পবিত্র শবে বরাত কেন সৃষ্টি হলো || এই রাতের গুরুত্ব || করণীয় ও বর্জনীয় || Khoniker musafir
Автор: হ্যাপি লাইফ (Happy Life)
Загружено: 2020-04-04
Просмотров: 1087
Описание:
পবিত্র শবে-বরাত কি এবং এর ফজিলাত নিয়ে এই ভিডিওতে আলোচনা করা হইছে। আশা করি এই ভিডিওটির মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পারবেন বিস্তারিত।
ভিডিওটি ভালোলাগলে অবশ্যই লাইক করুন, কমেন্ট করে আপনার মুল্যবান মন্তাব্য জানাতে ভুল করবেন না।
★★★ নিওমিত আপডেট পেতে চ্যানেলটি Subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন।
ধন্যবাদ....!
-------------------------------------------------------------------------
ফজিলত ও করণীয়:
শবে বরাতের রাত তাৎপর্য মন্ডিত। এর যথেষ্ট ফজিলত ও বরকত রয়েছে। অন্য দিকে মাহে রমজানের আগের মাস হওয়ার কারণে মূলত এটি মাহে রমজানের সাধনা ও অধ্যবসায়ের পূর্ব প্রস্তুতির মাস।
রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন শাবান আমার মাস আর রমজান মহান আল্লাহ তায়ালার মাস।
হুজুরে পাক (সা.) আরো এরশাদ করেন, যখন তোমাদের মাঝে শবে বরাতের আগমন হয় তখন তোমরা সেই রাতে জাগ্রত থেকে কাটাও, নামাজ পড়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত কর এবং দিনের বেলায় রোজা রাখ।
কারণ, ওই দিন সূর্যাস্তের পরপরই মহান আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আকাশে ফজর পর্যন্ত স্বীয় নূরের তাজাল্লীর বিচ্চুরণ ঘটান এবং মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়-
কোনো গুনাগার নাফরমান ব্যক্তি আছে কি- যে আমার সমীপে ক্ষমা প্রার্থনা করবে? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। রিযিক প্রার্থী কেউ আছে কি- যে আমার কাছে রিযিক প্রার্থনা করবে? তার জন্য আমার রিযিক ভান্ডার খুলে দিব। কোনো বিপদ গ্রস্থ আছে কি- যে আমার কাছে মুক্তি চাবে? আমি তাকে বিপদ থেকে মুক্ত করে দিব।
সারারাত মহান আল্লাহর তায়ালার পক্ষ থেকে সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত এই ভাবে ঘোষণা দেয়া হয়ে থাকে এবং বান্দাদের উপর আল্লাহর রহমত অজস্র ধারায় নাজিল হতে থাকে (ইবনে মাজা)।
হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আজ রাতে জন্ম মৃত্যু নিধারণ, জীবিকা বন্টন এবং মানুষের সব কার্যাবলী আকাশে উঠানো হবে (জামিয়াতুল তালেবিন )।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, নবী করিম (সা.) এরশাদ করেন শাবানের মধ্যবর্তী রাতে হযরত জিবরাইল (আ.) আমার নিকট এসে বললেন, হে মুহম্মদ (স.) আপনার মাথা আকাশের দিকে উঠান, কেননা আজ বরকতের রাত। আমি বললাম কেমন বরকত? হযরত জিব্রাইল (আ.) বললেন, এ রাতে মহান আল্লাহপাক রহমতের ৩০০ দরজা খুলে দেন।
রাতের চতুর্থাংশে পুনরায় জিব্রাইল (আ.) এসে বললেন, হে মুহম্মদ (সা.) মাথা উত্তোলন করুন, আমি মাথা উত্তোলন করে দেখলাম বেহেস্তের সব দরজা খোলা। প্রথম দরজা থেকে এক জন ফেরেস্তা দাড়িয়ে বলছেন আজ রুকুকারীদের জন্য সুসংবাদ।
দ্বিতীয় দরজা থেকে একজন দাড়িয়ে বলছেন, আজ সেজদাকারীদের জন্য সুসংবাদ। তৃতীয় দরজায় একজন দাঁড়িয়ে বলছেন, আজ জিকিরকারীদের জন্য সুসংবাদ। চতুর্থ দরজায় একজন দাঁড়িয়ে বলছেন, আজ আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনকারীদের জন্য সুসংবাদ।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম কখন পর্যন্ত এই দরজা খোলা থাকবে। হযরত জিব্রাইল (আ.) বললেন, সুবহে সাদিক পর্যন্ত।
হযরত হাসান বসরী ( রহ.) নবী করিম (সা.) এর ৩০ জন সাহাবীর থেকে বর্ণনা করেন, এ রাতে নামাজ আদায়কারীদের প্রতি আল্লাহ তায়ালা ৭০ বার রহমতের দৃষ্টি করে থাকেন এবং প্রত্যেক দৃষ্টিতে ৭০ টি ইচ্ছা পূরণ করে থাকেন।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, এ রাতে আল্লাহ তায়ালা বণী ক্বালব, বণী নজীব ও বণী রবি এ তিন বংশের বকরী ভেড়ার পশম সমতুল্য অসংখ গুনাহগারকে মাফ করে দেন। উল্লেখ্য এদের অধিক বকরী ছিল।
আমাদের উচিত আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য এ রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ, তওবা, দুরুদ শরীফ পাঠ জিকির আজগার ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং সব মৃত মুসলিম নর-নারীর জন্য দোয়া করা।
কাদের গোনাহ মাফ হবে না:
এত বরকতময় রজনীতেও কিছু লোকের দোয়া আল্লাহ কবুল করবেন না। এরা হলো মুশরিক, আল্লাহর সঙ্গে শত্রুতা পোষণকারী, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, আত্মীয়তা ছিন্নকারী, মদ পানকারী, জুয়াড়ী, অত্যাচারী সৈনিক, তবলা বাদক।
বর্জনীয়:
শবে বরাত মহান আল্লাহর দেয়া একটি পবিত্র রাত। এ রাতে অনেক পুরুষ-মহিলা ইবাদাতে মশগুল থাকেন । কেউ আবার মনগড়া রীতি-নীতি নিয়ে বিভিন্ন কুসংস্কার মূলক কাজ সওয়াবের আশায় করে থাকেন। এতে সওয়াব না হয়ে হয় কঠিন গুনাহ।
যেমন- বোমাবাজী বা আলোকসজ্জা করা, মসজিদে অযথা মোমবাতি জ্বালানো, গরু, ছাগল, মোরগের গোশত যোগাড় করাকে আবশ্যক মনে করা।
এ ছাড়াও পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে আমাদেও দেশে হালুয়া, রুটি বনানোর হিড়িক পড়ে যায়। অথচ হালুয়া রুটি সম্পর্কে কোনো প্রমান শরিয়াতে নেই। এটা সম্পূর্ণ বিদআত।
মহান আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের সবাইকে এ পবিত্র রজনীতে সঠিকভাবে ইবাদত করার তৌফিক দান করেন। (আমীন)।
সুত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ/আরএজে
#sobeborat
#শবেবরাত
#পবিত্রশবেবরাত
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: