এইমাত্র পাওয়া | ড.ইউনুসের পদত্যাগ নিয়ে চীন প্রধানমন্ত্রীর বার্তা | ফেঁ'সে গেলো সেনাপ্রধান | Dr Yunus
Автор: Al Minar
Загружено: 2025-05-23
Просмотров: 255464
Описание:
Al minar
Ajker Bangla Khobor 23 may 2025 | Bangladesh Letest News | Somoy Sangbad News | Bangla News
প্রফেসর ইউনূস এখন কী করবেন?
তার সামনে বিকল্প খুবই কম। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তার নেতৃত্ব অনেকটাই চ্যালেঞ্জের মুখে। হয় তিনি পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেবেন, না হয় পদত্যাগ করে চলে যাবেন। সর্বশেষ খবর প্রফেসর ইউনূস ইতিমধ্যেই অভ্যুত্থানের নায়কদের ডেকে বলেছেন, তোমরা সংযত হও, নাহলে আমি পদত্যাগ করবো। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে সরকারের সঙ্গে তার মতপার্থক্যের কথা জানিয়েছেন। সকল স্তরের সেনা কর্মকর্তাদের তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। যেটা প্রফেসর ইউনূস কখনো স্পষ্ট করেননি। তার উপদেষ্টারা সবসময় পানি ঘোলা করেছেন। তিনি ডিসেম্বর থেকে জুনের কথা বলে নির্বাচনকে অনিশ্চিত করে তুলেছেন। বারবার দাবি তোলা সত্ত্বেও তিনি বিষয়টি খোলাসা করেননি।
সেনাপ্রধান জানুয়ারি, ২০২৬-এর মধ্যে নির্বাচিত সরকার দেখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। রাখাইনে মানবিক করিডোর নিয়ে জাতিকে অন্ধকারে রেখেছেন প্রফেসর ইউনূস। নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার পর বিভ্রান্তির বেড়াজালে ফেলেছেন জনগণকে। অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে জটিল এক পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবকে এনে করিডোরের যথার্থতা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। যদিও তিনি স্পর্শকাতর এই বিষয়টি নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেননি। রাজনৈতিক দলগুলো কড়া সমালোচনা করেছে। জামায়াতের আমীরও বিষয়টি স্পষ্ট করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। সেনাপ্রধান বলে দিয়েছেন, আখেরে এটা হবে জাতির জন্য আত্মঘাতী। সেনাবাহিনী করিডোর মানবে না। তার ভাষায়- কোনো করিডোর নয়।
যদিও প্রায় একই সময় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তারা করিডোর নিয়ে আলোচনা করেননি এবং করবেন না। এটা ছিল এক হাস্যকর আওয়াজ। কারণ তিনি একাধিকবার বলেছেন, এ নিয়ে কে, কী বললো- তাতে যায় আসে না। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার হয়েছে এ ব্যাপারে। এতদিন তারা প্রফেসর ইউনূসের পক্ষেই গান গাইছিল। ‘মবতন্ত্র’ নিয়েও সেনাপ্রধান কথা বলেছেন। ৫ই আগস্টের পর এটা ছিল মস্তবড় এক চ্যালেঞ্জ। দেশের আনাচে-কানাচে পর্যন্ত ‘মবতন্ত্রে’ স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কাবু হয়ে পড়েছিল। মানুষ ছিল আতঙ্কিত। পুলিশের অনুপস্থিতিতে মবকারীরা আইনের শাসনকে তোয়াক্কা করেনি। সেনাপ্রধান এ প্রসঙ্গে বলেছেন, এখন থেকে এগুলো আর সহ্য করা হবে না। চট্টগ্রাম বন্দর নিয়েও তার খোলামেলা কথা। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক জনগণ এবং নির্বাচিত সরকার। প্রফেসর ইউনূসের সরকার চট্টগ্রাম বন্দরকেও বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল। আরও বেশ কিছু বিষয়ে সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব বাড়ছিল। বিরক্ত ছিল সেনাবাহিনী। যার বিস্ফোরণ ঘটেছে বুধবার আলোচিত দরবারে। সেনাবাহিনীকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হচ্ছিল। বিশেষ করে সরকারঘনিষ্ঠ এনসিপি কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছিল জেনারেল ওয়াকারকে। অথচ ওয়াকারের সহযোগিতা ছাড়া এই অভ্যুত্থান সম্পন্ন হতো কিনা তা নিয়ে অংক করার দরকার নেই। একবাক্যে সবাই বলবেন, সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল এখানে মুখ্য। জেনারেল ওয়াকারের অভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা ছিল মস্তবড় চ্যালেঞ্জ এবং ঝুঁকিপূর্ণ। একদিকে পতিত শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। অন্যদিকে তার নিজস্ব শিবিরেও ছিল বেশ কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য। কিন্তু ওয়াকার পেছনে ফিরে তাকাননি। অভ্যুত্থানের পক্ষেই সায় দিয়েছেন। সমর্থন দিয়ে গেছেন এই সরকারের সব সিদ্ধান্তে। যদিও সরকারপ্রধান প্রফেসর ইউনূস অনেক বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করেননি।
এই পরিস্থিতিতে কোনদিকে মোড় নেবে বাংলাদেশের রাজনীতি? প্রফেসর ইউনূসই বা কী সিদ্ধান্ত নেবেন। বলাবলি হচ্ছে, হয় তিনি সবকিছু মেনে নিয়ে দায়িত্বে থাকবেন। নতুবা ছেড়ে দিয়ে তার আগের জীবনে ফিরে যাবেন। অতীত ইতিহাস বলে, তিনি হঠাৎ করেই কেবলা বদল করতে পারেন। এর আগেও তিনি একদফা দল গঠন করে আবার নিজেই দলের বিলুপ্তি ঘোষণা দিয়ে রাজনীতির দৃশ্যপট থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। তার পক্ষে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়াই সম্ভব। তিনি যদি নির্বাচনের দিকে না হাঁটেন, তাহলে সমূহ বিপদ। কারণ বল এখন আর তার কোর্টে নেই। জেনারেল ওয়াকার জনগণের কাছে ঠেলে দিয়েছেন। তিনি গোড়া থেকেই বলে আসছিলেন, ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। কিন্তু প্রফেসর ইউনূসের ক্ষমতালোভী কিছু উপদেষ্টা এ নিয়ে নোংরা খেলা খেলেছেন। তাদের একমাত্র পুঁজি ছিল ছাত্র কিংবা নবগঠিত এনসিপি। একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠীও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিল। প্রফেসর ইউনূসের উপদেষ্টাদের কেউ কেউ এমন মতও দিচ্ছিলেন, আওয়ামী লীগ গেছে, বিএনপিও যাবে- এটা কি সম্ভব? অনেকটাই আকাশ-কুসুম কল্পনা। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হলো। অর্থনীতি সংকটে। বিনিয়োগ নেই। মানুষ তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। পুঁজি ভেঙে খাচ্ছে মানুষ। সংসারে হিসাব মেলাতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। এতসবের মধ্যেও মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা মানুষের মতামতকে তোয়াক্কা করেনি। মূল্য দেয়নি তাদের আত্মত্যাগকে। মানুষ খুঁজে বেড়াচ্ছে সরকারকে। কারণ কোথাও যে নেই সরকার। বিএনপি’র তরফেও যে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে তা খুবই স্পষ্ট। ডিসেম্বর সামনে রেখে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে দলটি। তারা এই সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে কিনা- এ নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছে।
#ডক্টর_ইউনুস #সেনাপ্রধান #dryunus #armychief #banglanews
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: