দাম্পত্য অধিকার কীভাবে পুনরুদ্ধার করবেন?
Автор: Legal Up Bangla
Загружено: 2024-12-09
Просмотров: 135
Описание:
#follow #islamicdivorce #highlights #restitution #conjugal
দাম্পত্য অধিকার কীভাবে পুনরুদ্ধার করবেন?
কোনো কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ হলে এবং তাঁরা একে অপরকে ছেড়ে গেলে দাম্পত্য অধিকার ফিরে পাওয়া সম্ভব? অনেক সময় স্বামী বা স্ত্রীকে আলাদা করে রাখে দুই পরিবার। বিশেষ করে প্রেমের বিয়েতে এমন হতে দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে কি আদালতে দাম্পত্যের অধিকার চাওয়া যায়? বাংলাদেশে প্রচলিত পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ ১৯৮৫-এর বলে এ ধরনের ঘটনার প্রতিকার বা দাম্পত্য অধিকার পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধারের বিষয়টি পারিবারিক আদালতের এখতিয়ারে দেওয়া হয়েছে এবং আইনানুযায়ী ডিক্রি জারি করতে পারেন আদালত।
দাম্পত্য অধিকার দাবি করে স্বামী বা স্ত্রী যে কেউ পারিবারিক আদালতে প্রতিকার চাইতে পারেন। যেখানে স্ত্রী কোনো আইনসংগত কারণ ছাড়া স্বামীর সঙ্গে একত্রে বসবাস বন্ধ করেছেন, সে ক্ষেত্রে স্বামী দাম্পত্য অধিকার চাইতে পারেন এবং স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। স্বামীও যদি কোনো কারণ ছাড়া না ফিরতে চায়, তাহলে স্ত্রীরও অধিকার রয়েছে আদালতের আশ্রয় নেওয়ার। তবে কোনো বিয়ে যদি স্ত্রীর ইদ্দত পালনের সময় সম্পন্ন হয়, যা অনিয়মিত বিয়ে হিসেবে গণ্য, সে ক্ষেত্রে স্বামী এ অধিকার চাইতে পারেন না।
তবে স্ত্রী নাবালিকা থাকলে বা তালাক সম্পন্ন হলে স্বামীর এ অধিকার থাকে না। আবার বিয়ের আগে সম্পাদিত কোনো চুক্তি যদি এমন হয় যে বিয়ের পর স্ত্রী তাঁর মা-বাবার সঙ্গেই বসবাস করবেন, তাহলে এ অধিকার দাবি করা যাবে না। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী যখন আলাদা ছিলেন, তখন যদি এমন কোনো চুক্তি হয় যে তারপর থেকে তাঁরা একত্রে থাকবেন এবং এতে স্ত্রী রাজি না থাকলে স্বামীকে ত্যাগ করতে পারবেন, তাহলে এ অধিকার প্রতিষ্ঠা করার দাবি করতে পারবেন না। স্ত্রীকে দেনমোহর না দেওয়া পর্যন্ত স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য মিলন ও বসবাসে অস্বীকার করতে পারেন।
দাম্পত্য অধিকার উদ্ধারের বিষয়টি সাধারণত আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতার ব্যাপার এবং এতে উভয়ের মধ্যে বিয়ে কার্যকর আছে কি না, তা আদালত খতিয়ে দেখতে পারেন। তবে এ অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাদীকে মুক্ত মনোভাব নিয়ে আসতে হবে এবং প্রমাণ করতে হবে যে তাঁর জীবনসঙ্গী কোনো কারণ ছাড়াই ঘরে ফিরতে চান না। তবে স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে তালাক-প্রক্রিয়া সম্পন্নকালে তালাকের নোটিশ প্রত্যাহার করা না হলে এ মামলা চলে না। এ মামলায় আদালত বিবেচনা করেন যে পরস্পরের প্রতি আরোপ করা দায়িত্ব পালন করছেন কি না। অনেক সময় দেখা যায়, স্ত্রীর পক্ষে স্বামীর নিষ্ঠুরতার কারণে ঘরে ফেরা সম্ভব নয়। এ রকম হলে তালাক নেওয়ার ক্ষেত্রে ১৯৩৯ সালের বিবাহবিচ্ছেদ আইন অনুযায়ী যেসব অধিকার দেওয়া হয়েছে, তা প্রমাণ করতে পারলে স্বামী এ অধিকার থেকে বঞ্চিত হন।
আদালত থেকে ডিক্রি প্রাপ্তির ফলে কেবল স্বামী বা স্ত্রীর ওপর দাম্পত্য অধিকারটি স্থাপিত করা যায়, যাতে অপর পক্ষ দ্বিতীয় বিয়ে কিংবা বিনা কারণে তালাক না চায়। তবে তাঁকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে জোর করা যায় না। এতে সংবিধানে লিপিবদ্ধ মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয় বলে উচ্চ আদালতের রায়ও আছে। তবে এর উল্টো পর্যবেক্ষণও এসেছে বিভিন্ন রায়ে। তবে কেউ যদি তালাক চান, তাহলে আলাদাভাবে তা কার্যকর করতে হবে। আর স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকা সত্ত্বেও যদি শ্বশুরবাড়ির লোকজন একসঙ্গে সংসার করতে না দেয়, তাহলে ফৌজদারি আদালতের আশ্রয় নেওয়া যায়।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: