দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সাতক্ষীরা-২ আসনে জিতবে কে?
Автор: Bnanews24
Загружено: 2023-06-27
Просмотров: 1345
Описание:
সংসদীয় আসন-১০৬
সাতক্ষীরা-২
বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৫ম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে সাতক্ষীরা-২ আসনের হালচাল।
সাতক্ষীরা-২ সংসদীয় আসনটি সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও সাতক্ষীরা পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ১০৬ তম আসন।
১৯৯১ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ আসনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৭০ হাজার ১ শত ৪ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৯শত ৫১ জন। নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর কাজী সামশুর রহমান বিজয়ী হন। দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে তিনি পান ৪৫ হাজার ৫ শত ৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের এ এফ এম এন্তাজ আলী। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৩০ হাজার ৭শত ৬৭ ভোট।
১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ভোটারবিহীন এই নির্বাচনে বিএনপির অ্যাডভোকেট সামশুল হককে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
১৯৯৬ সালের ১২ই জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ১ শত ১৮ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩ শত ৫৫ জন। নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর কাজী সামশুর রহমান বিজয়ী হন। দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে তিনি পান ৫৪ হাজার ৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির সৈয়দা রাজিয়া ফায়েজ। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পান ৫৩ হাজার ৭শত ৮৭ ভোট।
২০০১ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩শত ৫ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৭ হাজার ১ শত ৬ জন। নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা আব্দুল খালেক মণ্ডল বিজয়ী হন। দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ২৪ হাজার ২শত ৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৬৯ হাজার ৮ শত ৬১ ভোট।
২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৭৯ হাজার ২ শত ৪৮ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ১ শত ২২ জন। নির্বাচনে জাতীয় পার্টির এম. এ জব্বার বিজয়ী হন। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪ শত ২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা আব্দুল খালেক মণ্ডল। দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ১৪ হাজার ৫ শত ৫৮ ভোট।
২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ১৩ হাজার ৫ শত ৪৯ জন। ভোট প্রদান করেন ৫১ হাজার ৭ শত ৯৭ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৩২ হাজার ৮ শত ৫৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল করিম সাবু। হরিণ প্রতীকে তিনি পান ১৫ হাজার ৭শত ৮৯ ভোট। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।
২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২ শত ৬৮ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ১ শত ৭২ জন।
নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, ধানের শীষ প্রতীকে জামায়াতে ইসলামীর মুহাম্মাদ আব্দুল খালেক, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির শেখ মাতলুব হোসেন লিয়ন, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির জুলফিকার রহমান, মই প্রতীকে বাসদের নিত্যানন্দ সরকার, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলনের মুফতী রবীউল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬ শত ১১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি সমর্থিত জামায়াতে ইসলামীর মুহাম্মাদ আব্দুল খালেক। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ২৭ হাজার ৭ শত ১১ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সাতক্ষীরা-২ আসনে পঞ্চম, সপ্তম ও অষ্টম সংসদে জামায়াতে ইসলামী। ষষ্ঠ সংসদে বিএনপি, নবম সংসদে জাতীয় পার্টি এবং দশম ও একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়।
**Repeat**
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর সাতক্ষীরা -২ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬৯.৩৪% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৬.০৮ %, বিএনপি ১৫.১৬%, জাতীয় পার্টি ১৯.৫০% , জামায়াতে ইসলামী ৩৮.৬১%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৬৫% ভোট পায়।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: