রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবে না! | অন্তর্বর্তী সরকার | অধ্যাদেশ ২০২৪ | bnanews24
Автор: Bnanews24
Загружено: 2024-11-09
Просмотров: 2715
Описание:
ছাত্র-জনতার গণ বিপ্লবের কারণে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। কিন্তু কোনো বিপ্লবী সরকার গঠন করা হয়নি। ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তবর্তী সরকার রাষ্ট্রপতির কাছে সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়েছে। যদিও সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত হওয়ায় বর্তমানে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থা এবং প্রধান উপদেষ্টা বা উপদেষ্টার পদ বলে কিছু নেই। এতে দেখা দিয়েছে এক ধরনে বৈধতার সংকট। এই অবস্থায় আইনি জটিলতা এড়াতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪' নামে একটি অধ্যাদেশ প্রস্তুত করেছে। গত ১৯শে সেপ্টেম্বর খসড়া সেই আধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ বলেছেন, "উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেওয়ার পর অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। চূড়ান্ত হলে নিয়মানুযায়ী অধ্যাদেশ আকারে আদেশ জারি করা হবে।”
জারি হওয়া অপেক্ষায় থাকা অধ্যাদেশে, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে আদালতে গিয়ে অবৈধ ঘোষণা বা বাতিল করা যাবে না, কোনো প্রশ্ন তোলা যাবে না। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার দিন পর্যন্ত হবে, সরকারের মেয়াদ।''
খসড়া অধ্যাদেশে বলা হয়, সংবিধান এবং আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়া এবং নতুন সংসদ গঠিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী যে তারিখে তাহার পদের কার্যভার গ্রহণ করবেন, সেই তারিখের মধ্যবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক প্রয়োগকৃত সকল ক্ষমতা, প্রণীত সকল অধ্যাদেশ, বিধিমালা, প্রবিধানমালা, জারীকৃত প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত আদেশ, কৃতকার্য, গৃহীত ব্যবস্থা আইন অনুযায়ী যথাযথভাবে প্রয়োগকৃত, প্রণীত, জারীকৃত, প্রদত্ত, কৃত এবং গৃহীত হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টসহ অন্য কোনো আদালত বা কর্তৃপক্ষে এদের বৈধতা সম্পর্কে কোনোভাবেই কোনো প্রশ্ন উত্থাপন কিংবা এদেরকে অবৈধ বা বাতিল করতে পারবে না। প্রধান উপদেষ্টা বা উপদেষ্টাদের নিয়োগ নিয়ে ত্রুটি থাকলে সে জন্য কোনো কাজ অবৈধ হবে না।
অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে এবং সংবিধান বা অন্য কোনো আইন দিয়ে নির্ধারিত দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য ও সহায়তা দেবে অন্তর্বর্তী সরকার। বিলুপ্ত হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতোই থাকছে প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের পদমর্যাদা। উপদেষ্টা পরিষদে নিয়োগ পাবেন না ২৫ বছরের কম বয়সিরা। সরকারি কর্মচারীদের সহায়তায় অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করবে।
অধ্যাদেশে আরও বলা হয় বিদ্যমান অন্যান্য আইনে যা কিছুই বলা থাকুক না কেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে কাজ করতে হবে। জরুরি অবস্থা ঘোষণার বৈধতার জন্য প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ নিতে হবে রাষ্ট্রপতিকে।
কোনো আদালতে অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না- এমন এক অধ্যাদেশ চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেও আইন বিশেষজ্ঞ ও রাজনীতিবিদরা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না?''
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, "এই অধ্যদেশের কোনো প্রয়োজন ছিল না। কারণ, আপিল বিভাগের অনুমতি নিয়েই রাষ্ট্রপতি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছেন। আর যে কথাটি বলা হচ্ছে, প্রশ্ন তোলা যাবে না, কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না? সব কিছু নিয়েই প্রশ্ন উঠতে পারে। সেটাও সকলের মতামতের ভিত্তিতে সমাধান হতে পারে।”
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, "এটা যেন নিজের চরিত্র নিয়ে নিজেই সার্টিফিকেট দেওয়ার মতো অবস্থা। আমি কতদিন ক্ষমতায় থাকবো, সেটি নিয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হলে প্রশ্ন তো উঠতেই পারে। এটিকে ‘ইনডেমনিটি’ হিসেবে দেখছেন তিনি।
আইন বিশেষজ্ঞ ও রাজনীতিবিদরা বলছেন, অনেকটা ভয় থেকে ‘অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪' জারি করার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। এই অধ্যাদেশ এক ধরনের ইনডেমনিটি। আগের কোনো ইনডেমনিটি টেকেনি, ভবিষ্যতে এটাও টিকবে না।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: