ফেতনার যুগে আমরা কি করবো

Описание: ফিতনার যুগ বা “ফিতনার সময়” বলতে এমন সময়কে বোঝায় যখন হক ও বাতিলের পার্থক্য অস্পষ্ট হয়ে পড়ে, মুসলমানরা বিভ্রান্ত হয় এবং দ্বীনের উপর অটল থাকা কঠিন হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের এই যুগ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন এবং কী করণীয় সে বিষয়ে কিছু নির্দেশনাও দিয়েছেন।

ফিতনার যুগে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর নির্দেশনা:

১. দীনকে আঁকড়ে ধরা

রাসূল ﷺ বলেন:
"তোমাদের মধ্যে যে কেউ আমার পরে (ফিতনার যুগে) জীবিত থাকবে, সে অনেক মতবিরোধ দেখতে পাবে। তোমরা আমার সুন্নাহ এবং খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাহ আঁকড়ে ধরো। তা দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরো..."
— (তিরমিজি, হাদীস: ২৬৭৬)

২. ফিতনা থেকে দূরে থাকা ও ঘরে অবস্থান করা

রাসূল ﷺ বলেন:
"ফিতনার সময়, বসে থাকা দাঁড়িয়ে থাকার চেয়ে উত্তম, দাঁড়িয়ে থাকা চলাফেরার চেয়ে উত্তম। যে ফিতনার দিকে ঝুঁকে পড়বে, তা তাকে গ্রাস করবে।"
— (সহীহ বুখারী, হাদীস: ৩৬০১)

অন্য হাদীসে এসেছে: "যখন ফিতনার কাল আসবে, তখন ঘরে থাকো, মুখ বন্ধ রাখো, যা তোমার নয় তাতে নাক গলিও না।"
— (আবু দাউদ)

৩. ইবাদতকে আঁকড়ে ধরা

রাসূল ﷺ বলেন:
“ফিতনার সময়ে ইবাদত করা এমন, যেন আমার দিকে হিজরত করা।”
— (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ২৯৮৪)

৪. জ্ঞানার্জন ও ধৈর্য অবলম্বন

ফিতনার সময় জ্ঞানীরা নীরব থাকেন এবং ধৈর্য অবলম্বন করেন। এমন সময়ে দ্বীনী জ্ঞান অর্জন, ভুল মতাদর্শ থেকে দূরে থাকা এবং আল্লাহর উপর ভরসা রাখা জরুরি।

৫. জামাআতের সঙ্গে থাকা ও নেতৃত্ব মান্য করা

রাসূল ﷺ বলেন:
“তুমি মুসলিম জামাআতের সঙ্গে থাকবে এবং তাদের আমীরকে অনুসরণ করবে। যদি তুমি তাদের না পাও, তাহলে গাছের শাখা আঁকড়ে একাকী থাকো, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।”
— (বুখারী: ৩৬০৬)

সংক্ষেপে করণীয়:

সুন্নাহ ও কুরআনের অনুসরণ করা

অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক ও বিশৃঙ্খলা থেকে দূরে থাকা

বেশি বেশি ইবাদত করা

সৎ সমাজ ও দ্বীনদার আলেমদের সাহচর্যে থাকা

গিবত, অপবাদ, ফিতনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকা

ধৈর্য, দুআ ও আত্মসমালোচনা করা
#mgfn #islamicpost #beautiful #quran