ycliper

Популярное

Музыка Кино и Анимация Автомобили Животные Спорт Путешествия Игры Юмор

Интересные видео

2025 Сериалы Трейлеры Новости Как сделать Видеоуроки Diy своими руками

Топ запросов

смотреть а4 schoolboy runaway турецкий сериал смотреть мультфильмы эдисон
Скачать

সপ্ত আর্য সম্পদ/ধন। ভদন্ত তিলোকাবংশ মহাথেরো |

সপ্ত আর্য সম্পদ/ধন

ভদন্ত তিলোকাবংশ মহাথেরো

Автор: কর্মই যখন ধর্ম

Загружено: 2025-09-18

Просмотров: 1349

Описание: সপ্ত আর্যধন এর বর্ণনা-
(ক) শ্রদ্ধা-
শ্রদ্ধা মানে একান্ত বিশ্বাস। কিসে বিশ্বাস? এই জীবন অনিত্য দুঃখ অনাত্মময়। জীবন মুক্তির শ্রেষ্ঠতর অার্য-মার্গ আছে। মুক্তি আছে, নির্বাণ আছে। দান-যজ্ঞ আছে, মাতা-পিতার সেবা আছে, সেবার ফল আছে, সুকৃত-দুষ্কৃত কর্মের ফল-বিপাক আছে, ইহলোক-পরলোক আছে, স্বর্গ-নরক আছে, অনন্ত গুণ সম্পন্ন বুদ্ধ ও তাঁর দেশিত নির্বাণ ধর্ম এবং ধর্মের অনুসারী ভিক্ষু-সংঘ আছেন। শীল-সমাধি-প্রজ্ঞার উদ্বোধনের প্রয়োজনীয়তা আছে ইত্যাদি। এই কয়টি বিষয়ে যাঁদের একান্ত বিশ্বাস আছে, তাঁদের পক্ষে সম্যকভাবে জীবন পরিচালনার তেমন কোন অসুবিধা হয় না। এর ফলে তাঁদের সৎদৃষ্টি ফিরে আসে, মিথ্যাদৃষ্টির অবসান হয়। জীবন শিব সুন্দর পবিত্র ও উজ্জ্বল হয় এবং নির্বাণ মার্গের সন্ধান লাভ করে।
(খ) শীলধন- শীল মানবের অমূল্য সম্পদ। শীল পালনে আনন্দ এবং লংঘনে অনুতাপ উৎপন্ন হয়। শীল সম্পদে মানুষকে পবিত্র মহান ও শ্রেষ্ঠতর করে। আর্য প্রশংসিত শীলের প্রতি যাদের একান্ত অনুরাগ বা বিশ্বাস বিদ্যমান থাকে, তারা অতি গৌরবের সাথে শীল সমূহ পালন করেন। শীল লংঘন জনিত অনুতাপ তাদের ভোগ করতে হয় না। সাধারণতঃ গৃহী জীবনে পঞ্চশীল ও অষ্টশীল পালনের নির্দেশ আছে। আর্য গৃহীরা ঐ শীল সমূহ জীবন-প্রাণ দিয়ে রক্ষা করেন। শীলবানেরা মরণান্তে সুগতি স্বর্গলোকে জন্ম নেন আর দুঃশীল মানব চারি অপায়ে বা গরু ছাগল কুকুররূপে জন্ম নিয়ে অসীম দুঃখ ভোগ করে।
(গ-ঘ) লজ্জা ও ভয়ধন- ‘হিরোত্তপ্পং লোকং পালেতি’ লজ্জা ও ভয় এই দু’টি ধর্ম পৃথিবী রক্ষা করে। পাপের প্রতি লজ্জা-ভয়, পুণ্যে শ্রদ্ধা ও উৎসাহ মানুষকে উর্ধ্বদিকে নিয়ে যায়। যারা দানাদি সুকর্মকে কুকর্ম এবং প্রাণী হত্যাদি কুকর্মকে সুকর্ম বলে বিবেচনা করে, তখন বুঝতে হবে যে- তাদের মানবতা বোধের অভাব ঘটেছে। লজ্জা-ভয়হীন মানুষ পশু সমতুল্য। শাস্ত্রে ছোট-বড় যে কোন পাপকাজে লজ্জা ও ভয় করবার আদেশ-নির্দেশ আছে কিন্তু পুণ্য কাজে তেমন নিষেধাজ্ঞা নাই বরং প্রীতমনে তা সম্পাদনের আবেদন আছে। যেহেতু পুণ্যই সুখের উৎস। আমরা অনেক ক্ষেত্রে মোহের তাড়নায় আসল সত্যকে ভুলে যাই। ফলে লজ্জা-ভয় না করবার বিষয়টিকে লজ্জা-ভয় করি আর লজ্জা-ভয় করবার বিষয়টিকে লজ্জা-ভয় করি না। পাপ কাজে বাধা দেওয়া এবং পুণ্যকাজে উৎসাহিত করা জ্ঞানীর লক্ষণ। যদি নিজের বিবেক দিয়ে বুঝতে পারে যে- ‘ইহা পাপ জনক, নিন্দা-জনক, ইহা সম্পাদনে ভয়ের কারণ আছে, ইহা সুগতি সংবর্তক, ইহা নিরয় সংবর্তক ও দুঃখ দায়ক।’ এভাবে উভয়টির ভাল-মন্দ বুঝতে পারলে উন্নত মানব জীবন সংগঠনের উপায় সহজতর হয়। লজ্জা ও ভয়শীল মানুষ কখনো পাপকাজ করতে পারেনা। তারা সর্বদা পবিত্রভাবেই জীবন যাপন করে।
(ঙ) শ্রুতধন-শ্রুতধন মানবের এক বিরাট সম্পদ। শ্র“ত বলতে বুঝায়-বুদ্ধের মুখ নিঃসৃত বাণী সমূহ হৃদয়-প্রাণ দিয়ে গ্রহণ করা। তিনি যে সর্বপ্রাণীর হিতার্থে ৮৪ হাজার বাণী প্রচার করেছেন, তার সদর্থ জ্ঞাত হয়ে জীবনে অনুশীলন করা। যাবতীয় অকুশল বর্জন এবং কুশল অর্জন করা শ্র“তশীল ব্যক্তির প্রধানতম লক্ষণ। পাপকে বর্জন করা, সদ্কাজের অনুষ্ঠান করা শ্র“তশীল ব্যক্তিরই একমাত্র সম্ভব। বুদ্ধের প্রত্যেক বাণী নির্বাণ রস যুক্ত। বিমুক্তিবাণী যাদের বহুলভাবে আয়ত্ব বা অধিগত, তারা অবশ্যই শ্র“তধনে ধনী। ভগবান তথাগত তাদেরকে প্রশংসা করেছেন যেই ভিক্ষু বা ভিক্ষুণী উপাসক বা উপসিকা বুদ্ধোপদিষ্ট বাণী সমূহ শ্রবণ করে হৃদয় কোষে সঞ্চিত করে রাখেন এবং তা জীবনে রূপায়িত করতে সচেষ্ট হন। শ্র“তশীল মানবের কাছে বুদ্ধ-দেশিত জটিল বিষয়- চারি আর্যসত্য, প্রতীত্য সমুৎপাদ, ত্রিলক্ষণ, সপ্তবোধ্যঙ্গ, পঞ্চেন্দ্রিয়, পঞ্চবল, আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ সমূহ দুর্বোধ্য বলে বোধ হয় না। উহা অতি সহজতরভাবে গ্রহণ করতে তারা সমর্থ হন। শ্র“তশীল মানবকে তিনি আর্যশ্রাবক নামে অভিহিত করেছেন। যেহেতু আর্যশ্রাবক বিনা বুদ্ধের ধর্ম উপলব্ধি করা বড়ো কঠিন। বুদ্ধ সেবক আনন্দ স্থবির এই মহান গুণের অধিকারী ছিলেন।
(চ) ত্যাগধন- ত্যাগ মানে স্বত্ত্ব বা স্বার্থ ত্যাগ। এই সংসারে আপন স্বার্থ ত্যাগ করা বা স্বার্থ ত্যাগে প্রণোদিত হয়ে জীবন গঠন করা কম সহজ কথা নয়। ত্যাগশীলতা অর্জন করতে হলে তাকে সর্বপ্রথম মৈত্রীধর্মে অধিষ্ঠিত থাকতে হয়। সর্বপ্রাণীর প্রতি মৈত্রীধর্ম থাকলেই ত্যাগধর্ম পরিপূর্ণ করা যায়। মৈত্রীহীন হৃদয়ে কখনো ত্যাগ মানসিকতা আসতে পারে না। যেমন পুত্রের প্রতি মাতার অপরিসীম øেহ-মমতা ও দয়া-দাক্ষিণ্য বিধায় মাতা পুত্রের জন্য সবকিছু ত্যাগ স্বীকার করতে বাধ্য থাকে। তেমন অন্যসব প্রাণীর প্রতি যাদের প্রেম-মৈত্রী আছে তারা দান বা স্বার্থত্যাগে কখনো কুণ্ঠিত হয় না।
ত্যাগের অন্য অর্থ- কিছু দিয়ে মনের পবিত্রতা সাধন করা। ত্যাগ বিনা কেহ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারে না। আপন স্বার্থ পরের সুখের জন্য বিলিয়ে দেওয়া কম সহজ কথা নয়। মহৎ হৃদয়ে সবকিছু ত্যাগ করা যায়। কিন্তু সংকীর্ণ হৃদয়ে তা কখনো সম্ভব নয়। সর্বদা তাদের হৃদয়ে সংকোচতার প্রাবল্যই বিদ্যমান থাকে। তাই তারা মহত্বের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে না। উদার হৃদয় ত্যাগ পরায়ণ মানুষ সর্বজনের নন্দিত ও পুজিত হন। অপরদিকে দাতার নাম দেবতা। তাই ত্যাগধনে ধনী হওয়া সকল মানবের একান্তই কর্তব্য।
(ছ) প্রজ্ঞাধন-বৌদ্ধ সাহিত্যে বা দর্শনে প্রজ্ঞার স্থান অতি উচ্চে। প্রজ্ঞার উদ্বোধন হলেই মানুষ নির্বাণ-মুক্তি লাভ করতে পারে। অন্ধ মানুষ যেমন পৃথিবীর কোন স্বরূপ বুঝতে পারে না তেমন প্রজ্ঞাহীনের পক্ষে বুদ্ধের ধর্ম বা দর্শন উপলব্ধি করা অথবা দেহতত্ত্ব মনস্তত্ব বা কার্যকারণ নীতি হৃদয়ঙ্গম করা সহজ বোধ হয় না। এই পঞ্চস্কন্ধ দেহের উৎপত্তি স্থিতি ও ব্যয় সম্বন্ধে যথাযথ জানাই প্রজ্ঞার লক্ষণ। দেহতত্ত্ব সম্বন্ধে জানতে হলে ভাবিত চিত্তের প্রয়োজন। চিত্তকে একমাত্র ভাবিত করতে পারে শমথ ও বিদর্শন ভাবনার মাধ্যমে। এই দু’টি বিদ্যাভাগীর বিষয়। অবিদ্যায় ঢাকা মানুষ সত্যাসত্য ভাল-মন্দ বুঝতে পারে না। যতদিন মানবের চারি আর্যসত্যে বোধ না জন্মে, ততদিন মানুষকে এই ভব সংসারে পরিভ্রমণ করতে হয়। যথাযথ প্রজ্ঞা উৎপন্ন হলেই চারি আর্যসত্যে বোধ জন্মে এবং সেই বোধের কারণেই জন্মের চির অবসান হয়। সুতরাং প্রজ্ঞাধন আয়ত্ব করা মুক্তিকামী মানুষের অবশ্যই কর্তব্য।

Не удается загрузить Youtube-плеер. Проверьте блокировку Youtube в вашей сети.
Повторяем попытку...
সপ্ত আর্য সম্পদ/ধন। ভদন্ত তিলোকাবংশ মহাথেরো |

Поделиться в:

Доступные форматы для скачивания:

Скачать видео

  • Информация по загрузке:

Скачать аудио

Похожие видео

© 2025 ycliper. Все права защищены.



  • Контакты
  • О нас
  • Политика конфиденциальности



Контакты для правообладателей: [email protected]