সরিষা ফসলে চাপান সারের প্রয়োগ | Fertilizer Management in mustard crop
Автор: RFInformationServices
Загружено: 2025-02-24
Просмотров: 27
Описание:
@RFInformationServices
সরিষা ফসলে চাপান সারের প্রয়োগ | Fertilizer Management in mustard crop
সরিষা ফসলের সুস্থ বৃদ্ধি, ফলন সর্বাধিকীকরণ এবং ফসলের মান উন্নত করার জন্য সার ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকল ফসলের মতো সরিষারও নির্দিষ্ট পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং কার্যকর সার ব্যবস্থাপনা পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে, সঠিক বৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে এবং রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধের জন্য উদ্ভিদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। সরিষা ফসলে সার ব্যবস্থাপনার জন্য এখানে একটি বিস্তৃত নির্দেশিকা রয়েছে:
১. মাটি পরীক্ষা রোপণের আগে মাটি পরীক্ষা: সার প্রয়োগ ব্যবস্থাপনার প্রথম ধাপ হল মাটি পরীক্ষা। এটি মাটির পুষ্টির অবস্থা নির্ধারণ করতে, ঘাটতি সনাক্ত করতে এবং সেই অনুযায়ী সার সামঞ্জস্য করতে সহায়তা করে। মাটি পরীক্ষা প্রধান পুষ্টির (নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম) পাশাপাশি গৌণ এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের মাত্রা পরিমাপ করে।
pH স্তর: 6.0 থেকে 7.5 pH পরিসীমা সহ সামান্য অম্লীয় থেকে নিরপেক্ষ মাটিতে সরিষা সবচেয়ে ভালো জন্মে। চুন বা সালফার (প্রয়োজনে) দিয়ে মাটির pH সামঞ্জস্য করলে পুষ্টির প্রাপ্যতা উন্নত হতে পারে।
২. সরিষার জন্য ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট সরিষা ফসলের জন্য তিনটি প্রাথমিক ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট প্রয়োজন: নাইট্রোজেন (N), ফসফরাস (P), এবং পটাসিয়াম (K)।
নাইট্রোজেন (N):ভূমিকা: উদ্ভিদ বৃদ্ধি, পাতার বিকাশ এবং ক্লোরোফিল উৎপাদনের জন্য নাইট্রোজেন অপরিহার্য।
প্রয়োগ: সরিষার জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণে নাইট্রোজেন প্রয়োজন, বিশেষ করে প্রাথমিক বৃদ্ধির পর্যায়ে। বিভক্ত মাত্রায় নাইট্রোজেন প্রয়োগ করুন:
বেসাল প্রয়োগ: রোপণের সময় প্রতি হেক্টরে ৩০-৪০ কেজি নাইট্রোজেন।
প্রয়োগ: প্রাথমিক উদ্ভিদ পর্যায়ে বা গাছ ৩০-৪৫ দিন বয়সে আরও ২০-৩০ কেজি নাইট্রোজেন প্রয়োগ করুন।
জৈব উৎস: খামারের সার (FYM) এবং কম্পোস্ট জৈব নাইট্রোজেনের ভালো উৎস। ঘূর্ণায়মানভাবে ব্যবহৃত ডাল জাতীয় ফসল মাটিতে নাইট্রোজেনও স্থির করতে পারে।
ফসফরাস (P):ভূমিকা: শিকড়ের বিকাশ, ফুল ফোটানো এবং বীজ গঠনের জন্য ফসফরাস অত্যাবশ্যক।
প্রয়োগ: রোপণের আগে বেসাল সার হিসেবে ফসফরাস প্রয়োগ করুন। মাটির স্তরের উপর নির্ভর করে একটি প্রস্তাবিত ডোজ প্রায় ২০-৩০ কেজি/হেক্টর।
উৎস: ডায়ামোনিয়াম ফসফেট (DAP) বা একক সুপার ফসফেট (SSP) সাধারণত ফসফরাসের রাসায়নিক উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। জৈব উৎসের মধ্যে রয়েছে হাড়ের খাবার বা রক ফসফেট।
পটাশিয়াম (K):ভূমিকা: সামগ্রিক উদ্ভিদের স্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, সালোকসংশ্লেষণ এবং চাপ সহনশীলতার জন্য পটাশিয়াম গুরুত্বপূর্ণ।
প্রয়োগ: রোপণের সময় ২০-৩০ কেজি/হেক্টর পটাশিয়াম প্রয়োগ করুন। যদি মাটিতে পটাশিয়ামের মাত্রা কম থাকে, তাহলে বৃদ্ধির সময় অতিরিক্ত প্রয়োগের প্রয়োজন হতে পারে।
উৎস: রাসায়নিক পটাশিয়াম সরবরাহের জন্য পটাশিয়াম ক্লোরাইড বা পটাশিয়াম সালফেট ব্যবহার করা যেতে পারে। কাঠের ছাই এবং কম্পোস্ট জৈব পদ্ধতিতে পটাশিয়াম সরবরাহ করতে পারে।
৩. গৌণ পুষ্টি সরিষার জন্যও গৌণ পুষ্টির প্রয়োজন হয়, যা উদ্ভিদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ক্যালসিয়াম (Ca): ভূমিকা: ক্যালসিয়াম কোষ প্রাচীরকে শক্তিশালী করে, শিকড়ের বিকাশে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে।
প্রয়োগ: বেশিরভাগ মাটিতে প্রায়শই ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, তবে প্রয়োজনে ক্যালসিয়াম সরবরাহের জন্য চুন বা জিপসাম প্রয়োগ করুন।
ম্যাগনেসিয়াম (Mg):
ভূমিকা: ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরোফিলের একটি কেন্দ্রীয় উপাদান এবং সালোকসংশ্লেষণের জন্য অপরিহার্য।
প্রয়োগ: ম্যাগনেসিয়াম সরবরাহের জন্য ম্যাগনেসিয়াম সালফেট (এপসম লবণ) প্রয়োগ করা যেতে পারে, বিশেষ করে যদি মাটি পরীক্ষায় ঘাটতি দেখা যায়।
সালফার (S):ভূমিকা: প্রোটিন সংশ্লেষণ এবং এনজাইম কার্যকলাপের জন্য সালফার অপরিহার্য।
প্রয়োগ: সালফার সাধারণত মৌলিক সালফার বা সালফেট-ভিত্তিক সার যেমন অ্যামোনিয়াম সালফেট (১০-২০ কেজি/হেক্টর) আকারে প্রয়োগ করা হয়।
৪. মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যদিও কম পরিমাণে প্রয়োজন হয়, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সরিষার স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। ঘাটতিগুলি দুর্বল বৃদ্ধি এবং ফলন হ্রাস করতে পারে।
আয়রন (Fe), জিঙ্ক (Zn), ম্যাঙ্গানিজ (Mn), তামা (Cu), বোরন (B), এবং মলিবডেনাম (Mo) বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রয়োগ: মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতিগুলি পাতার স্প্রে বা মাটি প্রয়োগের মাধ্যমে সংশোধন করা যেতে পারে। যদি মাটি পরীক্ষায় ঘাটতি দেখা দেয়, তাহলে চিলেটেড মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট দ্রবণের পাতার স্প্রে সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধানের একটি ভাল উপায়।
প্রস্তাবিত ডোজ: ঘাটতি দেখা দিলে ২-৩ কেজি/হেক্টর মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট মিশ্রণ ব্যবহার উপকারী হতে পারে।
৫. সার প্রয়োগ পদ্ধতি বেসাল প্রয়োগ: বেশিরভাগ ফসফরাস এবং পটাসিয়াম সার, জৈব পদার্থের সাথে (যেমন কম্পোস্ট বা FYM) রোপণের সময় বা রোপণের কিছুক্ষণ আগে প্রয়োগ করুন। এটি নিশ্চিত করে যে শুরু থেকেই উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।
টপ ড্রেসিং: নাইট্রোজেন সার বিভিন্ন মাত্রায় টপ ড্রেসিং হিসেবে প্রয়োগ করা উচিত। প্রথম প্রয়োগটি গাছের বয়স ৩০-৪৫ দিন (উদ্ভিদের বৃদ্ধির শুরুতে) হওয়া উচিত এবং দ্বিতীয় প্রয়োগটি ফুল ফোটার ঠিক আগে বা শুঁটি বিকাশের আগে করা যেতে পারে।
পত্রালী খাওয়ানো: যদি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি সনাক্ত করা যায়, তাহলে পাতালীয় স্প্রে ব্যবহার করে সরাসরি উদ্ভিদে পুষ্টি সরবরাহ করা যেতে পারে। ক্রমবর্ধমান মৌসুমে যখন ঘাটতি দেখা যায় তখন এটি বিশেষভাবে সহায়ক।
৬. জৈব সার দীর্ঘমেয়াদে মাটির স্বাস্থ্য এবং উর্বরতা উন্নত করার জন্য জৈব সার একটি দুর্দান্ত উপায়। খামার সার (FYM): জৈব মাদুরের উৎস হিসেবে রোপণের আগে প্রতি হেক্টরে ১০-১৫ টন প্রয়োগ করুন।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: