বাদশাহ থেকে আল্লাহর ওলি। ইব্রাহিম ইবনে আদহামের কাহিনী। সুলতানুল আউলিয়া নাছির উদ্দীন সাহেব দাঃ বাঃ
Автор: Desh বাংলা টিভি
Загружено: 2023-02-05
Просмотров: 740
Описание:
ভোগে নয় ত্যাগেই জীবনের প্রকৃত স্বাদ লাভ করা যায়। পৃথিবীর সমস্ত ধন-সম্পদের চাবিকাঠি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দ.)-এর নিকট গচ্ছিত থাকার পরও সমস্ত ভোগ-বিলাসিতা ও আড়ম্ভরতা পরিত্যাগ করে তিনি পরম স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভের জন্য ইবাদত বন্দেগী ও আরাধনায় মত্ত ছিলেন। মহানবীর পদাংক অনুসরণে সাহাবায়ে কিরাম, তাবিঈন, তাবঈ তাবেঈন ও আউলিয়ায়ে কেরাম নশ্বর পৃথিবীর যাবতীয় মোহ পরিত্যাগ করে আল্লাহ ও রাসূলের প্রেমে বিভোর হয়ে চিরস্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে রয়েছেন। বিশিষ্ট তাপস, সাধক, দরবেশ ও রাজ সিংহাসন ত্যাগকারী বলখের বাদশা হযরত ইবরাহীম ইবনে আদহাম এমন একজন জগৎখ্যাত অলি ও উচ্চস্তরের ফানাফিল্লাহ ব্যক্তিত্ব।
জন্ম : আফগানিস্তানের উত্তরে বলখ শহরে এ মহান সাধক ৭১৮ খ্রী. জন্ম গ্রহণ করেন। সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। তার মাতা- পিতা দু’জনই ছিলেন মহান অলি।
#ওয়াজ #সুন্নিওয়াজ #নতুন_ওয়াজ #desh_বাংলা_টিভি #সুলতানুল_আউলিয়া_নাছির_শাহ #বায়তুস_সালাম_দরবার_শরীফ #শানে_মদিনা #কোরআন #হাদিস #বায়তুস_সালাম_জামিয়া_ইসলামিয়া_মাদ্রাসা
/ @desh1981
তাঁর পিতার নাম হযরত আদহাম (রহ.) এবং মাতা শাহজাদী হযরত গুল-ই জান্নাত (রহ.)।
বলখ রাজ: আফগানিস্তানের উত্তরে বলখ নামক একটি সমৃদ্ধশালী রাজ্য ছিল। আজ হতে প্রায় তেরশ বছর পূর্বে এ রাজ্য পরিচালনা করতেন একজন খোদাভীরু ও প্রজাবৎসল রাজা। তার স্ত্রীও ছিল ধর্ম পরায়না। এ রাজ্যেই হযরত আদহাম (রহ.) আল্লাহ ও রাসূলের প্রেমে বিভোর হয়ে গভীর অরণ্যে কঠোর রিয়াযত ও সাধনায় মত্ত ছিলেন। বনের পশুরা তাকে সম্মান ও সেবা করতো। তিনি প্রিয় নবীজীর পূর্ণ অনুসারী ছিলেন। একদা এ সাধকের প্রতি ডাক পড়লো নবীজীর অন্যতম সুন্নত বিবাহ করার ব্যাপারে।
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া : স্বপ্নাদিষ্ট হবার পর তিনি চিন্তিত হয়ে পড়লেন। এমন পরিস্থিতিতে একদিন বলখ নৃপতির রাজকন্যা গুল-ই জান্নাত তার নিয়ম অনুযায়ী প্রাসাদের অদূরে অবস্থিত বাগানে বেড়াতে বের হয়ে ফিরছিলেন। ঐ রাস্তা দিয়ে সাধক হযরত আদহাম (রহ.) বন হতে সংগৃহীত কাঠের বোঝা নিয়ে আসছিলেন। তিনি যখন শুনলেন এ রাস্তা দিয়ে রাজকন্যা আগমণ করবেন এবং রাস্তা সাময়িকভাবে বন্ধ; তখন তিনি উৎসুক হয়ে রাজকন্যার হাওদা (পালকি) দেখার জন্য রাস্তার এক পাশে দাঁড়িয়ে রইলেন। ঝটিকা বাতাস তাঁর (রাজকন্যার) হাওদার পর্দা উড়িয়ে দিলে খোদাভীরু ও ধর্ম পরায়না রাজকন্যা হযরত আদহাম (রহ.)-এর কপালে বিচ্ছুরিত আল্লাহর দ্যুতি-জ্যোতির প্রতি দৃষ্টি দেন। অন্যদিকে হযরত আদহাম (রহ.) এ ধর্ম পরায়না মহিলার দিকে নজর দেন। কিন্তু নিজের অবস্থান চিন্তা করে, রাজকন্যা পছন্দ হলেও তার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া কঠিন ভেবে স্থান ত্যাগ করে চলে গেলেন।
হযরত ইবরাহীম ইবনে আদহামের বাল্যকাল ও শিক্ষাদীক্ষা : মাতা-পিতা আদরের সন্তানকে প্রাথমিক শিক্ষা ও পবিত্র কোরআন মাজিদ শিক্ষা দিলেন। এ পর্যায়ে আস্তানার অদূরে এক ওস্তাদের নিকট থেকে হযরত ইবরাহীম কোরআন, হাদিস, ফিক্হ ও বৈষয়িক জ্ঞান আহরণ করতে লাগলেন।
বলখ নৃপতির সাথে সাক্ষাত : হযরত ইবরাহীম ইবনে আদহাম (রহ.) যে ওস্তাদের ঘরে পবিত্র কোরআন শিক্ষা করতেন তার পাশ দিয়ে বলখ নৃপতি যাবার সময় ইবরাহীমের অনিন্দ সুন্দর প্রোজ্বল চেহারার প্রতি দৃষ্টি পড়লে তিনি লক্ষ্য করলেন, ‘ইবরাহীমের চেহারা তাঁর কন্যা গুল-ই জান্নাতের সাথে হুবহুমিল। তিনি এটা দেখে তাকে জড়িয়ে ধরে আবেগাপ্লুত হলেন এবং ওস্তাদকে বুঝিয়ে ইবরাহীমকে রাজ দরবারে নিয়ে গেলেন। এ দিকে হযরত আদহাম (রহ.) নিজ সন্তানকে আনতে গিয়ে রাজ দরবারে উপস্থিত হলে রাজা ও রাণীর সাথে পরিচয় হয় এবং পুরো ঘটনা খুলে বললে তারা রাজকন্যা গুল-ই জান্নাত এখনো জীবিত আছেন এবং ইবরাহীম গুল-ই জানাতের সন্তান এটা জানতে পেরে খুশির অন্ত নেই। শেষ পর্যন্ত রাজকন্যা, তার স্বামী আদহাম (রহ.) ও নাতি ইবরাহীমকে রাজ প্রাসাদে নিয়ে আসলেন বাদশা।রাজপ্রাসাদ ত্যাগ : শ্বশুরের অনুরোধে কয়েকদিন রাজপ্রাসাদে অবস্থান করলেও হযরত আদহাম (রহ.) বলখ নৃপতিকে বুঝিয়ে পুনরায় বনবাসী হবার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। অন্যদিকে বলখ নৃপতি পুরো সিংহাসনের ভার হযরত আদহাম (রহ.)-এর হাতে অর্পণ করতে চাইলেন। কিন্তু দরবেশ আদহাম (রহ.) বললেন, ‘আল্লাহ আমাকে এ কাজের জন্য সৃষ্টি করেননি, আমাকে বিদায় দিন’। এ বলে তিনি বিদায় নিলেন।
পিতার পদাংক অনুসরণ : এ দিকে বলখের বাদশা রাজকন্যা ও দৌহিত্র ইব্রাহিমকে পেয়ে অত্যন্ত খুশি এবং দৌহিত্রের সাথে রাজ্য পরিচালনার বিষয়ে পরামর্শ করতে লাগলের। হযরত ইবরাহীম ইবনে আদহামের যোগ্যতা, সততা ও অসাধারণত্ব লক্ষ্য করে বলখ নৃপতি তাঁর রাজ্যের ভার দৌহিত্র ইবরাহীমের ওপর অর্পণ করলেন। হযরত ইবরাহীম ইবনে আদহাম সিংহাসনে বসেই পুরো রাজ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করেন। এভাবে বারো বছর রাজ্য পরিচালনা করেন। কিছুদিন পর তাঁর নানাজি ইন্তিকাল করেন এবং পিতা ও বিদায় নেন। এতে তিনি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। মা গুল-ই জান্নাত ছেলেকে এক রূপসীও মহীয়সী মহিলার সাথে বিবাহ দিলেন। এক সন্তানও জন্ম নিল। কিন্তু ইবরাহীম ইবনে আদহাম পিতার পদাংক অনুসরণ করতে লাগলেন। একদা তিনি রাত্রিবেলা স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমাতে ছিলেন। হঠাৎ রাজ প্রাসাদের ছাদের ওপর কারো আওয়াজ শুনে ডাক দিলে জবাব আসলো, “একজন বালক তার হারানো উট তালাশ করছে। তিনি এটাকে বোকামী বললে, প্রত্যুত্তরে আওয়াজ এলো ‘ছাদের উপর উট পাওয়া না গেলে, তবে রাজপ্রাসাদে শুয়ে আল্লাহকে পাওয়া কঠিন’। এ কথা শুনে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়লেন এবং ক্রমান্বয়ে পিতার ন্যায় সংসার ত্যাগ করে নিরুদ্দেশ হয়ে পড়লেন। শেষ পর্যন্ত তিনি রাজ সিংহাসন ত্যাগ করে দীর্ঘ রিয়াজাত, মুশাহাদা, মুরাকাবার মাধ্যমে বেলায়তের উচ্চ আসনে আসীন হলেন। তিনি হযরত ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর শাগরিদ, হানাফী মাজহাবের অনুসারী ও সুফী ছিলেন। আল্লাহর এ মহান অলি নিরুদ্দেশ হবার পর একবার খানায়ে কাবায় পরিবার-পরিজনের সাথে সাক্ষাৎ হলে তাদের মমত্ববোধ হৃদয়ে স্থান পাবার পূর্বেই আওয়াজ এলো, আল্লাহর প্রেমে বিভোর ব্যক্তির হৃদয়ে দুনিয়ার প্রেমস্থান পাবার সুযোগ নেই। এ কথা শুনেই তিনি বিদায় নেন এবং দীর্ঘদিন আল্লাহর প্রেমে মগ্ন থেকে ১৬০ অথবা ১৬১ হিজরী তথা ৭৮১ খ্রি. ইন্তেকাল করেন।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: