সিজদায় সাহু কখন দিতে হয়? মিজানুর রহমান আজহারী।
Автор: ইসলামি জীবন
Загружено: 2025-04-30
Просмотров: 3300
Описание:
সিজদায় সাহু কখন দিতে হয়? মিজানুর রহমান আজহারী।
বিষয়ঃ নামাজের মাসলা-মাসায়েল
আলোচকঃ মিজানুর রহমান আজহারী

মূলপাতা
সকল সংখ্যা
বিভাগ
লেখকবৃন্দ
আপনার জিজ্ঞাসা
পরিচিতি
যোগাযোগ
বর্ষ: ১২, সংখ্যা: ০৯
মুহাররম ১৪৩৮ || অক্টোবর ২০১৬
শাস্ত্রীয় আলোচনা : সেজদা সাহু : পদ্ধতি ও প্রাসঙ্গিক কিছু বিষয়
মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহমান
[সেজদা সাহুর মাসআলাসমূহের মধ্যে যে দুটি বিষয়ের দলীল জানা বেশি জরুরি তা হল :
১. সেজদা সাহু সালামের পরে করা হবে না আগে?
২. সেজদা সাহুর পর আবার তাশাহহুদ পড়া এবং সালাম ফিরানো হবে কি না?
সংশ্লিষ্ট হাদীস ও আছারের আলোকে দলীলগতভাবে এ পদ্ধতিই বেশি শক্তিশালী প্রমাণিত হয় যে, সেজদা সাহু সালামের পরে হবে এবং দুই সেজদার পর আবার তাশাহহুদ পড়া এবং সালাম ফিরানো হবে। বর্তমান প্রবন্ধে এ পদ্ধতি সম্পর্কিত হাদীস ও আছার হাওয়ালাসহ পেশ করা হয়েছে।
এখানে একটি প্রশ্ন এই বাকি থাকে যে, সেজদা সাহুর আগে শুধু আততাহিয়্যাতু পড়া হবে না আততাহিয়্যাতু, দরূদ ও দুআ সবকিছু পড়ার পর সেজদা সাহু করা হবে এবং সেজদা সাহুর আগে যে সালাম ফিরানো হবে তা শুধু ডান দিকে হবে না ডান-বাম উভয় দিকে? এ প্রবন্ধে এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়নি। এ বিষয়ে সামনে কখনো স্বতন্ত্র প্রবন্ধে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
ونسأل الله التوفيق وهو الموفق والمعين
-আবদুল মালেক]
নামায গভীর মনোযোগ ও একাগ্রচিত্তে আদায় করা কাম্য। কিন্তু এ সত্ত্বেও নামাযে কোনো কিছু ভুলে যাওয়া অসম্ভব নয়। স্বয়ং নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে নামাযে ভুলের ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা আমরা স্বয়ং তাঁর আমলের মাধ্যমেই লাভ করেছি, তেমনি এও জানা গেছে যে, নামায যত মনোযোগ সহকারেই পড়া হোক তাতে কখনো ভুল হয়ে যেতে পারে।
নামাযের কোনো কিছু ভুলে গেলে কী করতে হবে সে আলোচনার আগে আরেকটি বিষয় বলে নেই। তা হল নামাযে ইমামের কোনো ভুল হলে মুকতাদীদের কর্তব্য তাকে সে সম্পর্কে অবহিত করা। আর এর নিয়ম হল মুকতাদীদের কেউ সুবহানাল্লাহ বলবে। তাহলে ইমাম তার ভুল সম্পর্কে সতর্ক হয়ে তা থেকে বাঁচতে পারবেন বা অন্তত সেজদা সাহু করতে সক্ষম হবেন।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশায় যেহেতু আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নতুন নিয়ম বা বিধান আসার সম্ভাবনা ছিল, হয়তো এ কারণে সাহাবায়ে কেরাম (শুরুর দিকে) তাঁকে সে সম্পর্কে নামাযের ভিতরে অবহিত করতেন না। তারা মনে করতেন তিনি হয়তো ভুলে যাননি, বরং নতুন কোনো বিধান এসেছে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে এ ধারণা থেকে নিষেধ করে ভুলে গেলে তাঁকে স্মরণ করিয়ে দিতে বলেছেন।
ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামাযে কিছু বেশি করেছেন বা কম করেছেন। যখন সালাম ফিরিয়ে লোকদের দিকে মুখ করলেন তারা জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ, নামাযের ব্যাপারে কি নতুন কোনো হুকুম এসেছে? তিনি বললেন, কী হয়েছে? তারা বলল, আপনি এরূপ-এরূপ পড়েছেন! অতপর তিনি দুই পা ভাঁজ করে কেবলামুখী হয়ে দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরিয়ে লোকদের দিকে মুখ করে বললেন,
إنه لو حدث في الصلاة شيء أنبأتكم به، ولكني بشر أنسى كما تنسون، فإذا نسيتُ فذكروني، فإذا سها أحدكم في صلاته فليتحر الصواب فليتم عليه، فإذا سلم سجد سجدتين .
অর্থাৎ, নামাযের ব্যাপারে নতুন কোনো বিধান এলে আমি তোমাদের অবহিত করতাম। কিন্তু আমি তো মানুষ- তোমাদের মত আমিও ভুলে যাই। সুতরাং আমি ভুলে গেলে তোমরা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিবে। আর তোমাদের কারো নামাযে সন্দেহ হলে সে যেন সঠিকটা অনুসন্ধান করে সে অনুযায়ী নামায পূর্ণ করে। তারপর যখন সালাম ফিরাবে তখন দুটি সেজদা করবে। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৪৪৩৫; সহীহ বুখারী, হাদীস ৪০১; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭৪
এ হাদীসসহ আরো বহু হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নামাযে ভুলের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণস্বরূপ দুটি সেজদা করা ওয়াজিব। আর সেজদা দুটি যেহেতু ভুলের কারণে করতে হয় তাই পরিভাষায় একে ‘সাজদাতুস সাহ্ব’ বা সেজদা সাহু বলা হয়।
সেজদা সাহু কখন ওয়াজিব হয়?
নামাযে যেকোনো ভুলের কারণে সেজদা সাহু ওয়াজিব হয়ে যায় না। বরং ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়। আর যদি ভুলে কোনো ফরয ছুটে যায়, তবে সেজদা সাহু করা যথেষ্ট নয়, বরং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। আর কোনো সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে গেলে সেজদা সাহু করার বিধান নেই।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: