ছাত্র-জনতার ক্ষোভের আগুুনে পুুররছেে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি , সরাসররি
Автор: এই সময় টিভি
Загружено: 2025-02-05
Просмотров: 557
Описание:
ছাত্র-জনব্যাপক ভাঙচুরের পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বাড়িতে আগুন
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসার সামনে এসে জড়ো হতে শুরু করেন ছাত্র-জনতা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনতার ভিড়ও বাড়তে থাকে।
এ সময় উপস্থিত ছাত্র-জনতাকে ‘জনে জনে খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘জনে জনে খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ (বুধবার) রাত ৮টার দিকে বাড়িটিতে প্রবেশ করেন তারা। এরপর বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা। একই সঙ্গে প্রবেশমুখে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে সরেজমিনে দেখা যায়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ব্যাপক ভাঙচুর চালাচ্ছে ছাত্র-জনতা। অনেকেই বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এককথায় পুরো বিল্ডিংয়ের অবকাঠামো ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া দ্বিতীয় তলার একাংশে দেওয়া হয়েছে আগুন। যদিও এর আগে ৫ আগস্ট ৩২ নম্বরের এই বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছিল।
–
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আজকে ছাত্রলীগের ব্যানারে জাতির সামনে ভাষণ দেবে। যে আমাদের ভাইদের গুলি করে দেশ থেকে পালিয়েছে, সে কী করে কর্মসূচি ঘোষণা করে। আমরা এ দেশে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার কোনো অস্তিত্ব রাখব না।’
‘যারা ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল সেসব ফ্যাসিবাদীদের কোনো চিহ্ন বাংলাদেশের মাটিতে রাখতে চাই না। অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে তার শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’
এর আগে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল অধিবেশনে যোগদানের ঘোষণা দেন। এর প্রতিবাদে বুধবার রাত ৯টার দিকে ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স।
এ ছাড়া সন্ধ্যায় ‘ছাত্র-জনতা আন্দোলন’ নামে ফেসবুকে বিভিন্ন পেজে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে পোস্ট করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পাশাপাশি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ খবর পাওয়ার পরপরই বিকেলে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছিল উত্তেজিত জনতা।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে হাজারো ছাত্র-জনতা, মিছিলের স্রোত
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাত ৯টায় জড়ো হওয়ার কথা থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকেই ছাত্র-জনতার ঢল নেমেছে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে। এমনকি শেখ হাসিনার পৈত্রিক নিবাস ভাঙার কাজ শুরু হয়ে যায় রাত ৮টা থেকেই। এসময় ভাঙচুরের ঠাসঠুস শব্দের পাশাপাশি মুহুর্মুহু স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো ৩২ নম্বরের আশপাশের এলাকা
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ এলাকায় সরেজমিনে এই চিত্র দেখা গেছে। এমনিক রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারও ছাত্র-জনতার মিছিল আসতে দেখা যায়।
সন্ধ্যার আগে থেকেই ছাত্র-জনতা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের আশপাশে জড়ো হতে থাকে। পরে রাত ৮টার দিকে তাদের ঢল নামে। এসময়ই কেউ কেউ হাতে থাকা লাঠিসোঁটা ও হাতুড়ি দিয়ে ভাঙচুর শুরু করে দেয়। এমনকি এসময় ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো; দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা; অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন, শেখ হাসিনার বিচার চাই, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, ফ্যাসিবাদের আস্তানা’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
স্বৈরাচারের আঁতুড়ঘর ভেঙে দিতে সন্ধ্যার পরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে আমরা এখানে এসেছি। এসে দেখি আমাদের আগে আরও লোকজন এসে বসে আছে। আমরা চাই না বাংলাদেশে খুনি হাসিনার কোনো অস্তিত্ব থাকুক। আমরা আজকে তার বাড়ি ভেঙে ফেলার মাধ্যমে চিরতরে দেশে আসার স্বপ্ন শেষ করে দেব।
শেখ হাসিনা কিছুদিন আগেই বাংলাদেশে একটা গণহত্যা চালিয়েছে। এই ঘটনায় সে ও তার দলের কর্মীরা বিন্দু পরিমাণও লজ্জিত নয়। সে এখনও ছাত্র-জনতাকে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ভারতে পালিয়ে থেকে একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। তার প্রতি দরদ দেখানো মানে চব্বিশের শহীদের সঙ্গে গাদ্দারি করা।
যারা ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল সেসব ফ্যাসিবাদীদের কোনো চিহ্ন বাংলাদেশের মাটিতে রাখতে চাই না। অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে তার শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
ভাঙচুর প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘এটা এই প্রজন্মের ক্ষোভ। ব্যাপকে বিক্রি করে মানুষকে গুম-খুন করার ক্ষোভ। চোখের সামনে তাদের ভাই-বোনদের রক্ত ঝরানোর ক্ষোভ। এটা যেকোন স্বৈরাচারের ও অত্যাচারীর জন্যে বড় শিক্ষা হয়ে থাকবে। যদিও কেউ-ই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না
তার ক্ষোভের আগুুনে পুুররছেে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি , সরাসররি #এই_সময়_টিভি
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: