সমলয়ে চাষ-১১ Synchronize farming
Автор: সাজেদুল সাজু
Загружено: 2022-06-09
Просмотров: 373
Описание:
সমলয় চাষাবাদ:
শিল্পায়নের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুই কারণেই কয়েক দশক ধরে মানুষ শহরমূখী। তাই প্রতিনিয়ত কমছে কৃষিকাজের লোক। ফসল কাটার সময় শ্রমিক সংকট এখন তাই প্রতি বছরের ঘটনা। সামনে এ সংকট আরও বাড়বে। এ সমস্যার একটা সমাধান হতে পারে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ। আধুনিক কৃষি যন্ত্রগুলো অল্প সময়ে অনেক বেশি কাজ করে। আর এগুলো চালনার জন্য লোকও লাগে অতি অল্প। কিন্তু যান্ত্রিকীকরণের জন্য দরকার যৌথ খামার বা সমবায়ী কৃষি ব্যবস্থা। বাংলাদেশের খেতগুলো ছোট ছোট। নানা কারণে আমাদের দেশের কৃষকেরা এগুলো জোড়া লাগানোর ব্যাপারেও খুব একটা উৎসাহী নন। যান্ত্রিকীকরণের আরেকটি অমত্মরায় সব কৃষক একই সময়ে চাষাবাদ করেন না । সবার বীজতলা একসময় গঁজায়না, স্বভাবতই তাই চারা রোপনের সময়ও হয় ভিন্ন, ধানও তাই এক সময়ে পাকে না। একই কাজের জন্য বিভিন্ন জমিতে আলাদা সময়ে কৃষি যন্ত্রগুলোর ব্যবহার তাই অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী হয় না। কোনো একটি এলাকার কোনো একটি কৃষিপণ্য চাষের পুরো প্রক্রিয়াকে যদি একই সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসা যেত, তাহলে জমির আইল বজায় রেখেও লাভজনকভাবে যন্ত্র ব্যবহার করা যেত। বোরো চাষে এ রকমেই একটা কার্যকরী উপায় বের করেছেন কৃষিবিজ্ঞানীরা। পদ্ধতিটির নাম দিয়েছেন সমলয় চাষাবাদ। বর্তমান সরকার কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে টেকসই যান্ত্রিকীকরণের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। যার একটি হচ্ছে সমবায়ভিত্তিক সমলয় চাষাবাদ পদ্ধতি। যেখানে একটি মাঠে বা মাঠের একটি অংশের সকল কৃষক সবাই মিলে এক সঙ্গে একই জাতের ধান একই সময়ে যন্ত্রের মাধ্যমে রো্পণ করবেন। এ পদ্ধতিতে বীজতলা থেকে চারা তোলা, চারা রোপণ ও ধান কর্তন সব প্রক্রিয়া যন্ত্রের সাহায্যে সব সময়ে সম্পাদন করা হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট(ব্রি) এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে প্রথম সমলয়ে চাষাবাদ কার্যক্রম প্রদর্শনী আকারে দেশের ১২টি জেলার ১২টি উপজেলায় বাসত্মবায়ন করে। এটি ব্যাপক সফলতা লাভ করায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরেও কার্যক্রমটি অব্যাহত রাখার সিদ্ধামত্ম হয়। চলতি বোরো মওসুমে আরো বিসত্মৃত পরিসরে ৬১টি জেলায় এই কার্যক্রম বাসত্মবায়ন করা হচ্ছে। এটি বাসত্মবায়নের সরাসরি দায়িত্বে আছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সুবিধাসমূহ:
1. স্বল্প মানুষের সাহায্যে ধান উৎপাদনের সমুদয় কাজ যন্ত্রের মাধ্যমে সুচারম্নরূপে সম্পাদন করা যায়।
2. জমির অপচয় রোধে এ পদ্ধতিতে প্রচলিত নীতিতে ধানের বীজতলা না করে সুনিয়ন্ত্রিতভাবে পস্নাস্টিকের ফ্রেম বা ট্রেতে ধানের বীজ বপনের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করা যায়। এতে চারার বাড়-বাড়তি ও উচ্চতা সমান হয়।
3. ধানের চারা একই গভীরতায় সমানভাবে রোপণ করা সম্ভব।
4. একই সময় একই জাত রোপণ করার ফলে নির্দিষ্ট এলাকায় সব ধান একই সাথে পরিপক্ক হয়। ফলশ্রম্নতিতে পোকামাকড় ও রোগবালাই এর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
5. কর্তন যন্ত্রের মাধ্যমে একই সঙ্গে সব ধানের কর্তন ও মাড়াই করা যায়। এতে কৃষক তার ফসল একত্রে মাঠ থেকে তুলতে পারবেন।
6. বড় পরিসরে হবে বলে সব প্রক্রিয়াতেই যন্ত্রের ব্যবহার হবে সাশ্রয়ী। এতে কৃষক লাভবান হবেন এবং কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ পদ্ধতির প্রবর্তন সহজতর হবে।
7. এই পদ্ধতিতে শ্রমিক সংকট দূরীভূত হবে। অধিকন্তু আরও বেশী দক্ষ কৃষি শ্রমিক বিদেশে কাজ করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচলে অবদান রাখতে পারবেন।
8. সমলয় পদ্ধতিতে ধানের উৎপাদন কার্যক্রম বাসত্মবায়নের ফলে ধানের নতুন নতুন জাতের দ্রম্নত সম্প্রসারণসহ যন্ত্রের ব্যবহার বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।
9. সমলয় চাষাবাদ পদ্ধতিতে এক পস্নট থেকে অন্য পস্নটে কৃষি যন্ত্র পরিবর্তনে সময়ের অপচয় রোধ করা সম্ভব। এমনকি ছোট আকারের বা খন্ড খন্ড জমিতেও লাভজনকভাবে পূর্ণ দক্ষতায় কৃষি যন্ত্র পরিচালনা করা সম্ভব। এতে যন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে।
10. সমলয় বা সমকালীন চাষে যান্ত্রিকীকরণের কোন বিকল্প নেই। 11. সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদে বীজবপন থেকে শুরম্ন করে কর্তন, মাড়াই করা পর্যমত্ম সমুদয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে যান্ত্রিকীকরণের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
#agriculture #synchronization #cultivation #farming
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: