সময় অপচয় মানে জীবন অপচয়... নোমান আলী খানের সময় অপচয় নিয়ে অসম্ভব একটি ওয়াজ
Автор: AR ISLAMIC BANGLA
Загружено: 2024-09-14
Просмотров: 22
Описание:
সময় অপচয় মানে জীবন অপচয়
দুনিয়ায় দেওয়া আল্লাহর অসংখ্য নেয়ামতের একটি হলো সময়। কোরআন-হাদিসের বিভিন্ন স্থানে এ নেয়ামতের যথার্থ মূল্যায়নের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কেননা, সময়ের যথাযথ মূল্যায়ন ও ব্যবস্থাপনা ছাড়া মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্ভব নয়। ইসলামি শরিয়ত এ কারণে সময় ব্যবস্থাপনাকে মানবজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করে।
কোরআনে কারিমে অনর্থক কাজে সময় ব্যয়ের বিষয়ে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এমনকি আল্লাহতায়ালা সময় বোঝানোর জন্য কোরআনে কারিমে অনেক প্রতিশব্দ ব্যবহার করে এর প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি সূর্যকে করেছেন তেজোদ্দীপ্ত, আর চন্দ্রকে করেছেন আলোকময়। আর তার (হ্রাস-বৃদ্ধির) মনজিলগুলো সঠিকভাবে নির্ধারণ করেছেন, যাতে তোমরা (এ নিয়ম দ্বারা) বছরের গণনা এবং দিন তারিখের হিসাব জানতে পার; (আসলে) আল্লাহতায়ালা যে এসব কিছু সৃষ্টি করে রেখেছেন (তার) কোনোটাই তিনি অনর্থক সৃষ্টি করেননি; যারা (সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে) জানতে চায় তাদের জন্য আল্লাহতায়ালা তার নির্দেশগুলোকে সুস্পষ্ট করে বর্ণনা করেন।’ সময় ও জীবন আল্লাহর দান। সময়ের ইতিবাচক ব্যবহারই জীবনের সফলতা। সময়ের অপচয় ও অপব্যবহার জীবনের ব্যর্থতা। সময়ের যথাযথ ব্যবহার না করার জন্য জবাবদিহি করতে হবে আল্লাহর দরবারে। কোরআন কারিমে আল্লাহ বলেন, ‘সময়ের শপথ! মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত; কিন্তু তারা নয়, যারা ইমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্যের উপদেশ দেয়।’ সুরা আসর : ১-৩একবার হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করা হলো, সৌভাগ্যবান কারা? তিনি বললেন, সৌভাগ্যবান তারা, যারা দীর্ঘায়ু লাভ করেছে এবং তা নেকআমলের মাধ্যমে অতিবাহিত করেছে। পুনরায় জিজ্ঞেস করা হলো, দুর্ভাগা কারা? তিনি বললেন, দুর্ভাগা তারা যারা দীর্ঘায়ু পেয়েছে এবং তা আমলবিহীন অতিবাহিত করেছে। তিরমিজি : ২৩২৯
নবী মুহাম্মাদ (সা.) নিজে সময়কে গুরুত্ব দিতেন এবং উম্মতদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে তাগিদ দিয়েছেন। প্রতিটি মানুষকে সময়ের হিসাব কিয়ামতের দিন দিতে হবে বলে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন। বহু হাদিসে বলা হয়েছে, পরকালে মানুষকে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের হিসাব দিতে হবে। হাদিসে আরও বলা হয়েছে, পরকালে মানুষ যে বিষয়ে সবচেয়ে অনুতপ্ত হবে তা হলো, অবসর সময়ের সদ্ব্যবহার না করা। সময়ে নেকআমল করলে বান্দার অবস্থার উন্নয়ন হবে, বদআমল করলে তার অবনতি হবে। আমল ছাড়া সময় পার করলে তাও তার জন্য প্রকারান্তরে ক্ষতি হিসেবেই গণ্য হবে। কারণ, মানুষের আয়ুষ্কাল প্রবহমান সময়। তা যদি সৎকর্মে ব্যয়িত হয়, তবে নেকআমল হিসেবে গণ্য হবে; আর যদি নেক আমলবিহীন চলে যায়, তা বদআমল হিসেবেই পরিগণিত হবে। যেহেতু নিষ্ক্রিয়তা কিংবা অকর্মণ্য তাও একটি ক্রিয়া। সময়ের প্রতি অবহেলা সম্পর্কে সাবধান করে কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে, ‘প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদের মোহাচ্ছন্ন করে রাখে, যতক্ষণ না তোমরা সমাধিগুলো দেখতে পাও (তোমাদের মৃত্যু হয়)। এটি কখনো সংগত নয়! অচিরেই তোমরা জানতে পারবে। আবারও বলি, এটি মোটেই সমীচীন নয়; তা তোমরা অনতিবিলম্বে জানতে পারবে। না, তোমাদের নিশ্চিত জ্ঞান থাকলে অবশ্যই তোমরা মোহগ্রস্ত হতে না। তোমরা (সময়ের প্রতি উদাসীন কর্মে অবহেলাকারীরা) অবশ্যই জাহান্নাম দেখবে (তাতে প্রবেশ করবে)। পুনশ্চ! অবশ্যই অতি অবশ্যই তোমরা জাহান্নাম চাক্ষুষ দেখে (তাতে প্রবেশ করে তার শাস্তি ভোগ করে) প্রত্যয় লাভ করবে। অতঃপর অবশ্যই সেদিন তোমাদের প্রদত্ত সব নেয়ামত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে।’ সুরা তাকাসুর : ১-৮
আমরা প্রায় সময় নানান ব্যস্ততায় ব্যস্ত থাকি। যেকোনো উপলক্ষে অবসর যখন আসে, তা আমাদের জন্য মহামূল্যবান নেয়ামত। সময় আমাদের জীবনের এমন একটি মূলধন, যা বিনিয়োগ করলে আমরা ইহকাল ও পরকালে লাভবান ও উপকৃত হবো; আর এটি হেলায় নষ্ট করলে উভয় জগতে ক্ষতিগ্রস্ত হব। সময় চলে গেলে তা আর কখনো ফিরে আসে না।
#bangladesh #waz #india #viralvideo #mijanur_rahman_ajhari #viralwaz #naima_online_tv_claas #noman #নোমান আলী খান#viralwaz
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: