কুরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা করাই আহলে হাদিস কানা দাজ্জালকে ধোলাই। সামসুল ইসলাম সালাফীকে ধোলাই
Автор: Muslim Connect
Загружено: 2024-12-07
Просмотров: 1450
Описание:
উক্ত আলোচনাটি ভালো করে পড়ুন।
জবাব :
কিভাবে হানাফি আলেমরা কা-জ্জা-ব হলো????
.*. কুরআনে আল্লাহ বলেন,
وَ اِذَا قُرِیٴَ الۡقُرۡاٰنُ فَاسۡتَمِعُوۡا لَهٗ وَ اَنۡصِتُوۡا لَعَلَّكُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ
যখন কুরআন পড়া হয় তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোন এবং চুপ থাক, যাতে তোমাদের প্রতি রহমত হয়। (সুরা আরাফ: ২০৪)
.*. এই কুরআনের আয়াতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে নামাজ কে কেন্দ্র করে দলিল:
আন-নাসায়ী ৯২১, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৯২২ তে বাব আছে,
تأويل قوله عز وجل وإذا قرئ القرآن فاستمعوا له وأنصتوا لعلكم ترحمون
পরিচ্ছেদঃ ৩০: আল্লাহ তা'আলার বাণী: “যখন কুরআন পাঠ করা হয় তখন তোমরা মনোযোগ সহকারে তা শুনবে এবং চুপ থাকবে। আশা করা যায় এতে তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হবে”- (সূরাহ আল আ'রাফ ৭:২০৪)-এর ব্যাখ্যা
.*. হাদিস টি হলো:
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قال: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا وَإِذَا قَالَ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ বলেছেন: ইমাম নিযুক্ত করা হয়েছে তাঁর অনুসরণ করার জন্যে। অতএব, যখন তিনি তাকবীর বলে তখন তোমরাও তাকবীর বল, আর যখন তিনি কুরআন পড়ে তখন তোমরা চুপ থাকবে, আর যখন তিনি বলেন, “সামি আল্ল-হু লিমান হামিদাহ” তখন তোমরা বলবে “রব্বানা লাকাল হামদ”। (আন-নাসায়ী ৯২১, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৯২২) সহীহ: আবু দাউদ ৬০৪, ইবনু মাজাহ ৮৪৬-৮৪৭।
নাসায়ী (অধ্যায়ঃ ইফতিতাহ, অনুঃ মহান আল্লাহর এ বাণীঃ যখন কুরআন তিলাওয়াত করা হয় তখনর তোমরা শ্রবণ করো এবং চুপ থাকো, হাঃ ৯২০), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ সালাত ক্বায়িম, অনুঃ ইমামের কিরাত পাঠকালে চুপ থাকবে, হাঃ ৮৬৪), আহমাদ (২/৪২০), সকলেই মুহাম্মাদ ইবনু ‘আজলান সূত্রে।
উক্ত হাদিস দ্বারা প্রমাণ হয় (সুরা আরাফ: ২০৪) ব্যাখ্যা (আন-নাসায়ী ৯২১, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৯২২) আছে তাহলে কে কা-জ্জা-ব হলো? আর কুরআন ও হাদিস অস্বীকার করে কে বে-ই-মান হলো?
.*. ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা না পড়া দলিল:
.*. এখন প্রমান করতে হবে সুরা ফাতেহায় কিরাত নবী স. এর হাদিস প্রমাণ যে কিরাত হলো সুরা ফাতিহা।
كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يستفتح الصلاة بالتكبير والقراءةَ بالحمد لله رب العالمين.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীরের মাধ্যমে নামায শুরু করতেন এবং ‘আল-হামদু লিল্লাহি রাবিবল আলামীন’-এর মাধ্যমে কিরাত শুরু করতেন।’
সহিহ মুসলিম ৪৯৮, ৫৯৮; আবু দাউদ ৭৭৯, ইবনে মাজা ৫০৭, ৫০৮, ৮১৪; মুসনাদে আহমদা ৩/১০১, ৬/৩১; সহিহ ইবনে হিব্বান ১৯৬৩; ইমাম বুখারী, জুযাউল কিরআত খালাফাল ইমাম ১৩০, ৭৭৮; সুনানে নাসাঈ ৯০২।
[তো এতগুলো সহীহ হাদীসে সূরা ফাতিহা পড়াকে কিরাত বলা হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও খোলাফায়ে রাশেদীন থেকে প্রমাণিত হল যে, সূরা ফাতিহা পড়াও কিরাত। এরপরও কি আমাদের ঐ বন্ধুরা বলবেন- সূরা ফাতিহা পড়া কিরাত নয়?]
.*. ইমামের কিরআতই মুকতাদির কিরআত : ( সুরা ফাতেহায় কিরাত নবী স. এর হাদিস প্রমাণ করেছি। ↑
سَأَلَ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ عَنِ الْقِرَاءَةِ، مَعَ الإِمَامِ فَقَالَ لاَ قِرَاءَةَ مَعَ الإِمَامِ فِي شَىْءٍ .
একবার যায়দ ইবনু সাবিতকে সালাতে ইমামের পিছনে কিরাআত তিলাওয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন জবাবে যায়দ ইবনু সাবিত বলেছিলেনঃ সালাতে ইমামের পিছনে কিরাআতের প্রয়োজন নেই।
سَأَلَ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ عَنِ الْقِرَاءَةِ، مَعَ الإِمَامِ فَقَالَ لاَ قِرَاءَةَ مَعَ الإِمَامِ فِي شَىْءٍ .
একবার যায়দ ইবনু সাবিতকে সালাতে ইমামের পিছনে কিরাআত তিলাওয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন জবাবে যায়দ ইবনু সাবিত বলেছিলেনঃ সালাতে ইমামের পিছনে কিরাআতের প্রয়োজন নেই।
(সহিহ মুসলিম: ১১৮৫)
عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ، فَقِرَاءَةُ الْإِمَامِ لَهُ قِرَاءَةٌ»
হযরত জাবের রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যার ইমাম রয়েছে, তার ইমামের কিরাত মানেই হল তার কিরাত।
{মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-১২৪, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৪৬৪৩, সুনানে ইবনে মাজাহ ৮৪৬, ৮৪৭, ৮৪৮, ৮৪৯, ৮৫০, নাসায়ী ৯২১,
.*. জোরে কিরাত পড়া সলাতে হাদিসের দলিল:
হযরত আবূ মূসা আশআরী রা. বলেছেন,
؟
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন ইমাম কুরআন পড়বে, তোমরা তখন চুপ করে থাকবে। আর বৈঠকের সময় তাশাহহুদ-ই প্রথম পড়তে হবে।
মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ৪০৪; সুনানে ইবনে মাজাহ ৮৪৬, ৮৪৭, ৮৪৮, ৮৪৯, ৮৫০,
.*. আস্তে কিরাত সলাতে হাদিসের দলিল:
যে নামাযে কিরাআতে চুপে চুপে পাঠ করা হয় সে নামাযে ইমামের পশ্চাতে কিরাআত ত্যাগ করা
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার যোহর অথবা আসরের সালাত আদায় করলেন। আর এক ব্যক্তি তাঁর পেছনে কুরআন পড়ছিল। তিনি সালাত শেষ করে বললেন, তোমাদের মধ্যে কে “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আ’লা”- পাঠ করল? উপস্থিত লোকদের মধ্যে এক ব্যক্তি বলল, আমি পড়েছি। আর আমি তা দ্বারা কল্যাণ ব্যতিত কিছু কামনা করিনি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি বুঝলাম তোমাদের মাঝে কেউ কিরাআতে আমার সাথে ঝামেলা সৃষ্টি করেছ। (নাসায়ী ৯২১)
হযরত জাবির রা. বলেছেন,
অর্থ: নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তির ইমাম আছে, তার ইমামের কেরাতই তার কেরাত বলে গণ্য হবে। মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং ৩৮২৩। এ সনদটি সহীহ।
এ হাদীসে মুলনীতি বলে দেওয়া হয়েছে, মুকতাদীর জন্য আলাদা করে সূরা ফাতেহা বা অন্য কোন সূরা পড়ার প্রয়োজন নেই। বরং ইমামের কেরাতই তার জন্য যথেষ্ট হবে।
কেননা সূরা ফাতেহা হলো আল্লাহর দরবারে হেদায়াতের আবেদন। সকলের পক্ষ থেকে আবেদন একজনই পেশ করে। ইমামকেই সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রুকু, সেজদা, তাকবীর ও তাসবীহ হলো উক্ত দরবারের আদব। এজন্য এগুলো সকলকে পালন করতে হয়।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: