শেকড়ের সন্ধানে একদিন - প্রদীপ্ত কৃষি || One day in search of roots - Prodiptokrishi
Автор: Prodipto Krishi
Загружено: 2023-04-07
Просмотров: 249
Описание:
কালের বিবর্তনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার প্রসারের ফলে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য গরুর হাল। সকালে ঘুম থেকে উঠে কৃষকরা কাঁধে লাঙল জোয়াল নিয়ে জমি চাষের জন্য মাঠে যাওয়ার দৃশ্য ছিল নিত্যদিনের। সেই দৃশ্যগুলো এখন আর চোখে পরেনা যা শুধুই ঐতিহ্য।
গ্রামীণ প্রতিটি কৃষি পরিবারে ছিলো ঐতিহ্য বাহি গরুর হাল। এখন যাওবা আছে তবে সেটা আর কাজে লাগেনা, শুধুই সাজিয়ে রাখা হয়েছে। প্রায় এক দশক আগেও খুব সকালে কাঁধে লাঙ্গল-জোয়াল নিয়ে মাঠে যেতে দেখা যেত কৃষি পরিবারের লোকেদের। তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে ফসল ফলাতেন। জমিতে হাল চাষ শেষে সেই জমিতে দেয়া হতো মই। আর মই দেওয়ার সময় কখনো আবার শিশুদের মইয়ের উপর বসানো হতো। আর শিশুদের জন্য সেই মুহূর্তটা এক আনন্দে ঘরা মুহূর্ত। এখনা আর সেই দিন নেই, সেই দিন গুলি এখন শুধুই কল্পনায়। গ্রাম বাংলা থেকে গরুর হাল বিলুপ্তির প্রধান কারন হলো আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার।
গোলাভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ ও গোয়াল ভরা গরু এসবই গ্রাম বাংলার কৃষকদের প্রাচীন ঐতিহ্য হলেও বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারের ফলে সেই ঐতিহ্য এখন বিলুপ্তির পথে। যা একটা সময় গিয়ে রূপকথার গল্পে মোড় নেবে। জনসংখ্য বৃদ্ধির ফলে দিনকে দিন কমে যাচ্ছে আবাদী জমি ও বসত ভিটা। ফলে ভাটা পড়ছে গরু পালনে। ইচ্ছা থাকলেও গোয়াল ঘরের জায়গার অভাবে হয়ে উঠছে না আর গরু পালন।
একসময় গরু ছাড়া কৃষিকাজ ছিল অসম্ভব যার কারণে কৃষকরা বাধ্য হয়েই গরু পালন করতো। এখন জমির স্বল্পতার কারণে গরু পালন ছেড়ে দিয়েছে অনেক কৃষক। বর্তমানে পাওয়ার ট্রিলার ও ট্রাক্টরের প্রচলনে হারিয়ে যেতে বসেছে গবাদী পশু দিয়ে হালচাষ। এক সময় যে কোনো ফসল ফলানোর আগে গরু দিয়ে হাল চাষ করতো কৃষক। কিন্তু এখন কৃষি ফসল ফলানোর জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হওয়ায় গরু দিয়ে হাল চাষ বিলুৃপ্তির পথে ।
এক সময় হালচাষ করতে অনেক কৃষক বাড়িতে গরু পালন করতো। আবার অনেক কৃষক গরুর হাল কে পেশা হিসেবে ব্যবহার করতো এবং তা দিয়ে সংসার চালাতো। গরু দিয়ে হাল চাষে সময় লাগলেও কৃষকরা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে গরুর হাল সংগ্রহ করতো। হালের গরু দিয়ে গরীব মানুষ তাদের পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতো। যেসব কৃষক গরু দিয়ে হালচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন কালের বিবর্তনে তারা পেশা হারিয়ে অন্য উপায়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
এক সময় খন্ড খন্ড জমিতে হাল চাষের একমাত্র মাধ্যম ছিল গরুর হাল। এখন ঐসব জমিতে পাওয়ার ট্রিলার দিয়ে হালচাষ করতে অনেক বেগ পেতে হয়। চাষাবাদে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার হওয়ায় ধীরে ধীরে গরুর হালচাষ হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও অনেক কৃষক বাপ দাদার এই গরুর হাল চাষ পদ্ধতি টিকিয়ে রেখেছেন। হয়তো ভবিষ্যতে প্রযুক্তির আরো ব্যবহারের ফলে গ্রাম বাংলা থেকে একেবারে হারিয়ে যাবে গরুর হাল চাষ পদ্ধত্বি। কৃষকরা এখন কৃষিকাজে ব্যবহার করছে পাওয়ার ট্রিলার, ট্রাক্টর, ধান মাড়াই মেশিন, ধানকাটা মেশিন , ধান লাগোনো মেশিন, স্যার প্রয়োগের মেশিন সহ আধুনিক সব কৃষি যন্ত্রপাতি। কয়েক বছর আগেও গ্রামাঞ্চলে গরু দিয়ে হালচাষ, ধান মাড়াই করা হতো। এখন সেই দৃশ্য গুলি আর চোখে পরেনা। এখন আর কৃষকরা ভোর বেলা পান্তাভাত খেয়ে লাঙল জোয়াল নিয়ে জমি চাষের উদ্দেশ্যে বের হয় না।
এদিকে কৃষিকাজে শ্রম বেশি লাভ কম তাই অনেকে জমি ছেড়ে দিয়েছে। এছাড়া গোখাদ্যর মূল্য বৃদ্ধি, গোচারন ভূমীর স্বল্পতার কারণে গরু পালন ছেড়ে দিয়েছে অনেকে। এভাবেই নানা কারণে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য গরুর হাল।
#কৃষি #কৃষক #লাঙ্গল_জোয়াল
#চাষ_পদ্ধতি #আবাদ
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: