হার্ট অ্যাটাক হলে করনীয়, হার্ট অ্যাটাকের ওষুধ ও সিপিআর পদ্ধতি। Heart attack symptoms and treatment.
Автор: Medical Tips with Dr. SUMAN
Загружено: 2020-08-04
Просмотров: 2648853
Описание:
একটু খেয়াল করলে দেখবেন, প্রায়ই যত আকস্মিক মৃত্যু সংবাদ শোনা যায় তার মাঝে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। প্রতি বছর বিভিন্ন কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে আক্রান্ত হয়ে (যেসকল রোগের কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়) অনেক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সারা পৃথিবীতে মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে হৃদরোগ প্রথম স্থান দখল করে আছে। এই মৃত্যুর হার কেবলমাত্র হৃদরোগীদের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়। বিভিন্ন বয়সের মানুষ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যাচ্ছেন। সাধারণত যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থুলতার মতো সমস্যা রয়েছে তাদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু তাই বলে এর নির্দিষ্ট কোনো বয়সসীমা নেই।
সকল রোগেরই কমবেশি প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। হার্ট অ্যাটাকও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে রোগীকে হাসপাতালে নেয়ার আগ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ অবশ্যই নিতে হবে। এগুলোর হেরফের হলে রোগীর অকালমৃত্যুও হতে পারে। এই অকালমৃত্যু রোধ করতে আমাদের সবার হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণসমূহ
হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পূর্বে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। রোগীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত। এ বিষয়ে ধারণা থাকলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে।
১. হার্ট অ্যাটাকের প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হলো বুকে ব্যথা। বুকের মাঝখানে ও বাম পাশে ব্যথা অনুভূত হয় এবং ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বাড়তে থাকে। রোগীর মনে হতে পারে তার বুকের উপর কোনো কিছু চাপ দিয়ে রাখা হয়েছে। আবার এমনও মনে হতে পারে যে, বুকের মাঝে কিছু একটা আটকে আছে। এই ব্যথা একটানা বা কিছুক্ষণ পরপর থেমে থেমে অনুভূত হয়।
২. শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হয়। বুকে ব্যথার পাশাপাশি নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। বুকের ব্যথা ছাড়াও এককভাবে এমনটি হতে পারে।
৩. দেহের উপরের অংশে (নাভীর উপর থেকে) চোয়াল, হাত এবং ঘাড়ে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।
৪. মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব এবং বদহজম দেখা দিতে পারে।
৫. শীতের মধ্যেও অনবরত ঘামতে থাকা, চোখে ঝাপসা দেখা, দেহের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা ইত্যাদি নিয়মিত লক্ষণের মাঝে পড়ে।
রোগীর মাঝে এসব লক্ষণ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে এবং ভর্তি পূর্ববর্তী কিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
হাসপাতালে নেওয়ার আগে যা যা করতে হবে
একজন রোগীর হার্ট অ্যাটাক হলে খুব দ্রুত কিছু ব্যবস্থা নিলে ঘটনার ভয়াবহতা কমিয়ে আনা সম্ভব। এ ব্যাপারগুলো সম্পর্কে সকলের ধারণা থাকা আবশ্যক।
১. প্রথমেই ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে
২. যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিতে হবে
৩. রোগীর শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে কিনা খেয়াল করতে হবে
৪. রোগী কোথাও ভ্রমণে গেলে সাথে প্রয়োজনীয় তথ্য সম্বলিত চিরকুট রাখতে হবে
৫. হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গেলে সিপিআর পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে
৬. বিপদের মধ্যে কী কী করতে হবে তার একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে রাখা উচিত
যে বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে হবে
ঘটনার আকস্মিকতায় আমরা প্রায়ই নানারকম ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারি। এগুলোর সুদূরপ্রসারী ফলাফল রোগীর জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই কিছু ব্যাপারে আমরা যেন কোনো ভুল করে না বসি সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন -
১. রোগীর অস্বাভাবিকতায় বেশি উত্তেজিত হওয়া ঠিক নয়
২. ওষুধপত্র উঁচু জায়গা এবং ড্রয়ারে রাখা উচিত নয়
৩. রোগীকে একাকী গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালে যেতে দেয়া যাবে না
৪. নির্ধারিত ওষুধের বাইরের ওষুধ সেবনের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে
৫. দুর্বল হৃৎপিণ্ডের মানুষদের কঠিন শারীরিক শ্রম পরিহার করা উচিত
৬. মোটেই চুপচাপ ব্যথা সহ্য করা যাবে না
প্রতিকার অপেক্ষা প্রতিরোধ উত্তম
বিভিন্ন কার্ডিওভাসকুলার ডিজিস বা হৃদরোগ যেমন বংশগত ও বার্ধক্যজনিত কারণে দেখা দেয়, তেমনি অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনও এ রোগগুলোর অন্যতম প্রধান কারণ। সুস্থ স্বাভাবিকভাবে চলার জন্য তাই অবশ্যই কিছু খারাপ অভ্যাস বর্জন করা জরুরী। এসব অভ্যাসের মাঝে ধুমপানের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। এজন্য অবশ্যই ধুমপান পরিহার করতে হবে।
যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ডায়াবেটিক রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস তৈরি করতে হবে। অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। নিজেকে সবসময় প্রফুল্ল রাখতে হবে। কোনো প্রকার অযথা দুশ্চিন্তা করা শরীরের জন্য ভালো নয়। আর অবশ্যই ডাক্তারের কাছে রুটিন চেকাপের জন্য যেতে হবে।
প্রথমবারের মতো হার্ট অ্যাটাক হলে রোগী হাসপাতালে সাধারণ চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু এতেই বিপদ পুরোপুরি কেটে যাবে না। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হার্টে কোনো ব্লক আছে কিনা তার চিকিৎসা করাতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো প্রকার অবহেলা করা যাবে না। 'এখন তো সুস্থই আছি' এমন মানসিকতা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে আলসেমি করা মোটেই ঠিক নয়।
#হার্ট এটাক হলে করনীয়
#বুকে ব্যাথা হলে কি করনীয়
#হার্টের ছবি
#হার্ট অ্যাটাক এর চিকিৎসা
#হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক চিকিৎসা
#ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক কি
#হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায়
#হার্ট এটাক রোগীর খাবার
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: