পাড়ই পাড়ার মানুষের জীবনযাপন || বাগদি সম্প্রদায় || LifeStory Of Paroi Para

Описание: পাড়ই পাড়ার মানুষের জীবনযাপন || বাগদি সম্প্রদায় || LifeStory Of Paroi Para

বাগদি হলো দ্রাবিড়-বংশোদ্ভুত এক আদিবাসী গোষ্ঠী যাদের প্রধান বাসস্থান ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ।

দেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বাগদি সম্প্রদায় অন্যতম। দেশের বিভিন্ন জেলায় এ সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে। দেশে প্রায় দুই লাখ বাগদি বসবাস করেন বলে এক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে। আগে এরা মৎস্যজীবী ছিলেন বলে অনেক গবেষণায় জানা যায়। ফলে তাদের মাছুয়া নামেও ডাকা হতো বলে উল্লেখ করেছেন কেউ কেউ।

তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাগদি সম্প্রদায় তাদের আদি পেশা থেকে সরে এসেছে এবং তারা বর্তমান সময়ে ভিন্ন ভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত। আর পেশা পরিবর্তনের ফলে তাদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক দিকে এসেছে নানা পরিবর্তন।

মানুষের পেশাগত কাঠামোর পরিবর্তন হল শ্রেণিগত অবস্থানের পরিবর্তন, যা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটখোলায় বসবাসরত বাগদি সম্প্রদায়ের ওপর পরিচালিত গবেষণায় উঠে এসেছে। তাদের গতিশীলতার পেছনের মূল কারণ হিসেবে গবেষণাটিতে দেখানো হয়েছে, আদি পেশার পাশাপাশি ভিন্ন ভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত হওয়া এবং গ্রাম থেকে শহরে স্থানান্তর।

বর্তমানে তারা মাছ ধরার পাশাপাশি ঝিনুক কুড়ানো, খড়ি ফাড়া, ভ্যান-রিকশা চালানো, সেলুনে কাজ, দিনমজুরি, ছাদ পেটানো, আটোরিকশা চালানো, হোটেলে কাজ, ছোট পরিসরে ব্যবসা ইত্যাদি কাজ করেন। এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে চিন্তাধারায় যেমন পরিবর্তন এসেছে তেমনি গুরুত্ব বেড়েছে নারী-পুরুষ উভয়ের।

এ সমাজে শুধু পুরুষরাই অর্থনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত নয় বরং নারীরাও বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ফলে গবেষণায় উঠে এসেছে, এখন পারিবারিক কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়।

গবেষণাটি পরিচালনার ক্ষেত্রে বাগদি সম্প্রদায়ের পেশা পরিবর্তনের কারণ অনুসন্ধান করা হয়েছিল। পাশাপাশি তারা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কোন কোন পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে সেটিও অনুসন্ধানের চেষ্টা করা হয়। এছাড়া অনুসন্ধান করার চেষ্টা করা হয়েছিল, পেশা পরিবর্তনের ফলে তাদের জীবনে বর্তমানে কী ধরনের গতিশীলতা এসেছে সে সম্পর্কে।

অর্থাৎ গবেষণাটি পরিচালিত হয় বাগদি সম্প্রদায়ের পেশা পরিবর্তন ও পরিবর্তিত পেশায় তাদের বর্তমান জীবনে কী ধরনের গতিশীলতা এসেছে সে বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে।

বর্তমানে তাদের মাঝে বাল্যবিয়ের প্রবণতা অনেক কমে এসেছে। পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের শিক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে তাদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। আগে অনেক সময় না খেয়ে দিন পার করলেও এখন তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা হয়, পাশাপাশি নারীরা পুরুষের মতো বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ফলে তাদের মাঝে সঞ্চয়ের ধারণা এসেছে। পুরুষের তুলনায় নারীরাও সিদ্ধান্ত গ্রহণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে বলে উঠে এসেছে গবেষণাটিতে।

তবে তাদের দাবি, তারা এখনও অনেক ধরনের বৈষম্যের শিকার। সরকারি সুযোগ-সুবিধা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, সমঅধিকার ইত্যাদি ব্যাপারে এখনও মূলধারার জনগোষ্ঠীর মতো সুযোগ তারা পায় না। আমাদের সংবিধান সব সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীর মানুষকে সমঅধিকার দিয়েছে। কাজেই বাগদি সম্প্রদায়ের মানুষরাও যাতে এসব অধিকার নির্বিঘ্নে ভোগ করতে পারেন, সরকারের উচিত সেদিকে দৃষ্টি দেয়া।

Channel link :    / Канал  

Social Media Links :

Follow me on Facebook Page :   / almobinhappyofficial  

Follow me on Facebook:   / mdalmobin.happy  

Contact for anything:
Happy : 01782726892

Gmail : [email protected]

ভিডিওগুলো ভালো লাগলে Subscribe করে একটিভ থাকুন। Bell Button টি Click করে রাখুন সবার আগে ভিডিও পেতে।
★ অবশ্যই
#Comment করে অাপনার মন্তব্য জানাবেন।
★ভালো লাগলে
#Share করে দিবেন। যাতে করে আপনার বন্ধুরা দেখতে পারে।
★LIKE দিয়ে পরবর্তি ভিডিও বানাতে অনুপ্রেরনা দিবেন।
#ধন্যবাদ♥♥♥

আশা করি আপনারা সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথে থাকবেন।I
hope you will be with us by subscribing.

This channel may use some copyrighted materials without specific authorization of the owner but contents used here falls under the “Fair Use” Copyright Disclaimer under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use.