বান্দরবান ভ্রমণ কম খরচে VLOG. ২ দিনের ট্যুর@শৈলপ্রপাত@চিম্বুক@নীলগিরি@থানচি @তিন্দু@রেমাক্রি@নাফাখুম
Автор: Tomal Traveler
Загружено: 2019-12-23
Просмотров: 166740
Описание:
Bandarban - বান্দরবান !
বান্দরবান-শৈলপ্রপাত-চিম্বুক পাহাড়-নীলগিরি-থানচি-বড় পাহাড়ের দেশ তিন্দু-রেমাক্রি এবং সর্বশেষ নাফাখুম।
এতো সুন্দর জায়গা আমি আগে কখনো দেখি নি।অনেক জায়গা ঘুরেছি বহু খরচ করেছি কিন্তু এর আগে শুধু শুনেই গিয়েছিলাম বান্দরবানের সৌন্দর্য নিয়ে আজ আল্লাহ্ তায়লার অপরূপ সৌন্দর্য নিজের চোখেই দেখে এলাম। মানে চোখ ফিরানো যায়না যেই সৃষ্টি দেখে, সেটাই দেখে এসেছি । এর আগে বাংলাদেশের অনেক জায়গা ঘুরেছি। ঘুরেছি পাশের দেশ ইন্ডিয়ার হিমাচল প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ,উত্তর প্রদেশ,দিল্লী,পশ্চিম বঙ্গ তবুও এমন উপভোগ করতে পারি নাই।
আসলে নিজের দেশ টারে এতো সুন্দর করে কখনো দেখা হয় নি এর আগে।অপরূপ সুন্দর আমার এই দেশ বাংলাদেশ। বান্দরবান নামার পর যখন আমরা গাড়ি নিয়ে থানচির উদ্দেশে রউনা হলাম দেখলাম আমাদের গাড়িটা শুধু উপরের দিকে উঠছে । কিছুদূর যাবার পর লক্ষ করলাম আমরা পাহাড়ের অনেক উপরে ,সাইড থেকে শুধু পাহাড় আর পাহাড় দেখা যাচ্ছে যদিও অনেক ভয়ংকর কারণ পাহাড়ের রাস্তার দু পাশে খালি শুধু রাস্তা বেয়ে চলেছে এ পাহাড় থেকে ঐপাহাড় একটি এনভেঞ্চার মুহূর্ত।যা কখনো ভোলার মতো নয়। গাড়িটি ছিল নিশান পাজারু টাইপ এর। যাত্রাপথে আমাদের দু থেকে তিনবার বাংলাদেশ আর্মি এবং বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড এর থেকে আমাদের নাম রেজিস্টার্ড খাতায় উঠিয়ে নিলাম তারা আমার নাম ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার রেখে দিলো ।বিজিবি আমাদের আইডি কার্ড দেখলো এবং আইডি কার্ডের ফটোকপি গুলো জমা রাখলো।চিমুকে ঢোকার জন্য টিকিট নিতে হবে টিকিট এর মূল্য এক এক জনের জন্য ২০ টাকা করে। ভিতরটা অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছে মেঘের উপরেও এতো সুন্দর জায়গা আছে ভাবাই জায় না। চিম্বুকের বুকে দাঁড়িয়ে যা দেখলাম তা ভাষায় না বলি এক কথায় সোবহান-আল্লাহ...।। আল্লাহ্ তায়লার অপরূপ সৃষ্টি । সেখান থেকে মনে হচ্ছে আমি সমগ্র পৃথিবী টাকে দেখছি। পাহাড় গুলোকে অনেক ছোট লাগছিল আর আমরা মেঘের উপরে দাঁড়িয়ে আছি ।বাতাস এতো ঠাণ্ডা বলার মতো না । যাই হোক সেখানে কিছুটা সময় অবস্থান করে বেড়িয়ে গেলাম বাহিরে ।বাহিরে এসে আবার কোন এক সেনাবাহিনীদের তত্ত্বাবধানে করা রেস্টুরেন্ট থেকে খেলাম খিচুড়ি এক কথায় অসাধারণ।যাই হোক খাওয়া দাওয়া করে চলে এলাম নীলগিরি । নীলগিরির আকাশ টা আসলেই অনেক নীল। রাস্তা গুলো এতো পরিস্কার ঢাকায় বাস করে আমরা সচার আঁচর দেখি না।আবার ছুটে চলা পাহাড়ের চুড়া বেয়ে দেখতে দেখতে চলে এলাম থানচি। সেখান থেকে দুপুরের ভাত খেয়ে বিজিবির সহায়তায় একটি নৌকা ভাড়া করলাম । অবশ্য কিছুক্ষন রেস্ট নিলাম সাথে সাথে থানচি বাজার মসজিদ থেকে যোহরের কসরের নামায টা পরে নিলাম। পরে সেখান থেকে পানি এবং কিছু খাবার সামগ্রি নিলাম । নৌকায় উঠে বসলাম। নৌকার ধারণ ক্ষমতা পাঁচজন।নৌকা চলা শুরু হলো রেমাক্রির উদ্দেশ্য নিয়ে । দূর্বার গতিতে ছুটে চলছে আমাদের নৌকা সাঙ্গু নদীর উপর দিয়ে আর দু পাশেই রয়েছে বিশাল বিশাল পাহাড়। পানি কম হোলেও স্রোত ছিল বেশ। প্রায় এক ঘন্টা ২০ মিনিট চলার পর এসেপরলাম তিন্দু । যেখানে রয়েছে ছোট,বড় এবং মাঝারি আকারের অনেক পাঁথর । এই পাঁথর গূলোই হাত ছানি দেয় অপরূপ সৌন্দর্যের যা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। দুপাশে সারিসারি পাহাড় মাঝখানে নদী আর পাঁথরের গলাগলি ভীষণ মুগ্ধ করে তৈরী হয় একটি এডভেঞ্চার পরিবেশ। আর যারা এডভেঞ্চার পিয়াসী তাদের জন্য এক কথায় এটি একটি দারুণ জায়গা। একবার এলে আর ফিরে জেতে ইচ্ছা করবে না । পৃথিবীর কোথাও এমন দৃশ্য আছে কিনা এ বিষয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আর আমাদের অগোচরে বিজিবির চোখ সর্বদাই থাকছে আমাদের দিকে পাহাড়ের ওপর থেকে যেন আমাদের কোন ক্ষতি না হয়।সেখানে নৌকা ভিড়িয়ে কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে আবার রউনা দিলাম রেমাক্রির উদ্দেশে । স্রোতের বিপরীতে চলছে আমাদের নৌকা। একপর্যায় আমরা রেমাক্রি এসে পৌছোলাম। যাই হোক অনেক হয়েছে জার্নি এখন সেখানে যাবার সাথে সাথে বেশ ভালো একটি কটেজ পেলাম প্রচন্ড টায়ার্ড ছিলাম তাই গোসল করে শুলাম আর ঘুমিয়ে গেলাম সন্ধ্যার আগে আমার ঘুম ভাঙ্গে । রাতে ৮ টার দিকে পাহাড়িদের বাড়িতে খেলাম যা আগে থেকে অর্ডার করে রাখতে হয়।বেশ মজা ওদের রান্না।খাওয়া দাওয়া করে কটেজে এসে ঘুমিয়ে গেলাম ।ভোড়ে আমাদের ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং গাইড এর সাথে বেড়িয়ে পরি নাফাখুম এর উদ্দেশে। সেখান থেকে আগে কিছু খাওয়া দাওয়া করে নিলাম আর গ্লেক্সোস ডি পানিতে মিশিয়ে নিলাম। শুরু করলাম হাটা । এই অভিজ্ঞতা ভোলার না এই এডভেঞ্চার ভোলার না । জীবন টাকে ধন্য মনে করছি । অনেক জংগল নদী পেরিয়ে বিভিন্ন ভয়ংকর জায়গা পারি দিয়ে কোথাও কোথাও ৫ মিনিট কিংবা ১০ মিনিট রেস্ট নিয়ে অনেক বাধা আর ক্লান্তি পেরিয়ে দীর্ঘ ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট হেটে চলে এলাম আমাদের সেই স্বপ্নের কাছে ।সেই নাফাখুমে যার রিভিউ এতো দিন দেখেছি যার ভিডিও ইউটিউবে দেখেছি আজ আমরাও এসেছি আমরাও পারি।
আর এর মাঝেই শেষ হলো আমাদের বান্দরবান ভ্রমন ২০১৮।
খরচ:
১.ঢাকা থেকে বান্দরবান বাস ভাড়া নন এসি ৬২০ টাকা এবং এসি ১২০০-১৬০০ টাকা অথবা ট্রেনে নন এসি শোভন চেয়ার চিটাগাং এর ভাড়া ৩৫০ টাকা সেখান থেকে ভেঙে বান্দরবান যেতে খরচ হবে ১৪০ টাকা পার হেড।
২.বান্দরবান থেকে চান্দের গাড়ির ভাড়া এখন ২৫০০ হাজার পাওয়া সম্ভব কিন্তু সিজনে অনেক ৪০০০ - ৮০০০ পর্যন্ত নিয়ে থাকে। অথবা বাসে যেতে পারেন ভাড়া পরবে একজনের ২০০ টাকা।
৩.সকালে ভাড়ি খাবার এর জন্য আর্মি রেস্টুরেন্ট খিচুড়ীটা জোস। হাফ ৫০ এবং ফুল ১০০ টাকা।
৪.চিম্বুক এর এন্ট্রিফি ২০ টাকা এবং নীলগিরি ৬০ টাকা।
৫.থানচি লাঞ্চ করুন আলুভর্তা ডিম এবং ভাত সব মিলিয়ে ৫০। যেই আলুভর্তা দেয় তা দুইজন খেতে পারবে।
৬.থানচি থেকে বিজিবি নৌকা ভাড়া এবং গাইড ৫০০০ টাকা।
৭.কটেজ ভাড়া ১৫০ টাকা প্রতি একজনের জন্য।
৮.রাতের খাবার ডিম,আলুভর্তা, ডাল এবং ভাত আনলিমিটেড ১০০-১২০ এবং মুরগির গোস্ত দিয়ে ১৫০ টাকা। (মসুলমান হলে মুরগি খেতে চাইলে নিজেরা জবাই দিন)
৯.সকালের নাস্তা ৩৫ টাকা পাহাড়িদের হোটেল থেকে।
#বান্দরবান
#BandarbanTour_vromon
#শৈলপ্রপাত_চিম্বুক_নীলগিরি_থানচি_তিন্দু_রেমাক্রি_Nafakhum
#bandarban
সবাইকে ধন্যবাদ ভিডিওটি দেখার জন্য। ভালো লাগলে সাবস্ক্রাইব
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: