বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে কিছু কথা!
Автор: Voice of Sydney
Загружено: 2025-11-30
Просмотров: 50
Описание:
গত কয়েকদিন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে সারা দেশের মানুষ—দলীয় নেতাকর্মী ও সহানুভূতিশীল জনতা—চরম উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন। দল-মত নির্বিশেষে শত শত নেতাকর্মী হাসপাতালে ছুটে গেছেন, যদিও জানেন যে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করার সুযোগ নেই। তবুও মানুষের মনে যে ব্যাকুলতা, তা বিশেষভাবে লক্ষ্য করা গেছে। সবাই তাঁর আশু রোগমুক্তির জন্য দোয়া করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণ বিশেষ সভা করে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করেছেন। এমন মানবিক ও করুণ পরিস্থিতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁর মায়ের পাশে থাকতে না পারায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার মুখে পড়েছেন। গতকাল তারেক রহমান এক আবেগঘন ফেসবুক পোস্টে মায়ের পাশে থাকতে না পারার কষ্ট এবং এর পেছনে তাঁর “একক সিদ্ধান্তের অক্ষমতা”র ইঙ্গিত দিয়েছেন। এসব বিষয় মিডিয়ার কল্যাণে কমবেশি সবাই জানেন।
যদিও তারেক রহমান সরাসরি কোনো গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেননি, তবে বোঝা কারো জন্যই কঠিন ছিল না। বাজারে গুঞ্জন আছে—তিনি ৫ই আগস্টের বিপ্লব-পরবর্তী বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু একটি মাত্র গোষ্ঠীর বাধার মুখে পড়েছেন—সেটা হল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বিভিন্ন সময়ে বহু সেনা কর্মকর্তা ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলে তারেক রহমান সম্পর্কে তাদের মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচক মনোভাব লক্ষ্য করেছি।
তবে একই সাথে সেনাবাহিনীর সর্বস্তরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং খালেদা জিয়ার প্রতি আস্থার কথা বলতেও শুনেছি। তাই জানতে চেয়েছি—তারেক রহমানের প্রতি এই নেতিবাচক ধারণার কারণ কী?
তাদের বক্তব্য থেকে যতটুকু বোঝা যায়—বিএনপির শাসনামলে তারেক রহমান নাকি সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি কিছুটা ঔদ্ধত্য, অবজ্ঞা কিংবা অশ্রদ্ধা দেখিয়েছিলেন। তবে এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ বা তথ্য তারা কখনোই দেখাতে পারেননি।
আরেক অভিযোগ—তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং তাদের পরিচালিত “খাম্বা লিমিটেড” নাকি ব্যাপক দুর্নীতির সাথে যুক্ত ছিল। এ বিষয় নিয়ে ফ্রান্সপ্রবাসী জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার পিনাকি ভট্টাচার্য তথ্যভিত্তিক আলোচনা করেছেন। অনলাইন খুঁজলে আরও বহু তথ্যসূত্র পাওয়া যায়।
এবার আসি মূল প্রসঙ্গে—বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ: “দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী”।
২০০৭–২০০৯ সালে ফখরুদ্দিন–মইনুদ্দিনের ষড়যন্ত্রে নির্মিত আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই বিডিআর বিদ্রোহে সেনাবাহিনীর ৫৭ জন কর্মকর্তা নির্মম হত্যার শিকার হন। গত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগের দুঃশাসন—দুর্নীতি, খুন-গুম, লুটপাট, প্রশাসনকে দলীয়করণ, আইনশৃঙ্খলা ধ্বংস, ব্যাংক লুট, অগণিত অর্থ পাচার, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা—সবকিছুই এই “দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর” সামনেই ঘটেছে।
এমনকি বিনা ভোটের নির্বাচন, রাতের ভোট, প্রশাসন দিয়ে নির্বাচন ডাকাতি—সবই এই সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তার সহযোগিতায় শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করেছেন।
আর সাম্প্রতিক ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী নিহতদের প্রায় ৭০ শতাংশ সেনাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে সেনাসদস্যদের তীব্র চাপ ও সম্ভাব্য বিদ্রোহের আশঙ্কায় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান ঘোষণা দেন—সেনাবাহিনী আর জনতার ওপর গুলি চালাবে না।
সেনাবাহিনীর বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন—
কোন যুক্তিতে আপনারা দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা বাধাগ্রস্ত করছেন? ৫ই আগস্ট বিপ্লব-পরবর্তী বাস্তবতায় কেন এখনও বাধা?
ভাই, আপনারা যারা নিজেদের “দেশপ্রেমিক” ভাবেন—১৯৭১ সালের পরে আজ পর্যন্ত দেশের অগ্রগতিতে আপনাদের সত্যিকারের ভূমিকা কী? কোন যুদ্ধে দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন? জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুনাম অর্জনের পাশাপাশি যে ডলার উপার্জন করেন—তাতে আপনাদের অর্থনৈতিক লাভই বেশি। বিদেশে থেকেও দেশের বেতন পান, আবার ইউএন মিশনের ডলারও পান। ব্যারাকে থাকেন, লেফট-রাইট করেন, এবং এই দরিদ্র দেশের রাজস্ব দিয়ে ভর্তুকিযুক্ত খাবার, বাসস্থান, রেশন—সব সুবিধা ভোগ করেন। দেশের জন্য বিনিময়ে কী দিয়েছেন?
সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে সদস্যদের অপকর্মের দায় সেনাবাহিনীকে নিতে হবে। আপনারা শুরু করেছিলেন ১৯৭৫ সালে—শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এরপর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা—এটাও সেনাবাহিনীর ভেতরের গোষ্ঠীর অপকর্ম।
পরবর্তী দীর্ঘ বছর—জেনারেল এরশাদের স্বৈরাচার থেকে শুরু করে ১/১১—সবসময় রাজনীতির ওপর সেনা হস্তক্ষেপ ঘটেছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, মানুষ হত্যা, ক্রসফায়ার—সবই জনগণ দেখেছে। সেনাবাহিনী ভুলে যায় যে “আর্মি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন” আর “পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন” এক জিনিস নয়।
বিশ্বের কোথাও সেনাশাসনে দেশ সত্যিকারের উন্নতি করেনি—আপনারা একটি উদাহরণ দেখাতে পারবেন না।
নিজ দেশের ভেতরেই ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত—সেটাও আপনারা ঠেকাতে ব্যর্থ হন। লজ্জা করে না?
আপনাদের প্রতি আহ্বান—
এই বদমাইশি বন্ধ করুন। নিজেদেরকে আইনস্টাইনের নাতি ভাবার ভ্রম মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। হাঁটু দিয়ে রাষ্ট্র চালানো যায় না—যদি যেত, পৃথিবীর সব দেশই সেনাবাহিনী দিয়ে চলতো।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য বেগম খালেদা জিয়ার অবদান অস্বীকার করার নয়। তাই তাঁর অসুস্থতায় পুরো দেশ থমকে যায়। এমন মানবিক পরিস্থিতিতে তাঁর একমাত্র সন্তান মায়ের পাশে থাকবে—এটা স্বাভাবিক, মানবিক এবং নৈতিক অধিকার। দয়া করে কোনো বিদেশী প্রভুর খুশি করতে মানবিকতা, স্বাভাবিকতা ও রাজনৈতিক বাস্তবতাকে বাধাগ্রস্ত করবেন না।
বাংলাদেশের জনগণ জানে কাঁটা উপড়ে ফেলে সামনে এগোতে হয়। প্রয়োজনে অকৃতজ্ঞ সেই কাঁটাকেই উপড়ে ফেলে দেবে। মনে রাখবেন—ঐক্যবদ্ধ জনতার শক্তির সামনে কামান, বন্দুক, ট্যাংক, বোমারু বিমান—সবই তুচ্ছ।
আপনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: