বেলুড় মঠ সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ll Balur Math Facts ll এটি ভারতের ধর্মীয় ঐক্যের প্রতীক
Автор: The Explorer Siddharth
Загружено: 2025-10-13
Просмотров: 193
Описание:
বেলুড় মঠের ইতিহাস
🪔 প্রতিষ্ঠার সূচনা
১৮৯৭ সালের ১ মে, স্বামী বিবেকানন্দ গঙ্গার তীরে বেলুড়ে এই মঠের ভিত্তি স্থাপন করেন।
তাঁর উদ্দেশ্য ছিল — শ্রী রামকৃষ্ণের সার্বজনীন ধর্মের আদর্শকে জীবন্ত রূপ দেওয়া।
এর আগে তিনি তাঁর সন্ন্যাসী সহচরদের নিয়ে বারানগর মঠে ছিলেন (১৮৮৬–১৮৯৭)। পরে বৃহত্তর কাজের জন্য বেলুড়কে বেছে নেওয়া হয়।
🌿 জমির অধিগ্রহণ
বেলুড়ের এই জমিটি মঠের অন্যতম দাতা বাবু মতিলাল সিল-এর সহায়তায় কেনা হয়েছিল।
মোট ৪০ একর জমির উপর গড়ে ওঠে মঠ প্রাঙ্গণ।
🔔 উদ্বোধন ও প্রথম পর্যায়
প্রথমে এখানে কাঠ ও খড়ের একটি সাধারণ ঘরেই সন্ন্যাসীরা বাস করতেন।
ধীরে ধীরে মঠের বিভিন্ন শাখা ও কার্যক্রম গড়ে ওঠে।
স্বামী বিবেকানন্দ নিজে বেলুড় মঠে বহুবার অবস্থান করেন, এবং এখানেই তিনি ১৯০২ সালের ৪ জুলাই মহাসমাধি লাভ করেন।
🪶 বিবেকানন্দের সমাধি
মঠের উত্তর প্রান্তে, গঙ্গার ধারে রয়েছে স্বামী বিবেকানন্দের সমাধি মন্দির।
তাঁর ইচ্ছা অনুসারে, তিনি শ্রী রামকৃষ্ণের মন্দিরের বিপরীতে সমাধিস্থ হন।
🏛️ স্থাপত্য ও প্রতীকবোধ (Architecture and Symbolism)
✨ বহুধর্মীয় ঐক্যের প্রতীক
বেলুড় মঠের মূল মন্দিরের নকশা করেছেন স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দেরই নির্দেশে স্থপতি স্বামী বিভুদানন্দ (হারিদাস দত্ত)।
মন্দিরের গঠন এমনভাবে করা হয়েছে যাতে একইসঙ্গে হিন্দু মন্দির, খ্রিস্টান গির্জা ও ইসলামি মসজিদ-এর রূপ ধরা পড়ে।
মন্দিরের গম্বুজ ইসলামী স্থাপত্যের প্রতীক।
কর্ণিশ ও স্তম্ভের নকশায় হিন্দু শৈলী।
জানালার খিলান গির্জার অনুপ্রেরণায়।
এটি ভারতীয় "Sarva Dharma Samabhava" (সব ধর্মের ঐক্য) ভাবনার প্রতীক।
🌸 মঠ প্রাঙ্গণের গুরুত্বপূর্ণ স্থান
শ্রী রামকৃষ্ণ মন্দির: মূল মন্দির — রামকৃষ্ণ দেবের প্রতিষ্ঠিত প্রতিমা।
মা সারদা দেবীর মন্দির: তাঁর জন্মতিথিতে (২২ ডিসেম্বর) বিশাল উৎসব পালিত হয়।
স্বামী বিবেকানন্দ মন্দির: তাঁর সমাধিস্থল।
স্বামী ব্রহ্মানন্দ ও অন্যান্য সন্ন্যাসীদের সমাধিক্ষেত্র।
গঙ্গার ঘাট: ভক্তদের প্রিয় স্থান — এখানেই প্রতিদিন সন্ধ্যায় আরতি হয়।
📚 রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের কার্যক্রম
১৮৯৭ সালেই রামকৃষ্ণ মিশন আলাদা সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
এর মূল উদ্দেশ্য:
১. আত্মোন্নতি ও ধর্মচর্চা
২. শিক্ষা, চিকিৎসা ও মানবসেবা
৩. দুর্যোগে ত্রাণ কার্য
৪. নারী শিক্ষা ও দরিদ্র সেবা
🌍 অজানা ও কম জানা তথ্য
স্বামী বিবেকানন্দ নিজেই বলেন: “এই মঠ ভারতের আত্মাকে বিশ্বের সামনে প্রকাশ করবে।”
মূল মন্দিরের নকশায় ব্যবহৃত পাথর এসেছে চেন্নাই, রাজস্থান ও মির্জাপুর থেকে।
মঠের গঙ্গার ধারে সূর্যাস্তের সময় আরতি এত বিখ্যাত যে বহু বিদেশি পর্যটক বিশেষভাবে সে সময় আসেন।
স্বামী বিবেকানন্দের ব্যবহৃত চেয়ার, বিছানা ও কলম এখনো সংরক্ষিত রয়েছে মঠের “Vivekananda Museum”-এ।
বেলুড় মঠে কোনও সন্ধ্যার ঘণ্টা বা ঢাক বাজানো হয় না — কারণ সেখানে “নীরব ভাবানুভূতির” গুরুত্ব বেশি।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: