আমি আর ফিরতে চাই না আমার অন্ধকার অতীতে!! ||Deen Content 360.

Описание: 💬 হেদায়েত হুট করে পাওয়া কোন একদিনের বিষয় নয়!! হেদায়েতের জন্য আয়োজন করতে হয় বিশাল আয়োজন!!
১) নফসের বিরুদ্ধে গিয়ে হারাম সম্পর্ক ছেড়ে দেওয়ার! চরিত্র হেফাজত করতে শেখার এবং পরিপূর্ণভাবে পর্দা মেইনটেন করার আয়োজন করতে হয়! ঘরে বাইরে সব জায়গায় পর্দা নিশ্চিত করার আয়োজন করতে হয়! (এই জন্য আবার অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়/অনেক অপমানের শিকার হতে হয়/অনেক মানসিক আঘাত সহ্য করতে হয়!)
😥😥😥

২. সময়মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার আয়োজন করতে হয়! দান-সদকা করার আয়োজন করতে হয়! জিকির আজকার করার বেশি বেশি ইস্তেগফার করার আয়োজন করতে হয়!

৩. রমজানের ফরজ রোজা রাখার আয়োজন করতে হয়! পারলে সোমবার ও বৃহস্পতিবার এ নফল রোজা রাখার আয়োজন করতে হয়!

৪. মিথ্যা বলা পরিহার /গীবত পরনিন্দা পরিহার/ঝগড়া করার বাজে অভ্যাস পরিহার/কাউকে আঘাত দিয়ে কথা বলার অভ্যাস পরিহার করার আয়োজন করতে!! সবার সাথে বিনয়ী আচরণ করার আয়োজন করতে! সবার সাথে উত্তম আচরণ করতে! আমার হক আদায় করতে! অনেক বড় আয়োজন করতে হয়!!(আমাদের মানুষের সাথে তালে তাল মিলিয়ে চলা বন্ধ করে দিতে হয়! সমাজের মানুষের উশৃংখল চলাফেরা গুলো বর্জন করতে হয়! সমাজের মানুষের ভালো কাজগুলোতে একে অপরকে সহযোগিতা করতে হয়! যেটা সহ্য করার ক্ষমতা সবার থাকে না!)

৫. আল্লাহর উপর দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস ও ভরসা রাখতে হয়, শিরক মুক্ত আকীদা পোষণ করতে হয়! প্রকৃত মুমিন হওয়ার জন্য নিজের নফসের চেয়েও রাসূল সাঃ কে ভালোবাসতে হয় রাসূল সাঃ এর সুন্নাহ অনুসরণ করার মাধ্যমে! রাসূলের সুন্নাহ চর্চা করার মাধ্যমে!

৬. কাউকে ভালবাসলে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য ভালবাসতে হয়! ঘৃণা করলে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করতে হয়! কারো হক আদায় করলে , কারো কোন উপকার করলে প্রতিদান শুধু আল্লাহর কাছেই পাওয়ার আশা করতে হয়! এই আয়োজন গুলো করতে হয়!

ব্যাস এভাবেই কেটে যাবে কয়েকটা দিন।
নফস এবং শয়তান দুইটাই একটু একটু করে
হেরে যেতে থাকবে। আরাম কাজগুলো বিসর্জন দেওয়ার পর ইবাদত করার অনেক আগ্রহ জাগবে।

১. সালাত আদায় করে অনেক মনোযোগী হবেন।
২. কোরআন তেলাওয়াত করা কোরআনের হক আদায় সম্পর্কে অনেক সচেতন হবেন। কোরআনের সাথে আপনার অনেক ভালো সম্পর্ক হয়ে যাবে।
দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানার জন্য অনেক আগ্রহ কাজ করবে, অনেক বই ঘাটাঘাটি করবেন সঠিকটা জানার জন্য!
৩. হারামে জড়াতে ভয় কাজ করবে। গা শিউরে উঠবে! প্রকাশে গোপনে সব জায়গায় আল্লাহকে ভয় করার চেষ্টা করবেন এর মধ্য দিয়ে আপনি থাকো অর্জন করবেন। অনেক ধৈর্যশীল হবেন!

👆এরকমটা হবে কেন বলুন তো???

কারণ আপনি তো প্রথম ধাপে ধীরে ধীরে হারাম কাজগুলো বর্জন কে করে /আরাম কাজগুলোকে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে তারপর আল্লাহর দিকে সুন্দর করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন!
তাই স্বয়ং মহান আল্লাহ তায়ালা আপনার দিকে
দ্রুত গতিতে এগিয়ে এসেছেন আপনার প্রচেষ্টা
দেখে আপনাকে সাহায্য করতে এসেছেন!

তাই শুধু হেদায়েত এর অপেক্ষা করে নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকলে হবে না , চেষ্টা করতে হবে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। নফসের বিরুদ্ধে লড়াই করার চেষ্টা করতে হবে। যে বান্দা আল্লাহর দিকে হেঁটে হেঁটে যায় আল্লাহ তাআলা ঐ বান্দার দিকে দৌড়ে দৌড়ে যায়।
সুবহানাল্লাহ!

আল্লাহ তাআলা কুরআনের সূরা আনকাবুত
এর শেষ আয়াতে বলেন ,
" যারা আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা করে , আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথে পরিচালিত করব। নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎ কর্মপরায়ণদের সাথে আছেন।
(আয়াত-৬৯) 🤍🤍🤍