মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কথা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন (রাজনীতিবিদ) এর পারিবারিক স্মৃতি
Автор: murad hossain
Загружено: 2020-12-15
Просмотров: 426
Описание:
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কথা
গ্রন্থণা ও গবেষণা : স্বাধীনতা ফাউন্ডেশন
আবুল হোসেন আনু. ১৯৩৫ বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার একজন মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি একজন সাংসদ ছিলেন।
আবুল হোসেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন একনিষ্ঠ অনুসারি হিসেবে তিনি আজীবন অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতি বিশ্বস্ত থেকে গণমানুষের মুক্তির লড়াইয়ে সাহসিকতার সাথে উত্তরাঞ্চলের সকল আন্দোলন ও সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন। তিনি ১৯৭০ সনে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৬নং সেক্টরে সাহসিকতার সাথে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, যুদ্ধ পরিচালনা ও মুক্তাঞ্চলে প্রশাসন পরিচালনায় অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছিলেন। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০ সালে পাকিস্তান গণপরিষদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধেঅংশগ্রহণ করেছিলেন।[২] দেশ স্বাধীনের পর তিনি ১৯৭৩ সালে রংপুর-১৪ আসনের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর, ১৯৮৬ সালে তিনি লালমনিরহাট-৩ আসনের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তিনি লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং পর পর তিনবার চেম্বারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি দু’বার এফবিসিসিআই এর পরিচালনা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সর্বোচ্চ পদ ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন।
আবুুল হোসেন ১৯৩৫ সালের ৪ এপ্রিল লালমনিরহাট শহর সংলগ্ন নামাটারি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আলহাজ্জ্ব কছিম উদ্দিন এবং মাতা মোছাঃ আছমা খাতুন।
১৯৫৩ সালে তিনি লালমনিরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (মডেল হাই স্কুল) থেকে প্রবেশিকা, জগন্নাথ কলেজে, ঢাকা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং লালমনিরহাট কলেজ থেকে বি.এ. পাশ করেন।
তার রয়েছে সুদীর্ঘ বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও ত্যাগী রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি সকল মহলে স্বীকৃত। আবুল হোসেন ঢাকায় জগন্নাথ কলেজে ছাত্রাবস্থায় ষাটের দশকের সূচনালগ্নে আইয়ুব খানের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে তাঁর প্রত্যক্ষ সংগ্রামী জীবনের সূচনা করেছিলেন। এর ফলে অন্যান্য ছাত্র নেতাদের সাথে তাঁর নামেও হুলিয়া জারি করলে তিনি লালমনিরহাট ফিরে গিয়ে লালমনিরহাট কলেজে ভর্তি হন এবং কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হন। পরবর্তিকালে জাতীয় পর্যায়ে ষাটের দশকের সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, শিক্ষার দাবি ও অধিকার অর্জন এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা, গণতন্ত্র ও জাতীয় অধিকার প্রতিষ্ঠার সকল আন্দোলনসহ ৬ দফা, ১১ দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম অঞ্চলে নেতৃত্ব দেন। এসময় তিনি কড়িগ্রাম মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। অতঃপর বঙ্গবন্ধুর আদেশে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক হিসেবে তিনি সাহসিকতারসাথে জনগণকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সংগঠিত করেন। লালমনিরহাটের ছাত্র আন্দোলনের একজন নিষ্ঠাবান কর্মী হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য জাতীয় নের্তৃবৃন্দের ঘনিষ্ঠতা ও বিশেষ স্নেহ লাভের সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি একজন মুক্তিযুুদ্ধের সক্রিয় সংগঠক হিসেবে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে আশ্রয় নিয়ে প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের অধীনে তাঁর নির্বাচনী এলাকাসহ কুড়িগ্রাম মহকুমার বিভিন্ন এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধকরণ, নিয়োগ দান, ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা, অর্থ ও অস্ত্র সংগ্রহ করেন এবং শরনার্থীদের ক্যাম্পে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। কুচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার ১৯টি ক্যাম্প থেকে কয়েক হাজার যুবককে সংগ্রহ করে উচ্চতর ট্রেনিং এর জন্য ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রেরণ করেন। তার তদারকীতে ও প্রত্যয়নে গিতালদহ, ওকড়াবাড়ি ও দিনহাটার করোলা অঞ্চলে একটি ও সাহেবগঞ্জে একটি ইয়থ ক্যাম্প সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করে বিপুল সংখ্যক তরুণকেমুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত করেন।
১৯৭০ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে রংপুর-১৪ আসন (লালমনিরহাট) আবুল হোসেন প্রাদেশিক পরিষদ-এর সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-১৪ আসনে (লালমনিরহাট) আবুল হোসেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালের ৭ মে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রার্থী হিসেবে লালমনিরহাট-৩ আসনে (লালমনিরহাট সদর) তৎকালীন জাতীয় পার্টির ডেপুটি স্পীকার রেয়াজউদ্দীন আহম্মদ (ভোলামিয়া) কে পরাজিত করে আবুল হোসেন তৃতীয়বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আবুল হোসেন বঙ্গবন্ধুর একজন পরিক্ষিত আদর্শের সৈনিক হিসেবে দেশ মাতৃকার ডাকে সাড়াদিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সফল সংগঠক হিসেবে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধকরণ, নিয়োগ দান, ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা, অর্থ ও অস্ত্র সংগ্রহ করেন এবং শরনার্থীদের ক্যাম্পে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এত কিছুর পরেও কুড়িগ্রাম ট্রেজারি ভেঙ্গে সাতান্ন বস্তা টাকা, ও ঊনত্রিশ বাক্স সোনা সংগ্রহ করে ভারত সরকারের মাধ্যমে মুজিবনগর সরকারের হাতে তুলে দিয়ে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য তিনি যে অবদান রাখেন তা অবিস্মরণীয়। ঘটনাটি ঘটে ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল।
স্মৃতিচারণ করেছেন আবুল হোসেন পরিবার।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: