CAA 2019 আবেদন করার সম্পূর্ণ গাইড। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লিস্ট |CAA 2019 Application Process
Автор: Sukanta Biswas
Загружено: 2025-07-28
Просмотров: 8480
Описание:
CAA কী?
Citizenship Amendment Act (CAA), ২০১৯ হল ভারতের নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫-এর একটি সংশোধনী। এই আইন অনুসারে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরা, যারা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪-এর আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তারা ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই আইন মুসলিম সম্প্রদায়কে এই সুবিধার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করেনি, যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
CAA ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর ভারতীয় সংসদে পাস হয় এবং ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। তবে, এর নিয়মাবলী (Rules) ২০২৪ সালের মার্চ মাসে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশিত হয়, যা আইনটি বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করে।
CAA-এর আওতায় কারা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন?
নিম্নলিখিত শর্ত পূরণকারী ব্যক্তিরা CAA-এর আওতায় ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন:
ধর্মীয় সম্প্রদায়: হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি বা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্য।
উৎস দেশ: বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে আগত।
প্রবেশের তারিখ: ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪-এর আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন।
নিপীড়নের কারণ: ধর্মীয় নিপীড়ন বা ধর্মীয় নিপীড়নের ভয়ে তাদের নিজ দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।
অবৈধ অভিবাসী: যারা ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন বা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তারাও আবেদন করতে পারবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
যারা ১ জানুয়ারি, ২০১৫ বা তার পরে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তারা CAA-এর আওতায় নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য নন। তবে, তারা স্বাভাবিক নাগরিকত্ব প্রক্রিয়া (ন্যাচারালাইজেশন) এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন।
আইনটি শুধুমাত্র উল্লিখিত তিনটি দেশের নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য প্রযোজ্য। অন্যান্য দেশ (যেমন, মিয়ানমার বা শ্রীলঙ্কা) থেকে আগত বা অন্য ধর্মের ব্যক্তিরা এই আইনের আওতায় পড়েন না।
CAA-এর আবেদন প্রক্রিয়া
CAA-এর আওতায় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে পরিচালিত হয়। নিচে ধাপে ধাপে প্রক্রিয়াটি বর্ণনা করা হলো:
ধাপ ১: অনলাইন পোর্টালে প্রবেশ
আবেদনকারীকে ভারত সরকারের অফিসিয়াল পোর্টালে যেতে হবে: https://indiancitizenshiponline.nic.in।
একটি মোবাইল অ্যাপ, CAA-2019, শীঘ্রই চালু হতে পারে, যা দিয়েও আবেদন করা যাবে।
আবেদনকারীর একটি ব্যক্তিগত ইমেল আইডি এবং মোবাইল নম্বর থাকতে হবে।
ধাপ ২: আবেদনপত্র পূরণ
পোর্টালে লগইন করে একটি প্রশ্নমালা পূরণ করতে হবে, যা আবেদনকারীর যোগ্যতা নির্ধারণ করবে।
এরপর, আবেদনকারীকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী উপযুক্ত ফর্ম (Form) পূরণ করতে হবে। ফর্মে নিম্নলিখিত তথ্য প্রদান করতে হবে:
ব্যক্তিগত তথ্য (নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা ইত্যাদি)।
ভারতে প্রবেশের তারিখ এবং কারণ (ধর্মীয় নিপীড়নের প্রমাণ)।
ধর্মীয় পরিচয় (হিন্দু, শিখ, ইত্যাদি)।
ভারতে বসবাসের প্রমাণ (যেমন, ভোটার আইডি, আধার কার্ড, বা অন্যান্য নথি, যদি থাকে)।
ধাপ ৩: প্রয়োজনীয় নথি আপলোড
আবেদনকারীকে নিম্নলিখিত নথিগুলির মধ্যে যেকোনো একটি বা একাধিক আপলোড করতে হবে )।
জন্ম সনদ।
শিক্ষাগত সনদ (স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় থেকে)।
সরকারি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত পরিচয়পত্র।
ভারতে ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিসার (FRO) কর্তৃক ইস্যুকৃত আবাসিক পারমিট।
সরকারি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত লাইসেন্স।
জমি বা ভাড়ার রেকর্ড।
এমন কোনো নথি যা প্রমাণ করে যে আবেদনকারীর পিতামাতা, দাদা-দাদি বা প্রপিতামহ-প্রপিতামহী উক্ত দেশের নাগরিক ছিলেন।
স্থানীয় পুরোহিত বা সম্প্রদায়ের স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ধর্মীয় পরিচয়ের শংসাপত্র।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
২০২৪ সালে CAA নিয়মে সংশোধনী এনে নথির তালিকা আরও নমনীয় করা হয়েছে। এখন "etc." (ইত্যাদি) শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে উক্ত দেশের যেকোনো সরকারি নথি গ্রহণযোগ্য। এটি আবেদন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করেছে।
যদি আবেদনকারীর কাছে কোনো নথি না থাকে, তবে তিনি ভারতে প্রবেশের বছর ঘোষণা করতে পারেন, এবং কোনো নথি ছাড়াই আবেদন গ্রহণ করা হতে পারে।
ধাপ ৪: অতিরিক্ত প্রয়োজনীয়তা
শপথ গ্রহণ: আবেদনকারীকে ভারতীয় সংবিধানের প্রতি আনুগত্যের শপথ নিতে হবে।
চরিত্র সনদ: একজন ভারতীয় নাগরিককে আবেদনকারীর চরিত্রের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়ে একটি হলফনামা জমা দিতে হবে।
ভাষার জ্ঞান: আবেদনকারীকে ভারতীয় সংবিধানের অষ্টম তফসিলে উল্লিখিত যেকোনো ভাষায় (যেমন, বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি ইত্যাদি) দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে।
ধাপ ৫: আবেদন জমা ও পর্যালোচনা
আবেদনটি জেলা পর্যায়ের কমিটি (District Level Committee, DLC) এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির (Empowered Committee) কাছে পাঠানো হবে।
DLC একজন মনোনীত কর্মকর্তার (Designated Officer) নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।
কমিটি আবেদন এবং নথি পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
ধাপ ৬: নাগরিকত্ব প্রদান
আবেদন অনুমোদিত হলে, আবেদনকারীকে নাগরিকত্ব সনদ প্রদান করা হবে।
নাগরিকত্ব প্রদানের তারিখ থেকে আবেদনকারীর ভারতে প্রবেশের দিন থেকে নাগরিকত্ব কার্যকর বলে গণ্য হবে। এর ফলে, তাদের পূর্বের নথি (যেমন, আধার কার্ড, ভোটার আইডি) বৈধ থাকবে।
CAA-এর আইনগত কাঠামো
CAA ভারতের Citizenship Act, 1955 এর অধীনে একটি নতুন ধারা, ধারা ৬বি (Section 6B) যুক্ত করেছে। এই ধারা অনুসারে:
উল্লিখিত সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তাদের অবৈধ অভিবাসন বা নাগরিকত্ব সংক্রান্ত যেকোনো আইনি মামলা বন্ধ হয়ে যাবে।
নাগরিকত্ব প্রদানের প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিত কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
আইনের বৈশিষ্ট্য:
ত্বরান্বিত প্রক্রিয়া: CAA অভিবাসীদের জন্য নাগরিকত্ব প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, যা সাধারণ ন্যাচারালাইজেশন প্রক্রিয়ার তুলনায় দ্রুত।
ধর্মভিত্তিক শর্ত: আইনটি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য প্রযোজ্য, যা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
নথির নমনীয়তা: ২০২৪ সালে সংশোধিত নিয়মে নথির তালিকা প্রসারিত করা হয়েছে, যাতে আবেদনকারীদের জন্য প্রক্রিয়া সহজ হয়।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: