নীলপুকুরের জাদু ও পরীদের রাজ্য 😱 | Love Story Golpo |
Автор: MAX STORY
Загружено: 2025-12-11
Просмотров: 494
Описание:
🎬 ABOUT THIS VIDEO:
একসময় আকাশের অনেক ওপরে ছিল এক অপূর্ব জাদুর দেশ—
নীলপাখি পরীদের রাজ্য।
এই রাজ্যের পরীদের ডানা ছিল সমুদ্রের মতো নীল, আর হাসিতে ঝরে পড়ত তারা-ধুলো।
রাজ্যের নিয়ম ছিল পরিষ্কার—।রাজ্যটা যেন আলোয় ঝকঝক করত।
“পৃথিবীর মানুষ কখনো আমাদের দেখবে না।”
কিন্তু প্রতি পূর্ণিমার রাতে পরীরা আকাশের নীল দরজা খুলে পৃথিবীতে নেমে আসত।
তাদের প্রিয় জায়গা ছিল এক সুন্দর শান্ত পুকুর—
নীলপুকুর।পুকুরের চারপাশে জোনাকিরা যেন সবুজ সোনার ছিটে ছড়িয়ে উড়তো, আর নানা রঙের আলোর ঝলক জলে ঝরে পড়তো।
পানিটা ছিল কাঁচের মতো স্বচ্ছ, চারদিকে নরম কুয়াশা।
এক রাতে, তিন পরী—লীলি, নূরা আর মিশা—পৃথিবীতে নেমে এল।তাদের গায়ে আলো ঝলমল করছিল।
তারা হাসতে হাসতে পুকুরে ডানা নামিয়ে পানি ছিটাতে লাগল, চুল ভিজালো, আকাশের আলো পানিতে পড়ে নীল ঝিলমিল তৈরি হলো।দূর থেকেই তারা এত সুন্দর দেখাচ্ছিল, যেন স্বপ্নের কোনো প্রতিচ্ছবি।
দৃশ্যটা পুরো জাদুর মতো।
কিন্তু সেই সময় পুকুরের পাশেই গাছতলায় বসে ছিল এক ছেলে—আরিয়ান।
সে আঁকতে ভালোবাসত।
হঠাৎ সে দেখল পুকুরের ওপর সাত রঙের আলো।
চোখ মুছতে না মুছতেই চোখের সামনে তিন পরী। পরীরা হঠাৎ করেই আরিয়ানকে দেখে ফেলল।
লীলি ভয় পেয়ে বলল,
“ওকে দেখেছে। রানি জেনে গেলে বিপদ।
কিন্তু নূরা বলল,
“থামো। ওর চোখে ভয় নেই… বিস্ময় আছে।”
আরিয়ান ধীরে উঠে বলল,
“ভয় পেও না, আমি কাউকে বলব না। শুধু… তোমাদের দেখাটা জীবনের সবচেয়ে সুন্দর ঘটনা।”
পরীরা দেখল—ছেলেটা সত্যি সত্যিই আলাদা।
সে তাদের ভয় করছে না, আবার ধরে রাখার চেষ্টা করছে না—
বরং তাদের সৌন্দর্যকে সম্মান করছে।
সেই রাত থেকেই তাদের মধ্যে তৈরি হলো এক গোপন সম্পর্ক—
বিশ্বাস ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক।
প্রতি পূর্ণিমায় পরীরা নেমে আসত।
তারা পুকুরে গোসল করত, আকাশে উঠত, আরিয়ানকে গল্প শোনাত—
পরীর রাজ্য, জাদুর সেতু, তারার নদী, নীলদরজা সবকিছু।
এক রাতে মিশা বলল,
“আরিয়ান, তুমি পৃথিবীর হলেও তোমার হৃদয় পরীদের মতো পরিষ্কার।”পরীদের মধ্যে লীলি তার সততা আর মিষ্টি হাসিতে মুগ্ধ হলো। সেই রাত থেকেই তারা প্রতি পূর্ণিমায় মিলিত হতো।
পুকুরে গোসল, আকাশে উড়ান, তারার নদী দেখা—সবকিছু ভাগাভাগি করত।
আরিয়ান বুঝতে পারল—তার হৃদয় শুধু লীলির জন্যই বেঁধে গেছে।
এক রাতে লীলি বলল,
“আরিয়ান, তুমি পৃথিবীর হলেও হৃদয়ে আমার মতো জাদু রাখো।”
আরিয়ান হাত ধরে বলল,
“আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না।”
কিন্তু বিপদ এল…
পরীদের রানি জেনে গেল পৃথিবীতে তাদের দেখার কথা।
আইন অনুযায়ী—যে মানুষ পরীদের দেখে ফেলবে তাকে সব ভুলিয়ে দিতে হয়।
লীলির চোখে জল এসে গেল।
“আমরা তো আরিয়ানকে ভুলে যেতে চাই না!”
রানি নরম গলায় বললেন,
“তোমরা ভুলবে না… কিন্তু পৃথিবীর নিয়ম পাল্টানো যায় না।
আরিয়ান আমাদের মনে থাকবে, কিন্তু তাকে আমাদের ভুলে যেতে হবে।”
পরীরা শেষবারের মতো নীলপুকুরে নেমে পানির ছিটা তুলল।
আরিয়ান হাসল, কিন্তু বুঝল—এটাই শেষ দিন।
লীলি তার হাত ধরে বলল,
“বন্ধুত্ব হারায় না… শুধু লুকিয়ে যায়।”
এক ফোঁটা স্ফটিক আলো আরিয়ানের কপালে ছুঁইয়ে দিল।
সে চোখ বন্ধ করল—
আর চোখ খুলতেই পরীরা নেই।
শুধু পুকুরের ওপর ভাসছে
একটি নীল আলোর দাগ।
সেই আলো যেন বলছে—
“আমরা আছি… শুধু আকাশে।”হঠাৎ নীল আলো ঝলমল করতে লাগল।
পুকুরের পানি নিজেই উড়ে উঠল—ছোট ছোট ঝলক, যেন তারা নাচছে।
আরিয়ান চোখ খুলল, দেখল আকাশে সাত রঙের আলো গুজগুজ করছে,
আর সেই আলো থেকে এক ঝলক ধ্বনি আসছে—এক ধরনের মৃদু, কিন্তু শক্তিশালী নরম জাদু।
পুকুরের ওপর হঠাৎ একটি নীল-সোনালী সেতু তৈরি হলো,
যা আকাশে উঠে গিয়ে তারা নদীর সাথে মিলল।
আরিয়ান বুঝতে পারল—পরীরা এখনও তার সাথে আছে, তারা শুধু লুকিয়ে আছে।
হাত বাড়ালেই, আকাশ থেকে এক ফোঁটা জাদু তার হাতে এসে পড়ল।
সে হাসল—ভয় নেই, শুধু উত্তেজনা।
প্রতি ফোঁটা আলো যেন বলছে—“সাহসী হলে, আমরা আবার দেখা করতে পারি।”
পুকুরের জলে উড়তে লাগল ছোট ছোট নীল আলোর ঢেউ,
যা আরিয়ানকে ডেকে নিল এক নতুন অভিযান—একটি রহস্যময় জাদুর পথে।
সেই রাত থেকে, প্রতিটি পূর্ণিমা আরিয়ান জানল,
পরীদের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব শুধু স্মৃতি নয়,
বরং একটি চ্যালেঞ্জ—যে চ্যালেঞ্জ তাকে নীলপুকুরের জাদুতে নিয়ে যাবে,
সেখানে বাস্তব আর জাদুর সীমানা মিলিত হবে।
✅ Don’t forget to LIKE 👍, SUBSCRIBE ✔️ and hit the 🔔 to stay updated!
🔗 Want more?
► Watch our playlist: / @maxstory247
► Follow us on: faceboook.com/maxstory247
#MaxStory247 #YourMainKeyword #RelatedKeyword
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: