কুয়েটের অধ্যাপক ড. সেলিমের কি ঘটেছিল। খুলনা
Автор: M R NAYAN
Загружено: 2021-12-04
Просмотров: 1069
Описание:
কুয়েট অধ্যাপককে হত্যার অভিযোগ, পরিবারের খোঁজ নেইনি কর্তৃপক্ষ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রলীগ কর্তৃক শারীরিক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন ও লাঞ্চনার মাধ্যমে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নিহতের স্বজন, বাল্যবন্ধু ও এলাকাবাসী এমন অভিযোগ করেন।
মানববন্ধনের আয়োজন করেন বাঁশগ্রাম ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচ, মাই রাইটস সংগঠন ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। মানববন্ধনে বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আলী হোসেন, ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক আহমেদ, আওয়ামীলীগ নেতা মকবুল হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা রিফাত আহমেদ শাওন, এসএসসি ২০০০ ব্যাচের ছাত্র প্রফেসর ডক্টর সেলিমের সহপাঠি রুপ কুমার রায়সহ শতশত এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন,' ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে সুষ্ঠ তদন্ত করা হোক এবং দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে প্রচলিত আইনে বিচার করা হোক।'
এছাড়াও মানববন্ধনে নিহত ড. মো. সেলিম হোসেনের বাবা শুকুর আলী অভিযোগ করে বলেন, আমি অসহায় ও গরীব মানুষ। অনেক কষ্ট করে সহায় সম্বল বিক্রি করে ছেলে মানুষ করেছিলাম। আমার সব শেষ। আমি এখন নিঃস্ব। এতবড় ঘটনা ঘটে গেল, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোন খোঁজ খবর নেননি। তিনি আরো বলেন, আমি মামলা দায়ের করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র কাছে ছেলে হত্যার বিচার চাই।'
মানববন্ধনে ড. মো. সেলিম হোসেনের দুলাভাই ও আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল হোসেন বলেন, ' সেলিমের মৃত্যু কোন স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর স্ত্রীকেও মুখ না খোলার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। ' তিনি আরো বলেন, ' লাশ দাফনের দিন কুয়েটের এক শিক্ষক ও কিছু শিক্ষার্থী এসেছিল। তাঁরা তাড়াহুড়া করে লাশ দাফন করেছে। প্রকৃত ঘটনা জানতে চাইলে তাঁরা বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং ঘটনাটি গোপনে বিশেষভাবে দেখা হবে জানায়।'
বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সহাকরী অধ্যাপক আলী হোসেন বলেন, ' সেলিম অত্যন্ত মেধাবী ও বিনয়ী ছিলেন। সেলিম দেশের সম্পদ ছিল। তাঁকে প্ররোচনার মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। আশা করছি দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঘটনার সুষ্ঠ বিচার করবেন। ' তিনি আরো বলেন, ' আমরা আশা করছি। সেলিম হত্যার সুষ্ঠ পাবে পরিবার। '
সেলিমের বন্ধু বাঁশগ্রাম বহুমুখী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক রুপকুমার বলেন, ' সেলিম ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলো। তার এই অকাল মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না। তাকে মানুষিকভাবে নির্যাতন করে যারা মেরে ফেলেছে তাদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।'
এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের সহধর্মীনি রিক্তা (সুমাইয়া) কে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হয়। কিন্তু ফোনটি ওয়েটিং থাকলেও তিনি কলটি গ্রহণ করেননি।
জানা গেছে, কুমারখালীর বাঁশগ্রামের শুকুর আলীর ছেলে কুয়েটের অধ্যাপক সেলিম হোসেন। তিনি অত্যন্ত মেধাবী ও বিনয়ী ছিলেন। ২০১০ সালে কুয়েটে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বেও ছিলেন। গত মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে ক্যাম্পাসে তিনি মারা যান। গত বুধবার সকালে গ্রামের বাড়ি বাঁশগ্রামে তাঁকে দাফন করা হয়।
ক্যাপশনঃ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনকে হত্যার অভিযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ক্যাপশনঃ ছেলে ফিরবেনা জেনেও ফেরার অপেক্ষায় বাবা শুকুর আলী। ছবি নিজবাড়ি কুমারখালীর বাঁশগ্রাম এলাকা থেকে সকালে তোলা।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: