রাশিদুল খিলাফতের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব সংক্ষিপ্ত জীবনী জেনে নিন | Omar | ❤️
Автор: Toukir Rahman
Загружено: 2025-05-26
Просмотров: 117
Описание:
হযরত ওমর (রা.) এর জীবন পর্যালোচনা:
পরিচয় ও বংশ:
• নাম: ওমর
• পদবী: ফারুক (সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী)
• পিতা: খাত্তাব ইবনে নুফায়েল
• মাতা: হানতামা বিনতে হিশাম (বিখ্যাত সেনাপতি হিশাম ইবনে মুগিরার কন্যা)
• বংশ: কুরাইশ বংশের বনু আদি গোত্র
• জন্ম: রাসূলুল্লাহ (সা.) এর জন্মের ১৩ বছর পর।
• মামাতো ভাই: ইসলামের শ্রেষ্ঠ সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.)।
• বাসস্থান: জাহেলী যুগে মক্কার জাবালে আকিব এর পাদদেশে বনু আদি গোত্রের বসতিতে, যা পরবর্তীতে তার নামে "জাবালে ওমর" (ওমরের পাহাড়) নামে পরিচিত হয়।
শৈশব ও কৈশোর:
• পিতা খাত্তাব ছিলেন কঠোর ও নিরস প্রকৃতির। ওমর (রা.) ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নিলে পিতা তাকে মারধর করতেন
যুবক বয়স ও যোগ্যতা:
• যৌবনের প্রারম্ভেই যুদ্ধবিদ্যা, কুস্তি, বক্তৃতা, বংশতালিকা শিক্ষা (নসবনামা বিদ্যা) ইত্যাদি বিষয়ে পারদর্শী হন।
• বংশতালিকা বিদ্যা উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করেন।
• তার যুগের শ্রেষ্ঠ কুস্তিগীর ছিলেন এবং আরবের উকাজ মেলায় কুস্তি লড়তেন।
• বিখ্যাত ঘোড়সওয়ার ছিলেন।
• কাব্য প্রতিভাও ছিল এবং তৎকালীন খ্যাতনামা কবিদের প্রায় সব কবিতা তার মুখস্থ ছিল।
• বাগ্মিতা ছিল তার সহজাত গুণ।
• মক্কার গুটি কয়েক শিক্ষিত ব্যক্তিদের একজন ছিলেন।
• ব্যবসা-বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন এবং এ উপলক্ষে বহু দূর দেশে গমন করেন, যা তাকে বিভিন্ন জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তির সান্নিধ্যে আসার সুযোগ করে দেয়।
• জাহেলী যুগেই তার সুনাম সমগ্র আরবে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং কুরাইশরা তাকে দূতের দায়িত্বে নিয়োগ করত।
ইসলাম গ্রহণ:
• রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নবুয়তের ষষ্ঠ বছরে ইসলাম গ্রহণ করেন।
• তার চাচাতো ভাই জায়েদ দিনে হানিফের অনুসারী ছিলেন এবং আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস করতেন, যা ওমরের পরিবারে আগে থেকেই আলোচিত ছিল।
• ইসলামের প্রচারের ফলে কুরাইশদের মধ্যে বিভেদ ও অবক্ষয় দেখে ওমর (রা.) শঙ্কিত হন এবং এর জন্য নবী মুহাম্মদ (সা.) কে দায়ী করেন।
• পথিমধ্যে নাঈম ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) এর সাথে দেখা হলে তিনি প্রথমে নিজের বোন ফাতিমা ও ভগ্নিপতি সাঈদ (রা.) এর ইসলাম গ্রহণের সংবাদ দেন।
• রাগান্বিত হয়ে বোনের বাড়িতে গিয়ে তাদের প্রহার করেন, কিন্তু ফাতিমার রক্ত ও দৃঢ়তা দেখে এবং সূরা ত্বহার আয়াত শুনে তার হৃদয়ে পরিবর্তন আসে।
• তৎক্ষণাৎ রাসূল (সা.) এর কাছে দারুল আরকামে গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। তার ইসলাম গ্রহণে সাহাবীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়।
ইসলাম গ্রহণের পর:
• ওমরের ইসলাম গ্রহণ ইসলামের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। ইসলাম প্রকাশ্য রূপ নেয়।
• তিনি কুরাইশদের প্রধান আবু জাহেলের (যিনি সম্পর্কে ওমরের আপন মামা ছিলেন) কাছে গিয়ে নিজের ইসলাম গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন।
• রাসূল (সা.) এর ওফাতের পর খলিফা নির্ধারণের সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং আবু বকর (রা.) এর নাম প্রস্তাব করেন।
• খলিফা আবু বকর (রা.) এর শাসনামলে তার প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন এবং সব বিষয়ে সহযোগিতা করতেন, যদিও ক্ষেত্রবিশেষে ভিন্নমতও প্রকাশ করতেন।
খেলাফতকাল (হিজরি ১৩-২৩ সন):
• হিজরি ১৩ সনের ২২ জমাদিউস সানি (১৩ আগস্ট ৬৩৪ খ্রিস্টাব্দ) আবু বকর (রা.) এর ইন্তেকালের পর খলিফা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
• আবু বকর (রা.) মৃত্যুর আগে ওমর (রা.) কে খলিফা মনোনীত করার বিষয়ে সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করেন এবং এ ব্যাপারে ওমর (রা.) নিজে আপত্তি জানালেও আবু বকর (রা.) তাকেই যোগ্য মনে করেন।
• তিনিই প্রথম খলিফা যিনি "আমিরুল মুমিনীন" উপাধিতে ভূষিত হন।
• তার শাসনামলেই ইসলামী খেলাফত সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত হয়। পারস্য ও বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের পতন ঘটে এবং মোট ১০৩৬ টি শহর মুসলিম অধিকারে আসে।
• ইসলামী হুকুমতের নিয়মতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠা তার যুগেই সম্পন্ন হয়।
• বিভিন্ন প্রশাসনিক সংস্কার করেন:
• হিজরি সন প্রবর্তন করেন।
• তারাবির নামাজ জামাতে পড়ার ব্যবস্থা করেন।
• রাষ্ট্রকে বিভিন্ন প্রদেশে বিভক্ত করেন।
• তার শাসনামলে মুসলিমদের জন্য বাইতুল মাল থেকে ভাতা নির্ধারণ করা হয়। খলিফা হিসেবে তিনি নিজের জন্য বাৎসরিক মাত্র ৫০০০ দিরহাম ভাতা নিতেন, যা হিজরতের আগে ইসলাম গ্রহণকারী সাহাবীদের ভাতার সমান ছিল।
ন্যায়বিচার ও চারিত্রিক গুণাবলী:
• তার শাসন ও ইনসাফের কথা কিংবদন্তির মতো।
• সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট নিজ চোখে দেখতে প্রায়ই ছদ্মবেশে মদিনার গ্রামে ঘুরতেন।
• ক্ষুধার্ত সন্তানদেরকে মিথ্যা সান্ত্বনা দেওয়া এক অসহায় মায়ের দুঃখ দেখে নিজে কাঁধে আটার বস্তা বয়ে তার কাছে পৌঁছে দেন।
• এক অমুসলিম মিশরীয় নাগরিকের অভিযোগে মিশরের তৎকালীন গভর্নর আমর ইবনুল আসের পুত্রকে প্রকাশ্যে প্রহার করেন।
• নিজের পুত্রের বিরুদ্ধে মদ্যপানের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে ৮০ বেত্রাঘাতের শাস্তি দেন, যা সহ্য করতে না পেরে তার পুত্রের মৃত্যু হয়, কিন্তু তিনি ন্যায়ের দণ্ড থেকে বিচ্যুত হননি।
• তার খেলাফতকাল ছিল ১০ বছর ৬ মাস ৪ দিন।
• মৃত্যুর আগে তিনি আলী, উসমান, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ, সাদ বিন আবু ওয়াক্কাস, জুবায়ের ও তালহা (রা.) – এই ছয়জন সাহাবীর সমন্বয়ে খলিফা নির্ধারণের জন্য একটি বোর্ড গঠন করে দেন। আত্মীয়তার কারণে নিজের ভগ্নিপতি সাঈদ (রা.) কে এই কমিটিতে রাখেননি।
ইসলামে মর্যাদা:
• রাসূলুল্লাহ (সা.) এর অন্যতম কাতিব (ওহী লেখক) ছিলেন।
• निज কন্যা হযরত হাফসা (রা.) কে রাসূল (সা.) এর সাথে বিবাহ দেন।
• হযরত আলী (রা.) তাকে রাসূল (সা.) ও আবু বকর (রা.) এর পর উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি বলে মন্তব্য করেছেন।
• হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেছেন, "ওমরের ইসলাম গ্রহণ ছিল ইসলামের বিজয়, তার হিজরত ছিল আল্লাহর সাহায্য আর তার খেলাফত ছিল আল্লাহর রহমত।"
• রাসূল (সা.) বলেছেন, "আমার পরে কেউ নবী হলে সে হতো ওমর।"
#ইসলাম #ইসলামীকনটেন্ট #ইসলামীভিডিও #হাদিস #কুরআন #নসিহত #ইমান #আখিরাত
#জান্নাত #জাহান্নাম #ইসলামীশিক্ষা #ইসলামিকউপদেশ #ইসলামিকগল্প #ইসলামিকবক্তব্য
#Islam #IslamicContent #Quran #Hadith #IslamicReminder #IslamicVideo
#IslamicKnowledge #IslamicLecture #Dawah #IslamicQuotes #Muslim
#Akhirah #Jannah #Jahannam #Sunnah
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: