ycliper

Популярное

Музыка Кино и Анимация Автомобили Животные Спорт Путешествия Игры Юмор

Интересные видео

2025 Сериалы Трейлеры Новости Как сделать Видеоуроки Diy своими руками

Топ запросов

смотреть а4 schoolboy runaway турецкий сериал смотреть мультфильмы эдисон
Скачать

সতীদাহ প্রথা কাকে বলে ? রামমোহন রায়ের প্রচেষ্টায় কীভাবে এপ্রথা বন্ধ হয়?(sati pratha)

Автор: Lights Way

Загружено: 2023-06-19

Просмотров: 4021

Описание: সতীদাহ প্রথা কি?

সতীদাহ প্রথা(Sati Pratha) হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিধবা নারীদের স্বামীর চিতায় সহমরণে বা আত্মাহুতি দেবার ঐতিহাসিক প্রথা।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে স্বামীর শব দেহ বা মৃতদেহের সঙ্গে বিধবা স্ত্রীকে জীবন্ত দাহ করার বা পুড়িয়ে মারার নৃশংস পদ্ধতিই হল সতীদাহ প্রথা।

সতীদাহ প্রথার ইতিহাসঃ
হিন্দু পুরাণ অনুসারে প্রজাপতি দক্ষ ছিলেন ব্রহ্মার পুত্র। দক্ষরাজার সর্বকনিষ্ট কন্যা দাক্ষায়নী সতীদেবী পিতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে শিবকে পতি রুপে গ্রহন করে।
একদা ব্রহ্মা কর্তৃক দক্ষ সকল প্রজাপতির রাজা নির্বাচিত হওয়ারআনন্দে আয়োজন করেন এক
মহাযজ্ঞের। ত্রিভুবনের সকলেই এই মহাযজ্ঞে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন, শুধু কন্যা সতী ও জামাতা শিব
ছিলেন নেমন্তন্নের বাইরে।কিন্তু বিনা আমন্ত্রণেই
সতী উপস্থিত হন যজ্ঞস্থলে।সেখানে পিতার
মুখে পতি শিবের নিন্দাবানী ও কটূক্তি শুনে অপমান সহ্য করতে না পেরে ক্রোধে ও ক্ষোভে দেবী সতী যজ্ঞের আগুনে আত্মবিসর্জন করেন৷
কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে,
ধর্ম বা শাস্ত্রের দোহাই দিয়ে তখনকার ব্রাহ্মণ বা উচ্চ বর্ণের হিন্দুরা এই সতীদাহ প্রথা চালু করেছিল। কিন্তু হিন্দু ধর্মের প্রধান গ্রন্থ বেদে সতীদাহ (Sati Pratha)প্রথার কোন উল্লেখ পাওয়া যায়নি। বরং সেখানে বিধবাদের পুর্নঃবিবাহের কথা উল্লেখ করা রয়েছে।
সতীদাহ প্রথা:
সতীদাহ প্রথা ছিল মূলত সামাজিক ও ধর্মীয় হত্যাকাণ্ড। মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির দখল নিতে এবং পারিবারিক মানসম্মান নষ্ট হওয়ার ভয় থেকেই মৃত ব্যক্তির আত্মীয়রা সদ্য বিধবা হওয়া নারীকে জোর করে স্বামীর চিতায় পুড়িয়ে মারতেন।তা ছাড়া ছেলে মারা যাওয়ায় তাঁর স্ত্রীকে বাড়িতে রাখা ঝামেলা মনে করা হতো। হত্যাই যেন এর সহজ ও একমাত্র সমাধান ছিল! বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে এই প্রথাচর্চার প্রবণতা অনেক বেশি ছিল।

বিধবা নারীকে নববধূর মতো সাজিয়ে, সিঁদুর
ও ফুলের মালা পরিয়ে, চন্দন ও আলতার রঙে
রাঙিয়ে জ্বলন্ত চিতার ওপর তুলে দেওয়া হতো।
অনেক সময় আফিম জাতীয় মাদকদ্রব্য খাইয়ে
বা মাথার পেছনে আঘাত করে অজ্ঞান করে
হাত-পা বেঁধে স্বামীর চিতায় তুলে ভস্ম( ছাই)
করে দেওয়া হতো।
তার করুন কান্নার আর্তনাদ যাতে চারদিকে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য চারপাশে
হৌয় হুল্লোর করে  শঙ্খ, ঘন্টা, ঢাক- ঢোল বাজিয়ে বদ্ধ উন্মাদের মতো সমাজের এই অমানসিক প্রথা পালন করা হতো, আর এরই নাম ছিল সতীদাহ প্রথা।

রাজা রামমোহন রায় ও সতীদাহ প্রথা:
রাজা রামমোহন রায় ছিলেন একাধারে সমাজ, শিক্ষা ও ধর্মীয় সংস্কারক।হিন্দু সমাজ থেকে তিনি মূর্তিপূজা,বর্নভেদ প্রথাএবং অর্থহীন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও অন্যান্য কুসংস্কার দূর করার চেষ্টা করেন।

এরপর রামমোহন রায় ১৮১২ সালে সতীদাহ বিরোধী
সামাজিক আন্দোলন শুরু করেন। তিনি ও তাঁর লোকেরা
বিভিন্নভাবে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে এই প্রথা
শুধু অমানবিকই নয়, বরং তা শাস্ত্র ও আইন বিরুদ্ধ।

১৮১৮ সালে তিনি শাস্ত্রের যুক্তি দেখিয়ে রচনা করেন
‘সহমরণ বিষয় প্রবর্ত্তক ও নিবর্ত্তকের সম্বাদ’ শিরোনামের ছোট একটি পুস্তিকা।
সহমরণ বিষয়ে প্রবর্ত্তক ও নিবর্ত্তকের দ্বিতীয় সম্বাদ প্রকাশিত হয় নভেম্বর, ১৮১৯।
১৮২৮ সালে লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক বাংলার গভর্নর হয়ে আসেন। তিনি সতীদাহ
প্রথার কথা আগে থেকেই জানতেন। লর্ড বেন্টিঙ্কের কাছে রামমোহন রায় সতীদাহ
প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য আবেদন করেন। লর্ড বেন্টিঙ্ক রামমোহনের
যুক্তির সারবত্তা অনুভব করে আইনটি পাসে উদ্যোগী হন।ব্রিটিশ শাসনের ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তিনি ১৮২৯ সালের ৪ ডিসেম্বর সতীদাহ প্রথাকে নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে আইন পাস করেন।

আল্লাহ হাফেজ
১৯.০৬.২০২৩


সতীদাহ_প্রথা #সতীদাহ #সতী #রামমোহন_রায়

#sati #sati_pratha

Не удается загрузить Youtube-плеер. Проверьте блокировку Youtube в вашей сети.
Повторяем попытку...
সতীদাহ প্রথা কাকে বলে ? রামমোহন রায়ের প্রচেষ্টায় কীভাবে এপ্রথা বন্ধ হয়?(sati pratha)

Поделиться в:

Доступные форматы для скачивания:

Скачать видео

  • Информация по загрузке:

Скачать аудио

Похожие видео

© 2025 ycliper. Все права защищены.



  • Контакты
  • О нас
  • Политика конфиденциальности



Контакты для правообладателей: [email protected]