সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় বিশেষ মুহূর্ত।
Автор: Boalkhali Plus TV
Загружено: 2022-11-01
Просмотров: 6
Описание:
আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় দর্শক শ্রোতা আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আজকে আপনাদের দেখাব বিশ্বের সর্ববৃহৎ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। যেটা আমাদের দেশে অবস্থিত। অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত, এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১২০ কিমি। এর গভীরতা ৫০০০ মি পর্যন্ত হতে পারে।
যার মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে আমরা আমাদের পরিচয় তুলে ধরতে পারি সেটা হচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। তবে আমাদের কাছে দুঃখের বিষয় হল এই সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে অনেকেই অনেক কিছুই জানিনা।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের শাণিত রূপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। ১২০ কিলোমিটারের সমুদু সৈকত ঘিরে প্রচীন ঐতিহ্য এবং দর্শনীয় স্থানের কারণে প্রতি বছর কক্সবাজারে ছুটে আসেন বিপুল সংখ্যক পর্যটক। আর শুধু সমুদ্র সৈকত নয় পাশাপাশি রয়েছে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান। দিগন্তজোড়া বিস্তীর্ণ বালুকাবেলা, মেঘ কালো সারি সারি ঝাউবন, সৈকতের বুকে আছয়ে পড়া ছোট বড় একেকটি ঢেউ, নৌকা ও ট্রলার নিয়ে জেলেদের কর্মচাঞ্চল্য, ভোরের আকাশে পূব পাহাড়ের পেছন থেকে কাঁসার থালার মতো বেরিয়ে আসা সূর্য, আবার সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের মায়াবী রূপ এই সমস্ত সৌন্দর্যের আয়োজন নিয়েই দেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে রচিত হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। দেশের ভিতরে কোথাও ভ্রমণের পরিকল্পনা করলে দেখা যায় প্রথমে অবশ্যই কক্সবাজারের নাম এসে যায়। কেবল মাত্র দেশীয় পর্যটকই নয়, বিদেশ থেকেও প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এই সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসে। দেখা যায় যথাযথ তথ্যের স্বল্পতা এবং সুন্দর একটি ভ্রমণ পরিকল্পনার অভাবে আমাদের অনেকেরই কক্সবাজার ভ্রমণ শতভাগ সার্থক হয়ে ওঠে না। কক্সবাজার শহর থেকে বদরমোকাম নামক জায়গা পর্যন্ত একটানা একশ বিশ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের মূল স্থান কক্সবাজার যেতে হলে চট্টগ্রাম শহর থেকে দক্ষিণে কক্সবাজারের দূরত্ব ১৫২ কিমি এবং ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ৪১৪ কিমি।
সাগর-পাহাড়ের অপূর্ব মিতালী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, নানা ধর্মের-বর্ণের মানুষের অসাম্প্রদায়িক সহাবস্থান, পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্যের সমাহারসহ প্রকৃতির ভিন্নতর বৈশিষ্ট্যের কারণে কক্সবাজার একেবারেই অনন্য। বলা হয়, স্বাস্থ্যকর স্থান এবং নৈসর্গিকসৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত কক্সবাজার। মেরিন ড্রাইভ ধরে ভ্রমণ যেন হার মানিয়ে দেয় যেকোন ভিডিও গেমকে। কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সাগর ও পাহাড়ের বুক চিরে চলে গেছে দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার সড়কটি। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের পাশ দিয়ে তৈরি বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ। এরই পাশে গড়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী ক্যাম্প; কুতুপালং। আর এই রোহিংগা সংকটকে বলা হচ্ছে এই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট। এরকম নানা কারণে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি নিবন্ধ হয়েছে কক্সবাজারে।
এখানে রয়েছে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনসহ প্রধান ৭টি দ্বীপ। আর সাগর-পাহাড় কেন্দ্রীক নানা আয়োজন। বিশেষ করে সার্ফিং, প্যারাসাইলিং, স্কুভা ডাইভিং এর মতো অ্যাডভ্যাঞ্জার একেবারেই ভিন্নতর। তবে এরকম আয়োজনগুলো এখনও খুবই সীমিত পরিসরে কক্সবাজারে। এজন্য হতাশাও আছে পর্যটকদের মাঝে।
নবম শতাব্দীর শুরুর দিকে ১৬১৬ সালে, মুঘল সমম্রাজ্যের আগপর্যন্ত কক্সবাজারসহ চট্টগ্রামের একটি বড় অংশ আরাকান রাজ্যের অংশ ছিল। মুঘল সম্রাট শাহ সুজা পাহাড়ি পথ ধরে আরাকানে যাওয়ার পথে কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সেখানে একটি ক্যাম্প স্থাপনের নির্দেশ দেন। তার কাফেলার প্রায় এক হাজার পালঙ্কী কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা নামক স্থানে অবস্থান নেয়। ডুলাহাজারা মানে হাজার পালঙ্কী। মুঘল, ত্রিপুরা এবং আরকানদের পর পর্তুগিজ ও ব্রিটিশরা এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অফিসার ক্যাপ্টেন হিরাম কক্সের নাম থেকে কক্সবাজার নামটি এসেছে। কক্সবাজারের পুরাতন নাম ছিল পালংকি। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অধ্যাদেশ, ১৭৭৩ জারি হওয়ার পর, ওয়ারেন্ট হোস্টিং বাংলার গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন। হিরাম কক্স তখন পালংকির মহাপরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন। ক্যাপ্টেন কক্স আরাকানি উদ্বাস্তু এবং স্থানীয় রাখাইনের মধ্যে হাজার বছরের পুরনো দ্বন্দ্ব সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন এবং উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছিলেন, কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই (১৭৯৯) মারা যান। তার পুনর্বাসনে অবদানের স্মরণে একটি বাজার স্থাপন করা হয় এবং এর নামকরণ করা হয় মিঃ কক্স সাহেবের বাজার। সেই কক্স সাহেবের বাজার থেকে আজকের কক্সবাজার।
#কক্সবাজার #কক্সবাজারে #কক্সবাজার_সমুদ্র_সৈকত #কক্সবাজারের #coxsbazar #cox #coxs_bazar_cultures #coxbazartour #coxbazar #coxbazarhotel #Cox bazar beach
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: