আনাল হক ও তাঁর বিতর্কিত আকীদা
Автор: আল্লাহ্ র দল
Загружено: 2025-09-18
Просмотров: 95
Описание:
মনসুর হাল্লাজের সমগ্র জীবন ছিল বিতর্কে মোড়ানো। কথিত আছে একদিন ধ্যানরত অবস্থায় তিনি এক জ্যোতির্ময় পুরুষকে দেখতে পান। মনসুর তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, তুমি কে। ওই পুরুষ তাঁকে বলেন ‘আনাল হক’ অর্থাৎ ‘আমিই পরম সত্য’। উল্লেখ্য ’আল-হক’ হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার ৯৯টি নামের একটি। আল্লার এই রূপ এবং বাণী দ্বারা তিনি এতটাই অভিভূত হয়ে পড়েন যে, তিনি মন্ত্রমুগ্ধের মতো উচ্চারণ করতে থাকেন ‘আনাল হক’। এই থেকে তিনি ‘আনাল হক’ নামে পরিচিতি লাভ করেন
‘আমিই পরম সত্য’ এই অর্থে আল্লাহ বিবেচনা করে, নিজেকে আনাল হক বলাকে অমার্জনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছিলেন সেকালের বেশিরভাগ ওলামায়ে কেরাম। কেউ কেউ তাঁকে ফেরাউনের সাথে তুলনা করেছিলেন। আনাল হকের সমর্থকরা এর প্রতিবাদ করে বলে থাকেন ফেরাউন আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকার করে, নিজেকে আল্লাহ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু আনাল হক নিজেকে আল্লাহর অংশ হিসেবে নিজেকে ‘আমিই পরমসত্য’ ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর এরূপ প্রতিটি বাণী ছিল আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করেই। সুফিরা জানতেন, মনসুর কোন অর্থে নিজেকে আনাল হক বলছেন। আল্লাহর সাথে তাঁর নৈকট্য এতটাই গভীর হয়ে উঠেছিল যে, তিনি নিজেকে আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেন না। তাই তিনি নিজের নাম পর্যন্ত ভুলে গিয়েছিলেন। তার পরিবর্তে নিজেকে ‘আনাল হক’ বলে পরিচয় দিতেন।
তাঁর আরও একটি বহুল বিতর্কিত আকিদা হলো হুলুল ও ইত্তেহাদ। অর্থাৎ তিনি বলতেন আল্লাহ তাঁর মধ্যে প্রবেশ করেছেন; ফলে আল্লাহ্ ও তিনি একই সত্ত্বা হয়ে গেছেন।
সাধারণত সুফিমতাদর্শীদের গুপ্ত জ্ঞান অন্যের কাছে প্রকাশ করাটা অমার্জনীয় কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু মনসুর এসকল বিষয় অগ্রাহ্য করে, সর্বসাধারণের কাছে সকল গুপ্ত বিষয় প্রকাশ করতেন লিখে এবং মৌখিক অভিভাষণে। এই কারণে অন্যান্য সাধকরা তাঁর শত্রু হয়ে উঠেছিলেন। মানসুর হাল্লাজ গদ্য এবং পদ্যে প্রচুর লেখালেখি সুফিবাদের গুপ্ত কথা ব্যক্ত করেছিলেন। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ হলো কিতাব আল-তাওয়াসিন। যেখানে দুটি সংক্ষিপ্ত অধ্যায় আল্লাহ-তাআলা এবং ইবলিশ-শয়তানের কথোপকথনের বর্ণনা আছে। আল্লার নির্দেশে ইবলিশ হযরত আদম (আ:) কে সেজদা করতে অস্বীকার করেছিল।এই ব্যপারে মানসুর হাল্লাজ তার বইয়ে বলেন-
“যদি আল্লাহকে নাই চিনতে পারো, তাহলে কমপক্ষে তার নিদর্শনকে তো চেনো। আমিই সৃজনশীল সত্য- আনাল হাক্ক, কারণ সত্যের ভিতর দিয়ে আমিই পরম সত্য।
তার মতবাদের সারমর্ম ছিল “সমগ্র মানবজাতির এক নিগূঢ় অন্তর্দর্শন: তিনি তার স্রষ্টাকে অন্তরের অন্তস্থলে খুঁজে পেতে চেয়েছিলেন এবং চেয়েছিলেন যাতে করে অন্যরাও তা খুঁজে পায়। তিনি বিশ্বাস করতেন যে ঐশ্বরিক বাস্তবতায় পৌঁছানোর জন্য গতবাঁধা আনুষ্ঠানিক ধর্মকর্মের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। তিনি কোনরকম সংশয় ছাড়াই বিরোধী-মতবাদিদের (ধর্মীয়)পরিভাষা কিন্তু নিজস্ব সঠিক এবং শুদ্ধতার মাপকাঠিতে ব্যবহার করতেন, যাতে করে তার প্রতিপক্ষীয়রা খুব সহজেই (ধরাবাঁধা ধর্মীয়) বাধানিষেধের কাঠগড়ায় আসামি হিসেবে দাঁড় করায়।
এমনকি উনার চিন্তার পরিসর ধরাবাঁধা প্রচলিত মুসলিম বিশ্বাসের বহু ঊর্ধ্বে ছিলো, তিনি ছিলেন পুরো মানবতার জন্য উদ্বিগ্ন। তাই তাদের সাথে সেই আন্তরিক যোগসাধনের জন্য উনার আকুতি “ছিল অদ্ভুত, ধৈর্যশীল এবং লজ্জাষ্কর। (আর তা ছিলো) খোদার জন্য বাসনা। আর তা ছিলো ওনার অন্যতম বৈশিষ্ট”
আর এই কারণেই উনি (তৎকালীন) মুসলিম বিশ্ব থেকে বহুদূরে ভারত এবং চীনে সফর করেন।
এই ধরনের কথা উচ্চারণের কারণে তিনি লম্বা বিচারকার্যের সম্মুখীন হন এবং দীর্ঘ ১১ বছর বাগদাদ নগরে কারাবাস করেন। এরপর ৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে মার্চ জনসমক্ষে তৎকালীন সরকারি বিচারকদের নির্দেশে হত্যা করা হয়।
মানসুর বিশ্বাস করতেন যে আল্লাহর সঙ্গে আত্মিক মিলন সম্ভব, আর এটাও বিশ্বাস করতেন যে তিনি নিজে তার সঙ্গে এক হয়ে মিলে গেছেন। উনার মৃত্যুদন্ডের পর উনার শরীরকে টুকরো টুকরো করে কাটা হয়, কারণ উনি ধ্যানমগ্ন অবস্থায় একবার ঘোষণা করেন যে “আনা আবরারুল হাক্ক”(আমি সত্যের আবরার)। উনার মৃত্যুদন্ড হয় বাগদাদে প্রকাস্য দিবালোকে। তারা তাকে হত্যার পরে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে আর তারপর সেই কাটা দেহাবশেষকে পুড়িয়ে ফেলা হয়। যখন উনার হাত, পা, জিহ্বা, আর সবশেষে মাথা কেটে ফেলা হয়, তখনো তিনি উচ্চারণ করতে ছিলেন “আনাল হাক্ক(আমিই পরম সত্য)। “যখন সবশেষে তার মাথা কেটে ফেলা হয়। তিনি খোদার সাথে তার গভীর সম্পর্কের প্রমাণ দিতে চেয়েছিলেন এমনকি তাকে হত্যা করে ফেলতেও বলেছিলেন।
এবং নিজের মৃত্যুদন্ডকে স্বেচ্ছায় বরন করেন, এই বলে যে “সেই এক স্বত্তার সাথে মিলনেই প্রকৃত আনন্দ।”
মনসুর হাল্লাজ এর জীবনী
আনাল হক মনসুর হাল্লাজ
মনসুর হাল্লাজ বই pdf
মনসুর হাল্লাজ এর বানী
সীরাতে মনসুর হাল্লাজ
মনসুর হাল্লাজের সত্য বলার শখ pdf
কিতাব আল তাওয়াসিন PDF download
আইনাল হক নামের অর্থ কি
Channel Name : আল্লাহ্ র দল / আল্লাহর দল
Fair Use Disclaimer:
=================
This channel may use some copyrighted materials without specific authorization of the owner but contents used here falls under the “Fair Use” as described in The Copyright Act 2000 Law No. 28 of the year 2000 of Bangladesh under Chapter 6, Section 36 and Chapter 13 Section 72. According to that law allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use.
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: