তুই দাসী, আমি দাসী,চলে গো দাসী জল আনতে যাই। প্রথম দাসী রানী সাথে নিয়ে জল ঘাট গেল।
Автор: ডাঃ মোঃ জুবের আহমদ
Загружено: 2025-11-25
Просмотров: 23
Описание:
লোকনাট্যরীতি গাজীর গান
চার কনা পৃথিবী করলাম
আসন করলাম কি,
সুন্দরবনে বাইন্দা লইলাম
গাজী জিন্দা পীর । (বন্দনা)
গাজীর গান, বাঙলা কৃত্য পাঁচালী বা ঔপচারিক পাঁচালির অন্তর্গত। গান’ শব্দটি আমাদের ভাষায় পৃথক পৃথকরূপে গীত, নৃত্য, নাট্য গানকে বোঝায়, আবার তা নাট্যমূলক সকল পরিবেশনার ক্ষেত্রে অভিন্ন অর্থে হয়। গাজি পীরের উদ্দেশ্যে নিবেদিত কৃত্য নাট্য হলেও, গাজীর গানের শিল্পরস কৃত্যের সীমা অতিক্রম করে আধুনিক শ্রোতাকে ধর্মের ভেতর থেকে এক মানবীয় লোক আহবান করে। গাজি পীরের জীবন কথা এবং আন্যান্য কাহিনীতে যেখানে আতিলৌকিক ক্ষমতাধর বীর্যবান কিন্তু ভক্তিপ্রেমী গাজি ও কালু পীরের আবির্ভাব ঘটে সে সকল কাহিনীও গাজীর গান নামে অভিহিত যেমন-জামাল কামালের পালা, দিদার বাদশার পালা১। (ডঃ সেলিম আল দীন)
বাঙলা নাটকের হাজার বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাসের ধারায় লেখ্যরূপ প্রচলিত নাট্য আঙ্গিকের বাইরে মৌখিক রিতির লোকনাট্যরীতি এ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নামি-অনামি লোকশিল্পীদের সযত্ন পরিচর্যায় আদ্যবধি বহমান। কালের প্রবাহে অযত্নে-অবহেলায় তা ক্রমশ লোকচক্ষুর অন্তরালে হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ এই সকল নাট্য-নমুনার মধ্যে বাংলা নাটকের হাজার বছরের অভিনয় রীতির পরিচয় চিহ্ন আমাদের আভিনয়ের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে টিকে আছে। বাঙলা প্রাচীন লোকনাটকের উল্লেখযোগ্য ধারা ‘গাজীর গান’।
গাজীর গান ও এর পরিবেশন রিতিঃ
গাজীর গান সপ্তদশ শতকের বাঙলার মুসলমান সমাজে পূজিত গাজি পীরের লৌকিক –অলৌকিক কাহিনী কেন্দ্রিক কৃত্যমূলক ‘পীর পাঁচালি’। মুসলমান সমাজের নিত্য অভাব ও অভিঘাতজাত গাজিপির হিন্দু উপকথায় বর্ণিত সত্য-নারায়ন অন্যান্য বিরগাথার অনুসারনে রচিত হয়ে আজ কিংবদন্তী এবং তৎকালে জীবন্ত সত্য বলে প্রতীয়মান। গাজীর জীবনকাহিনী কবিকল্পিত হলেও ইতিহাসের গাজি নামের কোন বিরের আদলে তাঁর অবয়ব গঠিত হয়েছে এ ধারনাটিও বহুল প্রচলিত। তাই গাজিপির মুসলমান হলেও অসম্প্রদায়িক; হিন্দু-মুসলমান সবাই তাঁর ভক্ত। গাজীর গান গাজিপিরের বন্দনা ও মহাত্মা গীত। প্রধানত ফরিদপুর, নোয়াখালী, চট্রগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে এ গান এক সময় বহুল প্রচলিত ছিল। সন্তান লাভ, রোগব্যাধির উপশম, অধিক ফসল উৎপাদন, গো-জাতি ও ব্যাবসা-বানিজ্যের উন্নতি এরূপ মনস্কামনা পুরনারথে গাজীর গানের পালা দেওয়া হত। এছাড়াও গাজীর গানে বিভিন্ন আচার-বিচার ও সমস্যা তুলে ধরা হত। এ উপলক্ষে আসর বসিয়ে কিছু লৌকিক আচার সহ গাজীর গান পরিবেশিত হতো। আসরের মধ্যেখানে থাকতো ‘গাজীর পট’, যাতে কারবালার ময়দান, মক্কার কাবাগৃহ, কাশীর মন্দির ইত্যাদি পবিত্র স্থানসমূহ অঙ্কিত হতো। অনেক সময় এসব পট মাটির সারা বা পাতিলে আকা হতো। গাজীর গানের দলে ঢোলক ও বাঁশীবাদক এবং ৪-৫ জন দোহার থাকতো। দলনেতা গায়ে আলখাল্লা ও মাথায় পাগড়ী পরে একটি আসা দণ্ড অবিরাম দুলিয়ে দুলিয়ে এবং লম্বা পাফেলে অসরের চারদিকে ঘুরে ঘুরে গান গাইত, আর দোহাররা তা পুনরাবৃত্তি করত, এভাবে মুহুর্মুহু বাদ্যে তালে এ গান চলত। মূল গায়েন প্রথমে বন্দনা গাইত, এরপর গাজীর জন্মবৃত্তান্ত, দৈত্য-রাক্ষসের সঙ্গে যুদ্ধ, রোগ-মহামারী ও নানা বিপদ-আপদের দুষ্ট আত্মার সঙ্গে যুদ্ধ, অকুল সমুদ্রে ঝড়- ঝঞ্চা থেকে পুন্যবান ভক্ত সওদাগরের নৌকা রক্ষা এসব বর্ণনা করে গায়ক গাজীর গান গাইত। গাজীর দল মৈত্রী, সম্প্রীতির কথা মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেন। গড়িব লোকের চিকিৎসাও করেন গাজীর লোকেরা। আবার অনেক সময় অসুস্থ রোগীর গায়ে চামরের স্পর্শ ও ঝাড়-ফুক দিয়ে সুস্থ করে তলেন। জল পড়া ও তেল পড়াও দেন, বিনি ময়ে টাকা কিংবা চাল নেন। গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে গাজীর দল তত্ত্ব কথা প্রচার করেন। এঁদের মাথায় থাকে পাগড়ী, গলায় তসবিহ বা মালা, হাতে ‘চামর’,(কুমলি নামক এক প্রকার বন্য গাভীর লেজ কেটে এনে চামর বানানো হতো) ও পরনে থাকতো বেশ ঢিলে-ঢালা আলখাল্লা। গাজীর গান এক সময় পূর্ব-পশ্চিম বঙ্গে খুব জনপ্রিয় ছিল।
ও তরে ছাইরা দিবো কে
বাইন্দা লইয়া জাইমু তরে
কালুর দরবারে ।
এমন বান্দন দিল ভাই রে
বান্দন নামটি চুরা
একে বাড়ে বাইন্দা লইলাম
রাজা-রানী চুরা ।
উইরা যায় রে জিন্দা গাজী
নয়ন ভইরা দেখ রে ।
উইরা উইরা যায় রে গাজী,
ফিরা ফিরা চায় । (গাজীর গান) #everyone #foryou #motivation #vlog #love #nature #motivational #rain #reelsvideo
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: