#হযরত_ইব্রাহিম_আ
Автор: DM Foundation 001
Загружено: 2025-05-24
Просмотров: 3598
Описание:
নিত্য নতুন ইসলামিক ভিডিও পেতে সবাইকে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করার অনুরোধ রইল ইনশাআল্লাহ।
হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম এর জীবনী সম্পর্কে জেনে নিন।
হযরত ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) ইসলাম ধর্মে একজন মহান নবী এবং পিতৃপুরুষ হিসেবে সম্মানিত। তাকে আল্লাহর "খলিল" (বন্ধু) বলা হয়। কুরআন, হাদিস এবং ইসলামী ঐতিহ্য অনুযায়ী তাঁর জীবনী নিম্নরূপ:
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
**জন্মস্থান**: হযরত ইব্রাহীম (আ.) এর জন্ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না, তবে ঐতিহ্য অনুসারে তিনি প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার (বর্তমান ইরাকের) উর নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন।
**পরিবার**: তাঁর পিতার নাম ছিল আযার (কিছু বর্ণনায় তিনি তাঁর পিতৃতুল্য ব্যক্তি হিসেবেও উল্লিখিত)। তাঁর সময়ে মানুষ মূর্তিপূজায় লিপ্ত ছিল, এমনকি তাঁর পিতাও মূর্তি তৈরি ও বিক্রি করতেন।
একত্ববাদের প্রচার
**মূর্তিপূজার বিরোধিতা**: হযরত ইব্রাহীম (আ.) যৌবনে একত্ববাদে বিশ্বাসী হন এবং মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করেন। তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে প্রশ্ন করেন যে, মূর্তি কীভাবে তাদের উপকার বা ক্ষতি করতে পারে।
**মূর্তি ভাঙা**: কুরআনে (সূরা আল-আনবিয়া, ২১:৫৮-৬৭) উল্লেখ আছে, তিনি একবার মন্দিরের মূর্তিগুলো ভেঙে ফেলেন এবং বড় মূর্তির হাতে কুড়াল রেখে বলেন, এটি বড় মূর্তির কাজ। এর মাধ্যমে তিনি মানুষকে মূর্তির অক্ষমতা বুঝান।
**আগুনে নিক্ষেপ**: তাঁর এই কাজের জন্য রাজা নমরূদ তাঁকে আগুনে নিক্ষেপ করেন। কিন্তু আল্লাহর নির্দেশে আগুন ঠান্ডা ও নিরাপদ হয়ে যায় (সূরা আল-আনবিয়া, ২১:৬৯)।
হিজরত ও সংগ্রাম
**হিজরত**: নমরূদের অত্যাচারের কারণে তিনি তাঁর স্ত্রী সারাহ এবং ভ্রাতুষ্পুত্র হযরত লূত (আ.)-এর সাথে হিজরত করেন। তিনি ফিলিস্তিন, মিশর এবং আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করেন।
**হাজেরা ও ইসমাঈল**: মিশরে ফেরাউনের কাছ থেকে তিনি হাজেরা (রা.)-কে স্ত্রী হিসেবে পান। পরবর্তীতে হাজেরার গর্ভে তাঁর পুত্র হযরত ইসমাঈল (আ.) জন্মগ্রহণ করেন।
কা’বা নির্মাণ
**কা’বার প্রতিষ্ঠা**: আল্লাহর নির্দেশে হযরত ইব্রাহীম (আ.) ও তাঁর পুত্র ইসমাঈল (আ.) মক্কায় কা’বা গৃহ নির্মাণ করেন (সূরা আল-বাকারা, ২:১২৫-১২৭)। এটি ছিল একত্ববাদের প্রতীক এবং হজের কেন্দ্রস্থল।
**হজের প্রতিষ্ঠা**: তিনি মানুষকে হজের জন্য আহ্বান করেন, যা আজও মুসলিমদের জন্য পবিত্র তীর্থযাত্রা।
কুরবানীর ঘটনা
**ইসমাঈলের কুরবানী**: আল্লাহ তাঁর ভক্তির পরীক্ষা নেন এবং তাঁকে তাঁর পুত্র ইসমাঈল (আ.)-কে কোরবানি করার নির্দেশ দেন। ইব্রাহীম (আ.) ও ইসমাঈল (আ.) উভয়েই এই নির্দেশ মানতে প্রস্তুত হন। কিন্তু আল্লাহ তাঁদের আনুগত্য দেখে ইসমাঈলের পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানির ব্যবস্থা করেন (সূরা আস-সাফফাত, ৩৭:১০০-১০৭)। এই ঘটনা ঈদুল আযহার উৎস।
পরবর্তী জীবন
**ইসহাকের জন্ম**: পরবর্তীতে তাঁর প্রথম স্ত্রী সারাহর গর্ভে হযরত ইসহাক (আ.) জন্মগ্রহণ করেন, যিনি পরবর্তীতে আরেকজন মহান নবী হন।
**উত্তরাধিকার**: হযরত ইব্রাহীম (আ.)-এর মাধ্যমে ইসমাঈল ও ইসহাক (আ.)-এর বংশধররা ছড়িয়ে পড়ে। ইসমাঈল (আ.)-এর বংশে এসেছেন হযরত মুহাম্মদ (সা.), আর ইসহাক (আ.)-এর বংশে এসেছেন ইহুদি ও খ্রিস্টানদের পূর্বপুরুষরা।
তাৎপর্য
হযরত ইব্রাহীম (আ.)-কে "মিল্লাতে ইব্রাহীম" বা একত্ববাদের ধর্মের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তাঁর জীবন আনুগত্য, ধৈর্য, ত্যাগ এবং আল্লাহর প্রতি অটল বিশ্বাসের উদাহরণ।
তাঁর নাম কুরআনে বহুবার উল্লেখিত হয়েছে, এবং তিনি ইসলামের পাঁচজন উলুল আযম নবীদের (নূহ, ইব্রাহীম, মূসা, ঈসা, মুহাম্মদ) একজন।
এই সংক্ষিপ্ত জীবনী হযরত ইব্রাহীম (আ.)-এর জীবনের প্রধান ঘটনাগুলো তুলে ধরে। আরও বিস্তারিত জানতে কুরআনের সূরা ইব্রাহীম, আল-বাকারা, আল-আনবিয়া এবং হাদিসের বর্ণনা পড়া যেতে পারে।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: