ময়নাতদন্তঃমহুয়ারকলমেঃ “গ্রেফতারহীন বিচারহীন” ১৯৮২সালের ৩০ এপ্রিল আজও একরাশ লজ্জা বহন করে বঙ্গভূমে
Автор: Durgapur Barta
Загружено: 2024-08-23
Просмотров: 13
Описание:
মহুয়া ঘোষাল দুর্গাপুর
“বিচার চাই”,দোষীদের শাস্তি চাই ,মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই , পুলিশ তুমি মনে রেখো তোমারও মেয়ে আছে” স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল বঙ্গভুমী । লোকসভা থেকে বিধান সভায় শুন্য হয়ে যাওয়া সিপিএম মুখোশের আড়ালে কোথাও আবার মুখোশটাকে সরিয়ে রেখে গেরুয়া শিবিরের সাথে পাঞ্জা কষছে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার যুদ্ধে ।
কিন্তু আজ বঙ্গভুমী সম্ভবত ভুলেই গিয়েছে বঙ্গভুমীর একরাশ লজ্জা যা ঘটেছিল ১৯৮২ সালের ৩০এপ্রিল ।“গ্রেফতারহীন বিচারহীন” ১৯৮২সালের ৩০ এপ্রিল আজও একরাশ লজ্জা বহন করে বঙ্গভূমে।
কেন এই লজ্জা ?
সেদিন সকালে বিজন সেতুতে ১৬জন আনন্দমার্গী সাধু এবং একজন সাধ্বী কে প্রথমে পিটিয়ে পরে আগুন লাগিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।হত্যাকান্ড সিপিএম জমানায় ,। সিপিএমের লালদুর্গে প্রকাশ্য দিনের আলোয় ঘটেছিল।সকাল বেলায় ঘটেছিল ।
মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবসু ,পুলিশ মন্ত্রীও তিনি , লাল রাজত্বে গ্যাসোলিনের আগুনে পুড়ে মরতে হয়েছিল নির্দোষ ১৬ জন আনন্দমার্গী সাধু আর একজন সাধ্বীকে ।একজন মহিলাকে লোহার রড , লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গ্যাসোলিনের আগুনে পুড়িয়ে মারা হয় ,প্রকাশ্যে দিনের আলোয়,সকাল বেলাতেই ,প্রকাশ্যে । সিপিএম “পুলিশ” বলেছিল হত্যাকান্ড হয়েছিল ছেলেধরা সন্দেহে ।
জ্যোতি বসু ,সিপিএমের আইকন মুখ্যমন্ত্রী র আমলে ১৭ জনকে পিটিয়ে আগুন দিয়ে হত্যা করা হয় দিনের আলোয় প্রকাশ্যে , বহু লোকের সামনে ।কিন্তু আইকন মুখ্যমন্ত্রীর আমলে এই নৃশংস হত্যাকান্ডের দায়ে একজনকেও গ্রেফতার করা হয় নি ,একজনকেও সাজা দেওয়া হয় নি। আনন্দমার্গীরা আজও অভিযোগ তোলে এই হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা একাধিক সিপিএম নেতার যাদের মধ্যে অনেকেই পাওয়ার হাংরি সিপিএম জেনারেশনের কাছে আইকন নেতা । যদিও সিপিএম অস্বীকার করে আনন্দমার্গীদের সেই অভিযোগ ।
আজ যারা বিচার চাই , মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই বলে চিৎকার করছেন তারা সেসময় একবারও বলেন নি বিচার চাই ,বরঞ্চ উল্টোপুরাণ গেয়েছিলেন । একসময় সারা ভারত জুড়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু দেব কমিশন গঠন করেছিলেন বিজন সেতু হত্যাকান্ডের দোষী খুঁজে বের করতে ।
সিপিএম জমানায় দেব কমিশন সেই পিটিয়ে আর পুড়িয়ে মারার ঘটনায় কাউকেই শাস্তির দরজায় পৌঁছাতে পারে নি ।৪২বছর পার ।আজও সিপিএম জমানায় ,আইকন মুখ্যমন্ত্রী [?] জ্যোতি বসুর জমানায় ১৭জনের খুন হওয়ার পরেও একজনও গ্রেফতার হয় নি, শাস্তি তো দুরের কথা যদিও এই নারকীয় হত্যাকান্ড সেদিন ঘটেছিল দিনের আলোয় সকাল বেলায় ।
এরপরে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে । আনন্দমার্গীদের বারবার আবেদনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি অমিতাভ লালাকে দায়িত্ব দিয়ে লালা কমিশন গঠন করেন।লালা কমিশন গঠন হয় ২০১২সালে ।
৪২ বছর । সময়টা নিশ্চিত ভাবেই অনেক বেশী ।ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে সিপিএম ক্ষমতায় ছিল আরও ২৯বছর ।হত্যা হত্যাই তা যাকেই হত্যা করা হোক না কেন ?প্রকাশ্যে দিনের আলোয় ১৭জন ,[এক মহিলা সহ] কে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হল অথচ আইকন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী জ্যোতি বসুর সরকারের পুলিশ একজনকেও গ্রেফতার করতে পারে নি, ভেবেই অবাক লাগতেই পারে এ প্রজন্মের । অপরাধ জগতের ক্রাইম ফাইলে ভয়ঙ্কর অপরাধ যাকে বলা হয় গণহত্যা সেই গণহত্যার কান্ডে একজনকেও গ্রেফতার করার সাহস হয় নি যাদের তাদের কি অধিকার আছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চাওয়ার ?প্রশ্নটা কিন্তু ঘুরছে ।তবে নিজের বুথে ৪৬ ভোট পাওয়া আইকন ইয়াং পাওয়ার হাংরি জেনারেশনের ক্যাপ্টেন দের উচিত ভালো আয়নায় নিজেদের মুখ ভালো করে দেখা , কেননা তাদের আমলে ঘটে যাওয়া নির্মম নৃশংশ হত্যাকান্ডের কোন গ্রেফতার হয় নি ,বলা ভুল , গ্রেফতার করা হয় নি , আজও বিচারের বাণী চাপা কান্না বুকে নিয়ে ঘুরে বেড়ায় বিজন সেতুর বাতাসে ।
[সংবাদপত্র ও পত্রিকায় প্রকাশিত খবর এবং প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতেই প্রকাশ করা হল এই প্রতিবেদনটি] সংশ্লিষ্ট বিষয়ের তথ্য, অপরাধী-আইনজীবী, বাদী-বিবাদী পক্ষ, পুলিশ-গোয়েন্দা, মামলার খুঁটিনাটি ইত্যাদির দায় কোনও অবস্থাতেই এই প্রতিবেদক কিংবা দুর্গাপুর বার্তার নয়]
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: