বাছুরের ডার্মাটোফিলোসিস রোগের কারণ ও চিকিৎসা

Описание: বাছুরের লোম পড়ে যাওয়ার (চামড়া খসা বা টাক পড়া) কয়েকটি সাধারণ কারণ আছে। নিচে বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো👇

🐮 বাছুরের লোম পড়ার প্রধান কারণগুলো

1. পরজীবী (Parasite) সংক্রমণ

উকুন, ঘুনিপোকা, মাইট (Mange mite) ইত্যাদি ত্বকে সংক্রমণ ঘটায়।

ফলে চুলকানি, ত্বকে ঘা, ও লোম ঝরে পড়ে।

সাধারণত ঘাড়, কান, চোখের চারপাশ, পিঠে শুরু হয়।

2. ফাঙ্গাস (Ringworm বা ছত্রাক সংক্রমণ)

গোল গোল করে লোম উঠে যায় ও ত্বক সাদা বা খসখসে হয়ে যায়।

এটি সংক্রামক, অন্য গরুতেও ছড়ায়।

3. ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি

বিশেষ করে জিঙ্ক, কপার, ভিটামিন A ও E এর অভাব হলে লোম রুক্ষ হয়ে পড়ে যায়।

ত্বক শুকনো ও খসখসে হয়।

4. অতিরিক্ত রোদ ও ধূলাবালি পরিবেশ

বাছুর বেশি সময় খোলা রোদে থাকলে বা ময়লা পরিবেশে থাকলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে।

5. ত্বকের অ্যালার্জি

নতুন ওষুধ, সাবান, স্প্রে বা খাবারে অ্যালার্জি থেকেও লোম পড়তে পারে।

6. অপুষ্টি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া

দুধ বা খাদ্যে প্রোটিন, খনিজ, ভিটামিনের ঘাটতি থাকলে ত্বক দুর্বল হয়।

💊 চিকিৎসা ও করণীয়

1. ত্বক পরিষ্কার রাখুন – নিয়মিত ব্রাশ ও শুকনা জায়গায় রাখুন।

2. পরজীবী নাশক ওষুধ দিন –

যেমন: Ivermectin ইনজেকশন (1% – 1ml/50kg) বা Pour-on ড্রপ।

প্রয়োগের আগে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

3. ভিটামিন-মিনারেল সাপ্লিমেন্ট দিন –

“ADE + Zinc + Copper” সমৃদ্ধ সাপ্লিমেন্ট প্রতিদিন বা সপ্তাহে কয়েকবার দিন।

4. ফাঙ্গাস থাকলে

“Keto shampoo”, “Clotrimazole cream” বা “Itraconazole spray” ব্যবহার করা যায়।

5. পরিবেশ ও বিছানা শুকনা রাখুন –

ভেজা বা গরম জায়গা থেকে বাঁচিয়ে রাখুন।


⚠️ বিশেষ পরামর্শ

যদি লোম পড়ার সাথে –

ঘা, চুলকানি, পুঁজ বা ফাঙ্গাসের দাগ থাকে,

বা একাধিক বাছুরে একই সমস্যা দেখা দেয়,

👉 তাহলে অবশ্যই ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এতে দ্রুত ও সঠিক চিকিৎসা সম্ভব হবে।