মনপুরা ক্যাম্পিং । মনপুরা দ্বীপে কি দেখবেন । Monpura Travel A to Z ।

Описание: বৃহ:প্রতিবার ঢাকা শহরে সবসময় যানজটের ভয় থাকে তাই একটু আগেভাবে বাসা থেকে বের হলেও সদরঘাট পৌছাতে প্রায় ৫ টা বেজে যায়।

আজকে আমাদের লঞ্চ ছাড়বে ৬ টার তাশরিফ ২ আর প্রতিদিন ৫.৩০ এ ফারহান ও ৬ টা বাজে তাশ্রিফ ২ হাতিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। হাতিয়ার যাওয়ার আগেই মনপুরার রামনেওয়াজ ঘাটে যাত্রীদের নামিয়ে হাতিয়া চলে যায় লঞ্চ ২ টি।

যেহেতু আমরা বরাবরি বাজেট ট্রিপ করি তাই লঞ্চের ডেকে করেই যাবো আর লঞ্চের ডেকে যাতায়াত করতে চাইলে আগে ভাগেই চাদর বা কোন কিছু দিয়ে জায়গা নিতে হবে।
ডেকের ভাড়া-৩০০ টাকা

আমাদের টিমের একজন আগে থেকেই লঞ্চের ২য় তলার জায়গা রেখেছিল তাই আর জায়য়া পেতে তেমন বেগ পেতে হয় নি।

রাতের খাবার পার্সেল করে নিয়ে আসতে পারলে ভাল না হয় লঞ্চে ব্যবস্থা আছে তবে কিছুটা দাম বেশি নিবে।

লঞ্চ গুলা সদরঘাট থেকে ছেড়ে গিয়ে মুন্সিগঞ্জ-কালিগঞ্জ-ইলিশা ঘাট-দৌলত খা--বাংলাবাজার-হাকিমুদ্দিন-মির্জাকালু-শরাশগঞ্জ-তজুমুদ্দিন হয়ে মনপুরার রামনেওয়াজ ঘাটে নামিয়ে নিবে।

ঢাকা থেকে হাতিয়ার তমুরদ্দিন ঘাটে পৌছাতে প্রায় ২৩৩ কি.মি নদী পথ পাড়ি দেয় লঞ্চটি।

হাজিরহাট বাজার থেকে আধাবেলা সাইট সিয়িং করার জন্য বাইক ভাড়া করি। প্রতি বাইকে ২ জন টুরিস্ট বসতে পারে আর আমাদের কাছ থেকে ভাড়া নিবে ৫০০ টাকা যদিও কিছুটা এক্সপেন্সিভ রাইড এটা।

বাইকে করে প্রথমেই হরিনের অভিয়ারন্য তারপর মনপুরার মিনি কক্স বাজার হয়ে। চোধুরি খালের উপর ব্রিজ ও গ্রিন রোড ঘুরিয়ে হাজিরহাট বাজারে নামিয়ে দিবে।

বাইকে করে ১ দিনেই সুন্দর ভাবে ঘুরেফিরে #মনপুরা_দ্বীপ দেখা সম্ভব। অসাধারণ সুন্দরের দ্বীপ মনপুরার প্রকৃতি ও মানুষ আমাকে বার বার টেনে নিয়ে যেতে চায় সেখানে ।

#হরিনের_অভিয়ারন্য ঠিক আগের মতই আছে কিন্তু হরিন নেই। সময়ের পরিবর্তনে হরিনের পরিমান একদম কমে গেছে, আজকে সকালেই নাকি একটা বাচ্ছা হরিন দেখেছিল আমাদের বাইকের ড্রাইভার মামা।মানুষের পদচারনায় হরিন রা লুকিয়ে থাকে ছোট বনের ভিতর তাই আমরা দেখতে পারিনি।


দখিনা হাওয়া সী বীচ / #মিনি_কক্সবাজার
পর্যটকদের আকর্ষিত করার জন্য এই বীচে কিছু ছাতার ব্যবস্থা করেন লোকাল রা। হাওয়া খাওরার জন্য বা কিছিটা বিশ্রাম নিতে পারবেব এইখানে। ফিউচারে সময় পেলে আবারো মনপুরা ক্যাম্পিং এ আসবো সেবার এই দখিণা হাওয়া সিবিচে ক্যাম্পিং করবো ইনশাআল্লাহ।

সকাল সন্ধার ২ বেলাতেই হাজিরহাট বাজারে ইলিসের নিলাম চলে আড়ত দাররা দামাদামি করে হাজার হাজার টাকার ইলিশ সংগ্রহ করে বিভিন্ন শহরে নিয়ে গিয়ে খুচরা দামে বিক্রি করে থাকে।

সন্ধার পর পর আমাদের ইচ্ছে হয় ইলিশের BBQ করবো, যেই কথা সেই কাজ সন্ধায় বাজারে গিয়ে মাত্র ৬-৭টা ইলিশ পাই। ভ্রমন পিপাসুদের দেখে কম দামেই আমাদের জন্য ইলিশ ব্রিকি করে তারা

মনপুরার হাসের মাংস ও ইলিসের BBQ এর স্বাদ কখনো ভুলবো না।

ডিনার শেষে আপনি চাইলে মনপুরার স্পেশাল মহিষের দুধের দই খেতে পারেন আর ২০ রকমের মসলা পান টা ও ট্রাই করে দেখতে পারেন।

সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে তাবু গুছিয়ে হোটেল চেক আউট করে ১২ টার দিকে চলে যাই রামনেওয়াজ ঘাটে। বাইকে করে ১০০ টাকায় চলে আসি ঘাটে।

আসার সময় লঞ্চের জার্নিটা একটু বড়ই হবে আমাদের কারন দুপুর ১ টা বাজে ছেড়ে সদরঘাট পৌছাতে সকাল প্রায় ৫ টা সবমিলিয়ে প্রায় ১৪ -১৫ ঘন্টা জার্নি।

লঞ্চের জার্নি মোটেও কষ্ট লাগে না আর সবই পরিচিত মানুষের সাথে গান ও আড্ডা দিয়ে জার্নিটা সম্পন্ন

#Camping #monpura_Camping #Camping_bangladesh #Camping_with_Backpacker #Backpacker_shahadat #মনপুরা #মনপুরায়_কি_দেখবও

   • Видео  
   • Girl on a Date — Broke in Summer | Free Ba...