নেত্রকোনার বিখ্যাত গয়নাথের বালিশ মিষ্টি।। Test with
Автор: Angkur Vai
Загружено: 2022-01-04
Просмотров: 7351
Описание:
নেত্রকোনার বিখ্যাত 'বালিশ' মিষ্টি খেয়েছেন তো!
‘বালিশ’! নামটা সকলের কাছেই পরিচিত। মানুষ দিনের ক্লান্তি শেষে মাথায় দিয়ে আরামে বিছানায় ঘুমায়। নেত্রকোনা তথা ভাটি বাংলার মানুষ বালিশ মাথায় দিয়ে ঘুমায় বটে। তবে আরেক লোভনীয় সুস্বাদু বালিশ খায়ও! আপনিও খাবেন।
শুনে অনেকে অবাক হতে পারেন। কিন্তু আসলে তাই। একজন তো প্রশ্নই করে ফেললেন, বালিশ খায় মানে? কী করে ? তুলা দিয়ে তৈরি কাপড়ে মোড়ানো তুলতুলে বালিশ খাওয়ার কথা শুনলে যেকোনো মানুষেরই অবাক হওয়ার তো কথাই।
কিন্তু সত্যিই বালিশ খাওয়া যায়! আর যদি সেটা হয় নেত্রকোনার গয়ানাথের দেশবিখ্যাত সুস্বাদু ‘বালিশ’ মিষ্টি। তাহলে তো কথায় নেই।
নেত্রকোনার বিখ্যাত এই খাবারটি নিয়ে মানুষদের মুখে মুখে লোকজ ছড়াও শুনা যায়-
জাম, রসগোল্লা পেয়ে শ্বশুর/
করলো চটে নালিশ/
কথা ছিল আনবে জামাই/
কালীগঞ্জের (নেত্রকোনা) গয়ানাথের ‘বালিশ’।
এ অঞ্চলে বালিশ মিষ্টির ঐতিহ্য নিয়ে প্রচলিত এমন বহু ছড়া যুগ যুগ ধরে চলছে আমজনতার মুখে। এ নাম শুনলে পরিচিতজনদের জিভে পানি এসে যায়। স্বাদ নিতে ইচ্ছা করে। খাবারের দিক দিয়ে এই বালিশ মিষ্টিই নেত্রকোনার জন্য বিখ্যাত।
শত বছরেরও বেশি আগে বালিশ মিষ্টির জনক গয়ানাথ ঘোষ বারহাট্টা রোডে গয়ানাথ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে এটি প্রস্তুত করেন। সে সময়ে শুধু তার দোকানেই এই মিষ্টি বিক্রি হতো।
অন্য মিষ্টির চেয়ে আকারে বড় এবং দেখতে অনেকটা বালিশের মতো হওয়ায় ক্রেতাদের পরামর্শে গয়ানাথ মিষ্টির নাম রাখেন ‘বালিশ’। অল্পদিনেই অতুলনীয় স্বাদের এ মিষ্টির খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
বালিশ মিষ্টির প্রথম রূপকার` হিসেবে দেশজুড়ে পরিচিতি পান গয়ানাথ ঘোষ। ধীরে ধীরে তার নামটিও জড়িয়ে পড়ে মিষ্টির সঙ্গে, হয়ে উঠে গয়ানাথের বালিশ।
দেশ স্বাধীনের আগে ১৯৬৯ সালে গয়ানাথ যখন দেশত্যাগ করেন, তখন তাঁর বংশধরদের গোপন রেসিপি ও বানানোর ফর্মুলা শিখিয়ে গিয়েছিলেন। তখন থেকে গয়ানাথের ভাবশিষ্য ও কর্মচারী নিখিল মোদক ওস্তাদের ফর্মুলায় এটি সেই আদি ও অকৃত্রিমভাবে তার গুণগতমান ঠিক রেখে বানিয়ে চলেছেন।
বর্তমানে গয়ানাথ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের স্বত্ত্বাধিকারী বাবুল মোদক জানালেন, বালিশের সুখ্যাতিতে তারা পরে একই নামে নেত্রকোনায় আরো তিনটি দোকান প্রতিষ্ঠা করেন। আর এখানকার বালিশ এখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার অভিজাত দোকানগুলোতেও সরবরাহ করা হয়।
আলাপকালে বাবুল মোদক জানান, গাভীর খাঁটি দুধ ছাড়া বালিশ তৈরি হলে এর প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায় না। তাদের ৩টি দোকানে ৩২ কর্মচারী রয়েছেন। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তার ভাই দিলীপ মোদক।
তিনি বলেন, এসব দোকানে সাধারণত: ১০ থেকে শুরু ২০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন সাইজের বালিশ মিষ্টি তৈরি হয়। ২০০ টাকা মূল্যের বালিশ আকারে ১৩ থেকে ১৪ ইঞ্চি হয়। ওই মিষ্টির ওজন ৮০০ থেকে ১০০০ গ্রাম হয়ে থাকে। এর চেয়ে বেশি ওজনের বালিশও বানানো হয়। তবে তা অর্ডার দিলে তৈরি করা হয়।
এ অঞ্চলে বিয়ে-শাদি বা জন্মদিনের মতো অনুষ্ঠানে সাধারণত: বালিশ বাদ পড়ে না। এছাড়াও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে বেড়ানো, সামাজিক কিংবা অফিস-আদালতের অনুষ্ঠানেও খাবার তালিকায় এ মিষ্টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। আর পাঠক আপনারাও নিজ জেলার বিখ্যাত খাবার বালিশের রসাস্বাদন করতে ভুলবেন না কিন্তু! আর প্রিয়জনকে যদি একবার উপহার হিসাবে পাঠিয়ে খাওয়াতে পারেন তাহলে ভালবাসার পরিমানটা একটু বেড়েই যাবে! সেই গ্যারান্টি আমি দিচ্ছি। কাকে খাওয়াতে চান মেনশন করুন। শেয়ার করুন নেত্রকোনার বিখ্যাত এই খাবারটির বিস্তারিত বিবরণী ।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: