কোন ব্যক্তি মহান আল্লাহর অধিক কাছাকাছি?মুফতি আরিফ বিন হাবিব||ইসলামে সালামের গুরুত্ব

Описание: ইসলামে সালামের গুরুত্ব ও ফজিলত

সালাম, অর্থাৎ "السلام علیکم" (আসসালামু আলাইকুম), ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শুধু একটি অভিবাদন নয়, বরং এটি মুসলমানদের মধ্যে শান্তি, সহানুভূতি এবং সৌহার্দ্যের সূচক। ইসলামের প্রাথমিক শিক্ষা ও আচার-ব্যবহারে সালামের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

#### ১. সালামের অর্থ

সালামের আভিধানিক অর্থ হল শান্তি। সালাম প্রদান করা মানে অন্যকে শান্তি ও নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া। ইসলামে সালাম দেওয়া এবং গ্রহণ করা উভয়ই অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কুরআনে বলা হয়েছে, “যখন তোমাদের কাছে কোনো অভিবাদন দেওয়া হয়, তখন তার উত্তরে এর চেয়ে ভালো অভিবাদন দিয়ে বা অন্তত তাই দিয়ে সাড়া দাও।” (সুরা আন-নিসা: 86)

#### ২. সালামের ফজিলত

**সামাজিক সংহতি**: সালাম প্রদান ও গ্রহণের মাধ্যমে মুসলমানরা একে অপরের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করে। এটি সামাজিক সংহতির প্রমাণ হিসেবে কাজ করে এবং মুসলিম সমাজে একতা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করে।

**মানসিক শান্তি**: সালাম বিনিময় করার ফলে মানুষের মনে শান্তি ও স্বস্তি আসে। এটি মানুষের সম্পর্ককে মধুর করে এবং দ্বন্দ্ব ও বিরোধের পরিবেশকে দূর করে।

**আধ্যাত্মিক সুফল**: সালাম দেওয়ার ফলে আল্লাহর কাছে সন্তুষ্টি অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। হাদিসে বলা হয়েছে, “যারা প্রথমে সালাম দেয় তারা আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়।” (বুখারি ও মুসলিম)

#### ৩. সালামের গুরুত্ব

**ঈমানের একটি অংশ**: ইসলামে সালাম দেওয়া ঈমানের একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত। এটি ইসলামের মৌলিক ভিত্তির মধ্যে একটি এবং মুসলমানদের মধ্যে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রতীক।

**একটি সুসংবাদ**: সালাম শুধু একটি অভিবাদন নয়, বরং এটি সুখ, শান্তি ও নিরাপত্তার একটি সুসংবাদ। সালাম দেওয়া এবং গ্রহণ করা, উভয়ই মুসলমানদের কর্তব্য।

**জীবনযাত্রার অঙ্গ**: ইসলামে সালাম একটি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রথা। এটি মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ এবং একটি দৃষ্টান্তমূলক আচরণ।

#### ৪. সালামের আদব

সালামের আদব অনুসরণ করা উচিত। সালাম শুরু করা এবং এতে আন্তরিকতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে বলা হয়েছে, “সালাম সর্বদা মিষ্টি এবং সুন্দরভাবে দেওয়া উচিত।” সালাম দেয়ার সময় হাসিমুখ থাকা এবং নরম ভাষায় কথা বলা উচিৎ।

#### ৫. সালামের প্রসার

মুসলমানদের উচিত সালামের প্রচার করা। প্রতিটি পরিস্থিতিতে সালাম প্রদান করা এবং অন্যদের সালামের প্রতি উৎসাহিত করা আমাদের দায়িত্ব। এটি একটি আল্লাহপ্রদত্ত মৌলিক অধিকার এবং শান্তির প্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

উপসংহার

ইসলামে সালামের গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। এটি শুধু একটি অভিবাদন নয়, বরং এটি শান্তি, ভালোবাসা এবং সামাজিক বন্ধনের প্রতীক। মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত সালামের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া এবং এটি প্রচার করা। সালামের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি এবং আমাদের সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করতে পারি।

মহান আল্লাহ, নেক কর্ম, আধ্যাত্মিকতা, দ্বীন, ইমান, সালাত, দোয়া, তাওবা, মানবিকতা, সৎ আচরণ, সমাজ সেবা, কুরআন, হাদিস, মহানুভবতা, সৎসংগতি, ঈমানের শক্তি, আল্লাহর প্রেম, নেককারীরা, ধর্মীয় দায়িত্ব, আল্লাহর সন্তুষ্টি, একনিষ্ঠতা, সৃষ্টির সেবা,

আল্লাহর নৈকট্য, ইবাদত, খুশু ও খুজু, সৎ কাজ, দ্বীনের প্রচার, আল্লাহর গুণাবলি, সৎ চিন্তা, আত্মবিশ্বাস, কুরআন পাঠ, জিকির, মহানুভবতা, চরিত্রের সৌন্দর্য, দান-খয়রাত, নফসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, আল্লাহর রহমত, আখিরাতের প্রস্তুতি, আধ্যাত্মিক উন্নতি, ধর্মীয় অনুশাসন, উজ্জ্বল চরিত্র, আল্লাহর বন্দেগি, সঠিক পথ, পুণ্যের কাজ,
আল্লাহর সান্নিধ্য, শোকরগুজারি, ধৈর্য, তাওহিদ, পরকালে বিশ্বাস, মুমিনের গুণাবলি, নেকী, আন্তরিকতা, আল্লাহর সাথে সম্পর্ক, পরহেজগারি, রিযিকের বরকত, ঈমানের শক্তি, আল্লাহর ইচ্ছা, সৎ নৈতিকতা, অনুশাসন, ধর্মীয় অধ্যয়ন, সমাজ উন্নয়ন, মানবাধিকার, আত্মশুদ্ধি, দয়ার্দ্রতা, ভালোবাসা, মুসলিম ঐক্য, জীবনবোধ,