নামাজের মনগড়া পদ্ধতি আবিষ্কার করলো আহলে খবিচ শায়েখরা। সহিহ হাদিস পরিবর্তন করলো শায়েখরা।
Автор: Muslim Connect
Загружено: 2025-04-01
Просмотров: 2994
Описание:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন রাকাত বিত পড়তেন এবং তিন রাকাতে তিনটি সূরা তিলাওয়াত করতেন। যা সহীহ সনদে বহু সাহাবী থেকে হাদীসের বিভিন্ন কিতাবে বর্ণিত হয়েছে। নমুনা স্বরূপ কয়েকটি বর্ণনা তুলে ধরছি
১. হযরত উবাই ইবনে কা‘ব রা. বলেন-
অর্থ: ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন রাকাতে বিত পড়তেন। প্রথম রাকাতে সূরা আ‘লা, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা কাফিরুন, তৃতীয় রাকাতে সূরা ইখলাছ পড়তেন। এবং রুকুর পূর্বে দুআ কুনূত পড়তেন। ...’। একই হাদীসের অপর বর্ণনায়- ‘আর কেবল শেষ রাকাতেই সালাম ফিরাতেন’।
[সুনানে নাসায়ী ১/১৯১ হা.১৬৯৯ মুশকিলুল আছার ১১/৩৬৮ হাদীসটি সহীহ -
২. সায়ীদ ইবনে জুবাইর রা. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণনা করেন-
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন রাকাত বিত পড়তেন। প্রথম রাকাতে সূরা আ‘লা, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা কাফিরুন এবং তৃতীয় রাকাতে সূরা ইখলাছ পড়তেন। [সুনানে নাসায়ী ১/২৪৯ হা.১৪২৭ সুনানে তিরমিযী হা. ৪৬২ সুনানে দারিমী হা.১৫৮৯ ইবনে আবীশাইবা ৪/৫১২ হা.৬৯৫১ মুসনাদে আহমদ হা.২৭৭৬ শুআইব আরনাউত বলেন- হাদীসটি সহীহ, ইমাম নববী বলেছেন, এ হাদীস সহীহ]
৩. হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আব্যা রা.বর্ণনা করেন- তিনি একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বিত পড়েছেন। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথম রাকাতে সূরা আ’লা, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা কাফিরুন এবং তৃতীয় রাকাতে সূরা ইখলাছ পড়েছেন। ...।
[তাহাবী ১/২০৫ হফেজ বদরুদদীন আইনী রহ. বলেছেন- এর সকল বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য, নুখাবুল আফকার ৩/২৭১, মুসনাদে আবীহানীফা-জামেউল মাসানীদ ১/৪১৪ সুনানে নাসায়ী হা.১৭৩৩
ইমাম তিরমিযী রহ. সুনানে তিরমিযীতে সুস্পষ্টভাবে বলেন-সাহাবায়ে কেরাম ও পরবর্তী জ্ঞানীদের অধিকাংশই (বিতরে) সূরা আ‘লা’ কাফিরুন ও এখলাছ পড়াকেই গ্রহণ করেছেন। (তিন রাকাতের) প্রতি রাকাতে একটি করে সূরা পড়বে।” [সুনানে তিরমিযী-বিতরে কেরাত পাঠ অধ্যায়]
অনুরূপ ১৯ জন সাহাবী থেকে তিন রাকাত বিতরে তিন সূরা পড়ার কথা বর্ণিত হয়েছে। [কাশফুস সিতর পৃ. ৪৭ আল হিদায়া ফি তাখরীজি আহাদীসিল বিদায়া ৪/১৪৮
সাহাবায়ে কিরাম ও তাবেয়ীগণও তিন রাকাত বিতর পড়তেন। নিম্নে কয়েকজনের আমল ও উক্তি তুলে ধরা হল-
১. হযরত উমর রা. বলেন-
ما أحب أنى تركتُ الوتر بِثَلاَثٍ وأنَّ لي حُمر النَّعم. ( )
‘আমি তিন রাকাতে বিত পড়া ছাড়তে কখনোই পছন্দ করি না, যদিও এর বিপরীতে আমাকে লাল উট উপহার দেওয়া হয়’। [কিতাবুল আছার -জামেউল মাসানীদ ১/৪১৭ মুয়াত্তা মুহাম্মদ পৃ.১৪৯ কিতাবুল হুজ্জাহ আলা আহলিল মদীনাহ ১/১৩৫]
২. যাযান রহ. বলেন-
أَنَّ عليا كان يُوتِرُ بثلاثٍ. ( )
হযরত আলী রা. তিন রাকাতে বিত পড়তেন। [ইবনে আবী শাইবা ৪/৪৯১ হা.৬৯১৪ মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৩/৩৪ হা.৪৬৯৯]
৩. আব্দুল মালিক ইবনে উমাইর রহ. বলেন-
كان ابن مسعود يُوتِرُ بِثَلاَثٍ. ( )
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. তিন রাকাতে বিত পড়তেন। [ইবনে আবী শাইবা ৪/৪৯১ হা.৬৮৯৪ আল মুজামুল কবীর-মাজমাউয যাওয়ায়েদ ২/৫০৩]
৪. হযরত সাইব ইবনে ইয়াযীদ র. বলেন-
أن أبي بن كعب كان يوتر بثلاث.( )
হযরত উবাই ইবনে কা‘ব রা. তিন রাকাতে বিত পড়তেন। এর সনদ সহীহ [মুসাননাফে আব্দুর রাযযাক ৩/২৬ হা.৪৬৬১]
এক সালামে তিন রাকাত বিতর, অর্থাৎ দু’ রাকাত পড়ার পর বসে শুধু তাশাহহুদ পড়ে উঠে যাওয়া ও সালাম না ফেরানো এবং তৃতীয় রাকাতের পর সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। নিচে এর দলিল পেশ করা গেল :
১. সা‘দ ইবনে হিশাম বলেন-আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন রাকাতে বিত পড়তেন এবং শেষ রাকাতের পূর্বে সালাম ফেরাতেন না’। মুসতাদরাকে হাকেমের বর্ণনায় রয়েছে- ‘আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর রা.ও বিত এভাবে পড়তেন এবং তাঁর কাছ থেকেই মদীনাবাসী এ আমল গ্রহণ করেছে’।
ইমাম হাকেম, যাহাবী, আইনী, নববী ও আনওয়ার শাহ কাশমীরী প্রমুখ হাদীসটি সহীহ বলেছেন। [বিস্তারিত পর্যালোচনা অংশ দষ্টব্য]
২. তিন রাকাতে তিন কেরাত পড়ার আলোচনায় হযরত উবাই ইবনে কা‘ব রা. এর উল্লিখিত বর্ণনায় সহীহ সনদে রয়েছে-
كان يوتر بثلاث ركعات لا يسلم فيهن حتى ينصرف ( )
‘তিনি তিন রাকাতে বিতর পড়তেন। আর তিন রাকাত পূর্ণ করেই সালাম ফেরাতেন’। সুনানে নাসায়ীর বর্ণনায় রয়েছে- ولا يسلم إلا في آخرهن ‘তিন রাকাত পূর্ণ করেই সালাম ফেরাতেন’। [শরহু মুশকিলিল আছার ১১/৩৬৮ হা.৪৫০১ নাসায়ী হা. ১৭০১ শুআইব বলেছেন- এর সনদ সহীহ]
১. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন-
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : وِتْرُ اللَّيْلِ ثَلاَثٌ كَوِتْرِ النَّهَارِ صَلاَةِ الْمَغْرِبِ.( )
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- দিনের বিত মাগরিব এর মত রাতের বিতও তিন রাকাত। [দারাকুতনী হা.১৬৭২]
২. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন-
عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : صلاة المغرب وتر النهار فأوتروا صلاة الليل. ( )
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- দিনের বিত হল মাগরিবের নামায। তোমরা রাতের নামাযকেও অনুরূপ বিত করে পড়। [মুসনাদে আহমদ হা.৪৮৪৭ এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য- শুয়াইব আরনাউত। ইবনে আবী শাইবা ৪/৪ হা.৬৭৭৩, ৬৭৭৮ আব্দুর রাযযাক হা.৪৬৭৫ তাবারানী- সগীর ও আওসাত। হাফেজ ইরাকী রহ. বলেন- এর সনদ সহীহ, আত্তা‘লীকুল মুমাজ্জাদ পৃ.১৪৭ শরহুয্ যুরকানী আলাল মুয়াত্তা
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তৃতীয় রাকাতে কেরাত সমাপ্ত করার পর রুকু করার পূর্বে দুআয়ে কুনূত পড়তেন।
১. আসিম আহ্ওয়াল বলেন- অর্থ: আমি হযরত আনাস রা. কে কুনূত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, হ্যাঁ কুনূত আছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম রুকুর আগে না পরে? তিনি বললেন- রুকুর আগে। বললাম একজন আমাকে বলল- আপনি রুকুর পরে কুনূত পড়ার কথা বলেছেন? তিনি বললেন- সে ভুল বলেছে। রুকুর পরে তো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু এক মাস কুনূত পড়েছেন। (যা ছিল মূলত কুনূতে নাযেলা)। [সহীহ বুখারী হা.৪০৯৬]
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: