাঁকে চেনার চেষ্টা করি। তার মধ্য দিয়েই আমাদের চেতনায় ঈশ্বরের একটি অবয়ব আমরা ধারণা করি। ধীরে ধীরে সেই বাহ্য চেতনা আমাদের অন্তরে জাগ্রত হয়। শ্রীরামকৃষ্ণের সাধনপদ্ধতি ঠিক এমন। প্রথম জীবনে তিনি বিভিন্ন দেবতার মূর্তি করলেন, তাঁদের পূজা করলেন। হৃদয়ে ধারণ করলেন সেই দেবতাদের। ঠাকুরের দক্ষিণেশ্বর জীবনে আমরা দেখতে পাই তিনি ভবতারিণী কালীর মৃন্ময়ী প্রতিমাকে প্রথমে ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে তুলছেন, তাঁকে চেতনার রূপে অনুভব করছেন। এরপর অনায়াসে তিনি দেবী কালী দর্শন লাভ করছেন শুধুমাত্র তীব্র ব্যাকুলতাকে অবলম্বন করে। তখনও #শ্রীরামকৃষ্ণ তন্ত্র মতে আধ্যাত্মিক সাধনা করেননি। শুধুমাত্র ভক্তি দিয়েই তিনি মা কালীর সাক্ষাৎ দেখা পেয়েছিলেন। শুধু দর্শন পাওয়া নয় শ্রীরামকৃষ্ণ মা কালীকে তাঁর নিত্য সহচর করে তুলেছিলেন। তিনি যেখানে যেখানে যাচ্ছেন, সেখানে সেখানে তিনি মাকেও পাচ্ছেন। সর্বত্র মা মা করে বেড়াচ্ছেন। সর্বভূতে মাকে দেখছেন। চণ্ডীতে রয়েছে, যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা। এই অনুভব ততক্ষণ হয় না, যতক্ষণ অন্তর দিয়ে সর্বভূতে মাকে দেখা না যায়। আমরা কথায় কথায় বলি প্রত্যেকের মধ্যে ঈশ্বর রয়েছেন কিন্তু সব ক্ষেত্রে তা মেনে চলতে পারি না। কারণ আমাদের অনুভব সেই স্তরে পৌঁছায়নি। রামকৃষ্ণের অনুভব সেই স্তরকে স্পর্শ করেছিল। তিনি সকলের মধ্যে তাঁর আত্মার আত্মিক মা #ভবতারিণীকে দেখেছিলেন। #দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে ভবতারিণী কালী দর্শন পাওয়ার পরেও শ্রীরামকৃষ্ণ একাধিকবার কামারপুকুর গিয়েছেন, মথুরবাবুর সঙ্গে উত্তর ভারতে তীর্থ দর্শনে গিয়েছেন, পরবর্তী সময়ে তিনি যখন কঠিন রোগে অসুস্থ হলেন তখন কলকাতার শ্যামপুকুর বাটি ও কাশীপুরে তিনি দীর্ঘদিন থেকেছেন। এই সময় কি শ্রীরামকৃষ্ণ একবারের জন্যও দেবী কালীর থেকে বিচ্যুত হয়েছিলেন? উত্তরটি হলো, না। শ্রীরামকৃষ্ণযেখানে গিয়েছেন সেখানেই তিনি অন্তরে তাঁর আরাধ্য দেবীকে বহন করেছেন। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও দক্ষিণেশ্বরের কালীর একটি চিত্রপট পর্যন্ত তিনি নিজের সঙ্গে সব জায়গায় বহন করেননি। তিনি দেবীকে বহন করেছিলেন নিজের হৃদয়ে। তাঁর হৃদয়কমল আলো করে বসেছিলেন ভগবতী কালী। বাহ্য আয়োজনে তাঁর কি দরকার? শ্রীরামকৃষ্ণ এক্ষেত্রে আমাদের কাছে আদর্শ। আরাধ্য দেবতাবা ইষ্টকে হৃদয়ে ধারণ করতে হয়, তাঁকে হৃদয়ের ভেতরেই পেতে হয়। শ্রীরামকৃষ্ণের শিষ্যরা কঠোর সাধনা করলেও নিজেদের শরীরকে কখনও অযত্ন করেননি, কারণ তাঁরা পার্থিব শরীরকে শ্রীরামকৃষ্ণের কাজে অর্পণ করেছিলেন। তাঁদের চেতনায় তাঁদের শরীর হয়ে উঠেছিল শ্রীরামকৃষ্ণেরই শরীর। অন্তরে ইষ্টকে বসালে বা ইষ্টকে খুঁজে পেলে মানুষের শরীর আর মানুষের নিজের থাকে? ইষ্টের সেবক, ইষ্টে মিলে যায়। শাস্ত্রে আছে, সোঽংস। অর্থাৎ, আমিই সেই। অন্তরে ঈশ্বরকে বসাতে পারলেই এই অবস্থায় পৌঁছানো যায় তখন ঈশ্বরের আর ভক্তে কোনো ভেদাভেদ থাকে না। ঠাকুরের জীবনেও দেখা যায়, তিনি কালীরূপে কার্তিকের কালীপূজার দিনে তাঁর শিষ্যদের কাছে পূজা গ্রহণ করেছেন। শ্রীমায়ের জীবনে দেখা যায়, তিনি ঠাকুরের আবেশে একাধিকবার আত্মস্থ হয়েছেন। স্বামীজি ও ঠাকুরের অন্যান্য শিষ্যরা বহুবার বলেছেন তাঁদের শরীর শ্রীরামকৃষ্ণ চালাচ্ছেন। ভগিনী নিবেদিতা বলেছেন, স্বামীজীর শক্তিই তাঁর মধ্য দিয়ে কাজ করে চলেছে। এঁরা প্রত্যেকেই নিজের অন্তরে তাঁদের আরাধ্য দেবতার দর্শন পেয়েছিলেন। এটি একটি রীতি। আরও ভালো করে বলা চলে এটি একটি সাধন পদ্ধতি। অন্তর যেদিন আলোময় হয় সর্বভূতে ব্রহ্ম দর্শন হয়ে যায়। নিরন্তর সাধনার মধ্য দিয়ে আমরা প্রত্যেকেই সেই স্তরে পৌঁছতে পারি।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: