চীনের ইতিহাস । History of China। হংকং, ম্যাকাও, তাইওয়ান
Автор: Ali Murtaza Tarek
Загружено: 2024-03-27
Просмотров: 369
                Описание:
                    ১) পৃথিবীর ইতিহাসে চীন হচ্ছে দ্বিতীয় রাষ্ট্র যেখানে রাশিয়ার পর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। 
২) চীনের সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবে কৃষকশ্রেণির ভূমিকা ছিল। 
৩) সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাও সেতুং । 
৪) জাতিসংঘে ভেটো প্রদানকারী ৫ টি দেশের মধ্যে চীন অন্যতম। 
৫) চীনে ৫৬ টি জাতি রয়েছে। দেশের ৯৪ ভাগ লোক হান জাতির। 
৬) সিয়া রাজবংশ ছিল চীনের প্রথম রাজবংশ (২১০০ খ্রিষ্টপূর্ব থেকে ১৭০০ খ্রিস্টপূর্ব) 
৭) ১৭৯৩ সালে লর্ড ম্যাকারটনি নামে একজন দূতকে পাঠানো হয় ব্রিটেনের সাথে চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য। কিন্তু তৎকালীন চীনা সম্রাট প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। 
৮) ১৮৩৯-১৮৪২ সালে প্রথম আফিম যুদ্ধ (চীন-ব্রিটেন), চীন পরাজিত হয়। 
৯) ১৮৪২ – নানকিং চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধের পরিসমাপ্তি। সন্ধি অনুযায়ী চীন হংকং বন্দর ব্রিটেনের কাছে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।  
১০) ১৮৫৬-১৮৫৮ সালে দ্বিতীয় আফিম যুদ্ধ। ১৮৫৮ সালে তিয়েনসিয়েন সন্ধি। চীনের ১৬ টি বন্দর বিদেশীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।  
১১) ১৯০০ সালে চীনে বক্সার বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। 
১২) ১৮৯৪-৯৫ সালে কোরিয়া অধিকারকে কেন্দ্র করে চীন-জাপান যুদ্ধ। চীন পরাজিত হয়। 
১৩) ১৯১১ সালে ডঃ সান-ইয়াত-সেনের নেতৃত্বে চীনা বিপ্লব সংঘটিত হয়। চীনের কিং রাজবংশের (মাঞ্চু) পতন, এর মধ্য দিয়ে ২০০০ বছরের অধিক সময় ধরে চলে আসা রাজতন্ত্রের অবসান এবং প্রজাতন্ত্রের সূচনা হল। 
১৪) ১৯১২ সালে সান ইয়াত সেন তার দলের নাম রাখেন কুয়ো মিং তাং । সান ইয়াত সেনের আসল নাম “সুন চোং সাই’ যিনি চীনের ‘জর্জ ওয়াশিংটন’ নামে পরিচিত, চীনা বিপ্লব-  জিনহাই বিপ্লব/প্রজাতন্ত্রী বিপব নামেও পরিচিত। 
১৫) ১৯২১ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে জন্মলাভ করে।  
১৬) ১৯২৫ সালে চিয়াং কাইশেক কুয়ো মিং তাং পার্টির নেতৃত্ব লাভ করেন । ১৯৩১ সালে জাপান মাঞ্চুরিয়া আক্রমন করে ও ১৯৩৭ সালে দখল করে নেয়। 
১৭) ১৯৩৭- ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত মাও সেতুং তার লালফৌজদের নিয়ে জাপানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন । ১৯৪৫ সালে জাপান আত্মসমর্পণ করে। 
১৮) ১৯৪৫-৪৭ সাল পর্যন্ত চীনের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র কাঠামো নিয়ে কমিউনিস্ট ও জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ চলে। 
১৯) ১৯৪৯ সালে মাও সেতুং এর নেতৃত্বে চীনের মুল ভূখণ্ডে কমিউনিস্ট কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় , যেটি গণপ্রজাতন্ত্রী চীন নামে পরিচিত। 
২০) চিয়াং কাইশেক তার বাহিনী নিয়ে প্রথমে ক্যান্টনে আশ্রয় নেন পরে ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বরে সাবেক ফরমোজা ও বর্তমানে তাইওয়ানে স্থায়ী আশ্রয় গ্রহন করেন। 
২১) ১৯৪৯ সালে ১ অক্টোবর – মাও সেতুং চীনকে গণপ্রজাতন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন এবং তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের চেয়ারম্যান পদ গ্রহন করেন।  
২২) ১৯৫৮-৬২ সালে Great Leap Forward নামে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসূচী সংঘটিত হয় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির উদ্যোগে । 
২৩) ১৯৬৬-১৯৭৬ – চীনে সাংস্কৃতিক বিপ্লব সংঘটিত হয়। 
২৪) ১৯৭৬ সালে মাও সেতুং এর মৃত্যুর পর দেং জিয়াও পিং কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান হন এবং ১৯৭৮ সালে চীনের অর্থনৈতিক সংস্কার করেন । 
২৫) ১৯৮৬ সালে কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান হন – ঝাও ঝিয়াং 
২৬) ১৯৮৯ সালে তিয়েনআনমেন স্কয়ারে ছাত্রবিপ্লব সংঘটিত হয় এবং ঝাও ঝিয়াং অপসারিত হন এবং জিয়াং ঝেমিন পার্টির দায়িত্ব নেন। 
২৭) ১৯৯৩ সালে জিয়াং ঝেমিনের হাত ধরেই চীনের সংবিধান সংশোধন করে সেখানে বাজার অর্থনীতি অন্তর্ভুক্ত হয়।  
২৮) ২০০১ এর ১১ ডিসেম্বরে চীন WTO (World Trade Organization) এর সদস্য হয়। 
চীন সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী- 
২৯) চীনের ইতিহাসে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয় – ১৯৫৯-৬২ 
৩০) ভারত- চীন যুদ্ধ সংঘটিত হয় – ১৯৬২ সালে (এ যুদ্ধে চীন কাশ্মীরের উত্তর পূর্ব অংশ দখল করে নেয় যেটি আকসাই চীন নামে পরিচিত । 
৩১) চীন পারমানবিক শক্তিধর দেশ হয়- ১৯৬৪ সালে 
৩২) গণপ্রজাতন্ত্রী চীন জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হয় ১৯৭১ সালে, এর আগ পর্যন্ত তাইওয়ান চীনের প্রতিনিধিত্ব করত জাতিসংঘে। 
৩৩) যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়- পিংপং ডিপ্লোম্যাসির মাধ্যমে ১৯৭১ সালে। 
৩৪) চীনের মহাপ্রাচীর – চীনের উত্তর সীমান্তে , এটি নির্মিত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ২২০- ২০৬ অব্দে। চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াঙয়ের আমলে নির্মিত প্রাচীরটিই সবচেয়ে বিখ্যাত। আর বর্তমান প্রাচীরটি মিং রাজবংশের আমলে নির্মিত। 
৩৫) চীনের সাথে ১৪ টি দেশের সীমান্ত রয়েছে। 
৩৬) চীনের দ্বৈত অর্থনীতির কারণ- হংকংয়ের অর্থনীতিকে চালু রাখা । 
৩৭) সিল্ক রোড হল- চীনের চালু করা বাণিজ্য পথ, চীনের হান রাজবংশের আমলে খ্রিষ্টপূর্ব ১ম শতকে চালু হয় এবং ১০ম শতাব্দী পর্যন্ত চালু থাকে (সং রাজবংশের আমল)।  চীনা রেশম বানিজ্যের জন্য ইরান ও চীনের মধ্যে ২০০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয় সিল্করুট।   
৩৮) নতুন সিল্ক রোড চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়- ২০১৩ সালে (সি চীন পিং), এটি “ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড” ও “বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ” নামে পরিচিত। মোট ৬৮ টি দেশ ও সংস্থা এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত আছে। (ভুটান ও ভারত এই পরকল্পনায় নেই) 
৩৯) চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাস করে- উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়, এরা জাতিতে তুর্কী। ফালুন গং হল ১৯৯২ সালে ঘটা একটি আধ্যাত্মিক আন্দোলনের নাম। 
৪০) তিব্বতের উপর চীনের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৫০ সালে। তিব্বতের ধর্মীয় নেতাকে বলা হয় হয়- দালাইলামা। বর্তমান দালাইলামা ১৪তম – আসল নাম তেনজিং গিয়াতসো। দালাইলামা তিব্বত ত্যাগ করে ২৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৫৯ সালে ভারতে আশ্রয় নেন। 
৪১) চীন তিব্বতকে ধর্মীয় স্বাধীনতা দান করে ২৭ মে ১৯৫১ সালে। দালাইলামা ১৯৮৯ সালে শান্তিতে নোবেল লাভ করেন। 
৪২) হংকং ব্রিটেনের অধীনে ছিল ১৫৬ বছর, ব্রিটেন ৯৯ বছরের জন্য হংকং লিজ নেয় ১৮৯৮ সালে , ব্রিটেন হংকংকে চীনের কাছে ফেরত দেয় ১ জুলাই, ১৯৯৭ সালে। হংকং এ একদেশ, দুই নীতি চালু থাকবে- ২০৪৭ পর্যন্ত। 
৪৩) পর্তুগাল ম্যাকাও শাসন করে ৪৪২ বছর, চীনের নিকট ম্যাকাওকে ফেরত দেয়- ২০ ডিসেম্বর, ১৯৯৯ সালে। ম্যাকাওতে একদেশ, দুই নীতি চালু থাকবে – ২০৪৯ সাল পর্যন্ত।                
                
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
- 
                                
Информация по загрузке: