তরাইনের ১ম যুদ্ধ- মুহাম্মদ ঘুরি ও পৃথ্বীরাজ চৌহান | ভারতে মুসলিম শাসনের ইতিহাস | পর্ব-৩ |
Автор: Paradox Box
Загружено: 2025-10-02
Просмотров: 287
Описание:
#history #bangladocumentary #islamichistory #indiahistory
ভারতে মুসলিম শাসনের ইতিহাস-৩য় পর্ব | তরাইনের ১ম যুদ্ধ- মুহাম্মদ ঘুরি ও পৃথ্বীরাজ চৌহান | Paradox Box
ভারতে মুসলিম শাসনের ইতিহাসের আজকের পর্বে আপনাদেরে স্বাগতম। গত পর্বে আমরা গজনির সুলতান মাহমুদ সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম। আজ আমরা জানবো ঘুরি সাম্রাজ্য সম্পর্কে যার হাত ধরে উপমহাদেশে মুসলিম শাসন স্থায়ী হয়। ঘুরি সাম্রাজ্যের উৎপত্তি হয় আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল থেকে। “ঘুর” শব্দটির অর্থ হলো পাহাড়ি বা দুর্গম ভূমি, আর এখানকার মানুষরা দীর্ঘকাল ধরে স্বতন্ত্র পরিচয়ে বেঁচে ছিল। প্রাথমিকভাবে ঘুরিদের সমাজ উপজাতীয় চরিত্রের ছিল এবং তারা স্থানীয় রাজা বা গোত্রপ্রধানদের অধীনে সংগঠিত হতো। সপ্তম শতক থেকে এই অঞ্চলে ইসলামের প্রভাব প্রবেশ করতে শুরু করে, তবে ঘুরিরা প্রথমদিকে মুসলিম আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। পরবর্তীকালে, বিশেষত ৯ম–১০ম শতকে, তারা ধীরে ধীরে ইসলাম গ্রহণ করে এবং ইসলামী সাম্রাজ্যের সঙ্গে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে যুক্ত হয়।
গজনভিদের শাসনামলে ঘুরিরা তাদের অধীনস্থ রাজ্য ছিল। কিন্তু গজনভিদের দুর্বলতা ও অভ্যন্তরীণ সংঘাতের সুযোগ নিয়ে ঘুরিরা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ১২শ শতকের মধ্যভাগে ঘুরি শাসক আলা উদ্দিন হুসাইন গজনভিদের রাজধানী গজনি দখল করে নিয়ে শহরটিকে পুড়িয়ে দেন। এই ঘটনার পর থেকেই ঘুরিদের ক্ষমতা সুস্পষ্টভাবে বৃদ্ধি পায় এবং তারা একটি স্বাধীন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়।
ঘুরিদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ছিলেন ঘিয়াস উদ্দিন ঘুরি ও তাঁর ভাই মুহাম্মদ ঘুরি যার আরেক নাম ছিল মুহাম্মদ বিন সাম। ঘিয়াস উদ্দিন সাম্রাজ্যের পশ্চিম অংশ খোরাসান, হেরাত শাসন করতেন, আর মুহাম্মদ ঘুরি পূর্ব দিকের দায়িত্ব পান। মুহাম্মদ ঘুরি-ই ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শক্তির ভিত্তি স্থাপন করেন। ঘুরিদের উত্থান শুধু সামরিক শক্তির ওপর নির্ভরশীল ছিল না; তাদের কৌশল ছিল ইসলামি জগতের মধ্যে নিজেদের শক্তিশালী করে তোলা এবং একই সঙ্গে ভারতীয় ভূখণ্ডে স্থায়ী আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা। গজনভিদের মতো কেবল লুণ্ঠন নয়, বরং ঘুরিদের লক্ষ্য ছিল প্রশাসনিক শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলা। এর ফলেই মুহাম্মদ ঘুরির বিজয় উত্তর ভারতে দিল্লি সালতানাত প্রতিষ্ঠার পথ খুলে দেয়।
প্রথমে তিনি লাহোর দখল করেন, যা গজনভিদের পূর্বতন রাজধানী ছিল। এরপর তিনি ধীরে ধীরে উত্তর ভারতের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন।এসময় তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন রাজপুত রাজারা, বিশেষত দিল্লি ও অজমীর শাসক পৃথ্বীরাজ চৌহান। রাজপুত শক্তি তখন উত্তর ভারতের রাজনৈতিক ভারসাম্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। পৃথ্বীরাজ ছিলেন চৌহান রাজবংশের একজন শক্তিশালী শাসক, যিনি শুধু সামরিক দিক থেকেই নয়, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও খ্যাতিমান ছিলেন। তাঁর দরবারে কবি চন্দ বার্দাই-এর মতো সাহিত্যিক ছিলেন, যিনি পৃথ্বীরাজ রাসো নামে বিখ্যাত কাব্য রচনা করেছিলেন।
১১৯১ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মদ ঘুরি ও পৃথ্বীরাজের সেনা মুখোমুখি হয় তরাইনে যা বর্তমান হরিয়ানা অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
যুদ্ধে রাজপুতদের সংখ্যা প্রায় ১,০০,০০০ থেকে ১,৫০,০০০ পর্যন্ত হতে পারে বলে অনুমান করা হয়। রাজপুতরা যুদ্ধহাতি ব্যবহার করত, যা তৎকালীন সময়ে ভয়ঙ্কর শক্তি হিসেবে বিবেচিত হতো। এছাড়া রাজপুত অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনীও ছিল। তাদের আক্রমণ ছিল ঝটিকা আক্রমণ নির্ভর। তারা খোলা মাঠে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাপিয়ে পড়তো। অপরদিকে মুহাম্মদ ঘুরির বাহিনী ছিল প্রায় ৫০,০০০ সৈন্য নিয়ে আসেন। তাঁর বাহিনী সংখ্যায় কম হলেও ছিল শৃঙ্খলাবদ্ধ, দ্রুতগামী অশ্বারোহী এবং দক্ষ তীরন্দাজে পরিপূর্ণ। তাঁরা মধ্যে এশিয়ার ’স্তেপ’ অঞ্চল থেকে আসা তুর্কি অশ্বারোহীদের যুদ্ধ কৌশল ব্যবহার করত। তরাইনের প্রান্তরে দুই পক্ষের সেনারা মুখোমুখি হয়।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: