রাধে কৃষ্ণ
Автор: KUHU
Загружено: 2024-10-23
Просмотров: 43
Описание:
|| যুগধর্ম হরিনাম ||
▪️এই কলিযুগে ভগবানের দিব্যনাম কীর্তন করা ছাড়া আর কোন ধর্ম নেই । এই হরিনাম হচ্ছে বৈদিক মন্ত্রের সার । এটিই সমস্ত শাস্ত্রের মর্ম । এই হরিনামই হচ্ছে এই কলিযুগের যুগধর্ম” ।
শ্রীমদ্ভাগবতে বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন যুগধর্মের কথা বর্ণনা করা হয়েছে
১ . সত্যযুগ : বিষ্ণুর ধ্যান ।
২ . ত্রেতাযুগ : যজ্ঞ ।
৩ . দ্বাপরযুগ : শ্রীবিষ্ণু অর্চন
৪ . কলিযুগ : হরিনাম সংকীর্তন এজন্য অন্যান্য যুগে যা তাদের নিজ নিজ যুগধর্ম দ্বারা অর্জন করা যেত কলিযুগে কেবল হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করার মাধ্যমে এই ফল অর্জন করা যায় ।
এর কারণ মহাপ্রভু বর্ণনা করেছেন, “এই কলিযুগে , ভগবানের দিব্য নাম হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের অবতার । কেবলমাত্র এই দিব্যনাম কীর্তন করার মাধ্যমে যেকোনাে জীব সাক্ষাৎ ভগবানের সঙ্গ লাভ করার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারে । যিনি শ্রবণ কীর্তন করেন তিনি অবশ্যই উদ্ধার লাভ করেন । এই নামের প্রভাবেই কেবল সমস্ত জগৎ নিস্তার পেতে পারে । ”
ভক্তিবিনােদ ঠাকুরের “শ্রীকৃষ্ণ সংহিতায়” - এ প্রসঙ্গে একটি সুন্দর বিবৃতি পাওয়া যায় । তিনি বর্ণনা করেছেন মানুষের উন্নতির স্তর বিবেচনা করে পূর্ববর্তী গ্রন্থ সংকলকগণ বিভিন্ন যুগে জীবদেরকে উদ্ধার করার নিমিত্ত ভিন্ন ভিন্ন মন্ত্র নির্ধারণ করেন । এগুলােকে বলা হয় তারকব্রহ্ম নাম । যদিও যুগে যুগে জীবের অধঃপতন হয় তথাপি বিভিন্ন রসভেদে এই মন্ত্রগুলাে ক্রমাগত উন্নত হয় ।
#সত্যযুগের মন্ত্র ছিল,
“নারায়ণ পরা বেদা নারায়ণ পরাক্ষরা,
নারায়ণ পরা মুক্তি নারায়ণ পরাগতা” ।
🌿এই প্রার্থনাটির মধ্য দিয়ে নারায়ণরূপে পরম সত্যের প্রতি শ্রদ্ধা শান্ত রস । এবং ঈষৎ দাস রসের ভক্তি বর্তমান ছিল ।
#পরবর্তী যুগ ত্রেতা যুগের তারক ব্রহ্ম নাম ছিল,
“ রাম নারায়ণ কান্ত অনন্ত মুকুন্দ মধুসূদন,
কৃষ্ণ কেশব কংসারে হরে বৈকুণ্ঠ বামন” ।
#এই মন্ত্রে সবই ভগবানের বীরত্ব সূচক নাম । মধুসূদন ( মধু নামক অসুরের দলনকারী ) এবং কংসারী ( কংসের শক্র) দাস্য রসের নির্দেশক । কৃষ্ণের বন্ধুদের এভাবে সম্বােধন করা স্বাভাবিক । এভাবে ত্রেতাযুগে পূর্ণ দাস্য এবং সখ্য রসের আভাস বর্তমান ছিল । কিন্তু শ্রদ্ধার ভাবও তখনাে বর্তমান ।
#দ্বাপর যুগের মন্ত্র ছিল নিম্নরূপঃ
“হরে মুরারে মধুকৈটভারে গােপাল গােবিন্দ মুকুন্দ শৌরে,
যজ্ঞেস নারায়ণ কৃষ্ণ বিষ্ণো নিরাশ্রয়ং মাং জগদীশ রক্ষ”।
এখান উল্লেখিত নামগুলাে কৃষ্ণকে নির্দেশ করে যিনি অনাথদের নাথ এবং এ স্তরে শান্ত , দাস্য , সখ্য এবং বাৎসল্য রস বিদ্যমান ।
#কলিযুগের তারক ব্রহ্ম নাম হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র -
“হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে,
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে”।
শ্রীল ভক্তিবিনােদ ঠাকুর এক্ষেত্রে হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্রের একটি বিশেষ দিক বর্ণনা করেছেন,
🌿এই হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র ভগবানের সবচেয়ে সুমধুর নাম ।
🌿এই মন্ত্রে মুক্তির জন্য কোনাে প্রার্থনা নেই কিন্তু এখানে প্রগাঢ় আসক্তি সমন্বিত সৰ্বরসের উদ্দীপন বিদ্যমান ।
🌿এই মন্ত্রে ভগবানের কোনাে বীরত্ব বা মুক্তি প্রদানের কথা উল্লেখ নেই ।
🌿এই মন্ত্র কেবল তখনই প্রকাশিত হয় যখন পরমাত্মার সাথে আত্মার বন্ধন ভক্তির দ্বারা রচিত হয়।
#এই হরিনাম শুধুমাত্র মাধুর্য রসের ভক্তদের জন্য এবং নিরন্তর এই হরিনাম জপ, কীর্তন ও স্মরণই ভগবানের সর্বশ্রেষ্ঠ আরাধনা”।
llহরেকৃষ্ণll
(সবাই, like, share ও comment করুন)
।।জয় ভাগবতম ।।জয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: