দেশি শিং মাছের পোনা বিক্রি করা হয় মোবাইলঃ- 01794691231 চাষ পদ্ধতি জানুন বিস্তারিত ভিডিওতে
Автор: মোস্তাক মৎস্য হ্যাচারী এন্ড নার্সারী
Загружено: 2025-12-20
Просмотров: 15
Описание:
শিং মাছ (Stinging Catfish/Shing Fish) চাষ বর্তমানে বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত লাভজনক মৎস্য চাষ পদ্ধতি। এর বাজার মূল্য বেশি এবং অল্প জায়গায় অধিক ঘনত্বে চাষ করা সম্ভব।
নিচে শিং মাছ চাষের সম্পূর্ণ গাইডলাইন তুলে ধরা হলো:
১. পুকুর নির্বাচন ও প্রস্তুতি
সফল শিং মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
পুকুরের ধরন: আয়তাকার পুকুর ভালো, যাতে পর্যাপ্ত রোদ পড়ে।
আয়তন ও গভীরতা: পুকুরের আয়তন ১৫-৫০ শতাংশ হলে ভালো। পানির গভীরতা ৩-৪ ফুট (১-১.৫ মিটার) রাখা উচিত।
প্রস্তুতি ধাপ:
প্রথমে পুকুর শুকিয়ে তলার পচা কাদা সরিয়ে ফেলতে হবে।
পুকুর শুকানো সম্ভব না হলে রাক্ষুসে মাছ ও জলজ প্রাণী নিধনের জন্য প্রতি শতাংশে ১ ফুট গভীরতার জন্য ২৫-৩০ গ্রাম রোটেনন প্রয়োগ করতে হবে।
চুন প্রয়োগ: পুকুর শুকানোর পর প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে। এটি মাটির পিএইচ (pH) ঠিক রাখে ও জীবাণু ধ্বংস করে।
সার প্রয়োগ: চুন প্রয়োগের ৩-৪ দিন পর প্রতি শতাংশে ৪-৬ কেজি গোবর, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ৫০ গ্রাম টিএসপি সার পানিতে গুলে ছিটিয়ে দিতে হবে।
২. পানির গুণাগুণ
শিং মাছের জন্য পানির আদর্শ মান বজায় রাখা জরুরি:
পিএইচ (pH): ৭.৫ থেকে ৮.৫।
তাপমাত্রা: ২৫°C থেকে ৩০°C তাপমাত্রা শিং মাছের বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে উপযোগী।
দ্রবীভূত অক্সিজেন (DO): ৫ পিপিএম (ppm) এর বেশি থাকা ভালো।
৩. পোনা মজুদকরণ
পুকুর প্রস্তুতির ৫-৭ দিন পর যখন পানিতে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি হবে (পানির রঙ হালকা সবুজ হবে), তখন পোনা ছাড়তে হবে।
সময়: সকাল বা বিকেলে ঠান্ডা আবহাওয়ায় পোনা ছাড়া উচিত।
ঘনত্ব (একক চাষ): একক চাষে প্রতি শতাংশে ২-৩ ইঞ্চি সাইজের ৫০০-৮০০টি পোনা মজুদ করা যেতে পারে।
মিশ্র চাষ: কার্প জাতীয় মাছের সাথে চাষ করলে শিং মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে (শতাংশে ৫০০/৬০০০ টি)।
৪. খাদ্য ব্যবস্থাপনা
শিং মাছ রাতে খেতে পছন্দ করে, তাই দিনের চেয়ে রাতে বা ভোরে খাবার দেওয়া ভালো।
খাবারের ধরন: শিং মাছের জন্য উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ (৩০-৩৫% প্রোটিন) ভাসমান বা ডুবন্ত পিলেট ফিড ব্যবহার করতে হবে।
পরিমাণ:
প্রথম ১০ দিন: মাছের মোট ওজনের ২০% হারে।
পরবর্তী সময়ে: মাছ বড় হওয়ার সাথে সাথে হার কমিয়ে ৩-৫% এ নামিয়ে আনতে হবে।
দৈনিক ২-৩ বার খাবার দিতে হবে (সন্ধ্যায় ও ভোরে দেওয়া উত্তম)।
৫. রোগবালাই ও পরিচর্যা
শিং মাছের প্রধান সমস্যা হলো শীতকালীন ক্ষত রোগ এবং পানির গুণাগুণ নষ্ট হওয়া।
ক্ষত রোগ: শিং মাছের গায়ে লাল দাগ বা ক্ষত দেখা দিলে প্রতি শতাংশে ২০০-২৫০ গ্রাম চুন এবং ২৫০ গ্রাম লবণ প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক মেশানো খাবার খাওয়াতে হবে (মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শে)।
গ্যাস সমস্যা: পুকুরের তলায় গ্যাস হলে হররা টেনে দিতে হবে অথবা জিওলাইট ব্যবহার করতে হবে।
শীতকালীন যত্ন: শীতকালে পানির গভীরতা কিছুটা বাড়িয়ে দিতে হবে এবং নিয়মিত চুন প্রয়োগ করতে হবে।
৬. মাছ আহরণ
সাধারণত ৪-৫ মাস সঠিক পরিচর্যা করলে শিং মাছ বিক্রির উপযোগী হয়।
গড় ওজন ৫০-৮০ গ্রাম বা তার বেশি হলে বাজারজাত করা যায়।
শিং মাছ কাদার নিচে লুকিয়ে থাকে, তাই সম্পূর্ণ মাছ ধরার জন্য পুকুর পুরোপুরি সেচে ফেলা প্রয়োজন।
লাভজনক টিপস: পুকুরের পানি খুব বেশি সবুজ বা ঘোলা হতে দেওয়া যাবে না। নিয়মিত পানি পরিবর্তন (২০-৩০%) করলে মাছের বৃদ্ধি দ্রুত হয় এবং রোগবালাই কম হয়।
আপনি কি শিং মাছের পোনা প্রাপ্তির উৎস বা নির্দিষ্ট কোনো রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চান
মাছের পোনার জন্য যোগাযোগ করুন
মোবাইলঃ- 01794691231
ঠিকানা- ত্রিশাল, ময়মনসিংহ
সমগ্র বাংলাদেশ হোম ডেলিভারি দেওয়া হয়
#শিং
#শিংমাছচাষপদ্ধতি
#শিংমাছেরপোনা
#দেশি_তেলাপিয়া_মাছ_চাষ
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: