সুরা-আল ইখলাস বাংলা অনুবাদ (এই সূরায় মহান আল্লাহর পরিচয় পাওয়া যাবে তিনিই আল্লাহ্ এক এবং অদ্বিতীয়!)
Автор: Halal Media
Загружено: 2023-01-25
Просмотров: 39
Описание:
সূরা সম্পর্কেঃ
এ সূরার বহু ফযীলত রয়েছে। তন্মধ্যে নিমে কয়েকটির উল্লেখ করা হলোঃ
এক. এর ভালবাসা জান্নাতে যাওয়ার কারণ; হাদীসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে এসে আরয করলঃ আমি এই সূরাটি খুব ভালবাসি। তিনি বললেনঃ এর ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। [মুসনাদে আহমাদ: ৩/১৪১, ১৫০]
দুই. এটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশ। হাদীসে এসেছে, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তোমরা সবাই একত্রিত হয়ে যাও। আমি তোমাদেরকে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ শুনাব। অতঃপর যাদের পক্ষে সম্ভব ছিল, তারা একত্রিত হয়ে গেলে তিনি আগমন করলেন এবং সূরা এখলাস পাঠ করে শুনালেন। তিনি আরও বললেন, এই সূরাটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান। [মুসলিম: ৮১২, তিরমিযী: ২৯০০] এ অর্থে হাদীসের সংখ্যা অসংখ্য।
তিন. বিপদাপদে উপকারী। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করে তা তাকে বালা-মুসীবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে যথেষ্ট হয়। [আবু দাউদ: ৫০৮২, তিরমিযী: ৩৫, ৭৫, নাসায়ী: ৭৮৫২]
চার. ঘুমানোর আগে পড়ার উপর গুরুত্ব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, হে উকবা ইবনে আমের আমি কি তোমাকে এমন তিনটি উত্তম সূরা শিক্ষা দিব না। যার মত কিছু তাওরাত, ইঞ্জীল, যাবুর এবং কুরআনেও নাযিল হয়নি। উকবা বললেন, আমি বললাম, অবশ্যই হ্যাঁ, আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য উৎসর্গ করুন। উকবা বলেন, তারপর রাসূল আমাকে ‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ, কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক, কুল আউযু বিরাব্বিন নাস’ এ সূরাগুলো পড়ালেন, তারপর বললেন, হে উকবা! রাত্রিতে তুমি ততক্ষণ নিদ্রা যেয়ো না, যতক্ষণ সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস না পাঠ কর। উকবা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ সেদিন থেকে আমি কখনও এই আমল ছাড়িনি। [মুসনাদে আহমাদ: ৪/১৪৮, ১৫৮-১৫৯]
পাঁচ. এ সূরা পড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিয়মিত আমল ছিল। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বিছানায় ঘুমানোর জন্য যেতেন তখন তিনি তার দু হাতের তালু একত্রিত করতেন তারপর সেখানে ‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ, কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক এবং কুল আউযু বিরাব্বিন নাস’ এ তিন সূরা পড়ে ফুঁ দিতেন, তারপর এ দু হাতের তালু দিয়ে তার শরীরের যতটুকু সম্ভব মসেহ করতেন। তার মাথা ও মুখ থেকে শুরু করে শরীরের সামনের অংশে তা করতেন। এমনটি রাসূল তিনবার করতেন। [বুখারী: ৫০১৭, আবু দাউদ: ৫০৫৬, তিরমিযী: ৩৪০২]
(মক্কায় অবতীর্ণ)
[1] এই ছোট্ট সূরাটি বড় ফযীলতসম্পন্ন। এটিকে মহানবী (সাঃ) কুরআনের এক তৃতীয়াংশ বলে ঘোষণা দিয়েছেন এবং তা রাত্রে পড়ার জন্য সকলকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। (বুখারী তাওহীদ অধ্যায়, ফাযায়েলে কুরআন ‘ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ পরিচ্ছেদ)
এক সাহাবী (রাঃ) নামাযের প্রতি রাকআতে অন্যান্য সূরার সাথে এই সূরাটিকেও নিয়মিত পড়তেন। এ ব্যাপারে নবী (সাঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, আমি ঐ সূরাটিকে ভালোবাসি। এর ফলে নবী (সাঃ) তাঁকে বললেন, ‘‘ঐ সূরার প্রতি তোমার ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। (বুখারী তাওহীদ অধ্যায়,আযান অধ্যায়, দুটি সূরাকে একই রাকআতে জমা করে পড়ার পরিচ্ছেদ, মুসলিম শরীফ মুসাফিরীনদের নামায অধ্যায়) এই সূরাটির অবতীর্ণের কারণ হিসাবে বলা হয় যে, মক্কার মুশরিকরা যখন নবী (সাঃ)-কে বলল, হে মুহাম্মাদ! তোমার রবের বংশতালিকা বর্ণনা কর। তখন তার জওয়াবে মহান আল্লাহ এই সূরাটি অবতীর্ণ করেন। (মুসনাদে আহমাদ ৫/১৩৩-১৩৪ নং)
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: