আলিম ফরায়েজ শিক্ষা - মুসলিম উত্তরাধিকার বন্টন আইন (পর্বঃ ১), ভূমিকা
Автор: Fast Arabic
Загружено: 2020-04-25
Просмотров: 1406
Описание:
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ।
অনেকদিন ধরেই চিন্তা করছিলাম ফরায়েযের বিষয়ে একটি টিউটোরিয়াল সিরিজ তৈরী করব। সমস্ত প্রসংশা মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের প্রতি যিনি আমাকে আমার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার সুযোগ করে দিয়েছেন
ফরায়েয, এটি এমন একটি বিষয়, এমন একটি জ্ঞান যার প্রতি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) অনেক বেশি গুরুত্বারোপ করেছেন অথচ আজ তা আমাদের মুসলমানদেরই দ্বারা উপেক্ষিত এবং অবহেলিত। বড়ই আফসোসের বিষয় এটি একটি সাব্জেক্ট হিসেবে কওমি মাদ্রাসা এবং আলিয়া মাদ্রাসার সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত হলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের কাছে এর কোনই গুরুত্ব নেই। এই বিষয়টি শুধু মাদ্রাসায় কেন, বরং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই আবশ্যক সাবজেক্ট হিসেবে সিলেবাসভুক্ত হওয়া উচিত ছিল৷ কারণ এতেই রয়েছে কন্যাণ।
ইলমুল ফরায়েযঃ “শরীয়তসম্মত পন্থায় ওয়ারিশদেরকে তাদের প্রাপ্যাংশ বুঝিয়ে দেয়া”। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি মারা গেলে তার সহায়-সম্পত্তি তার উত্তরাধিকারীগণের মধ্যে শরীয়তসম্মত পন্থায় বন্টন করার জ্ঞানই হল ইলমুল ফরায়েয।
এটি কি মানুষের তৈরী কোন শাস্ত্র?
না, বরং এটি এমন একটি শাস্ত্র যার উৎস হলো মহান আল্লাহ তা'আলার পবিত্র কালামে মাজিদ। পবিত্র কুরআনের সূরা নিসার ১১, ১২ এবং ১৭৬ নং আয়াত এবং এই প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদীসসমূহ ফরায়েযের উৎস দলীল।
ইলমুল ফরায়েয শিখার জন্য রাসূল (সঃ) অত্যাধিক গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
১) হযরত আবু হুরায়রা (রঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সঃ) বলেছেনঃ তোমরা ফরায়েয শিক্ষা কর, কেনানা এটা হলো জ্ঞানের অর্ধেক। (তিরমিযী)
আপনি একটু চিন্তা করুনতো, যেই শাত্রকে, যেই জ্ঞানকে স্বয়ং রাসূল (সঃ) জ্ঞানের অর্ধেক বলেছেন তার গুরুত্ব কতখানি হতে পারে?
২) হযরত আবু হুরায়রা (রঃ) আরেকটি হাদীস বর্ণনা করেছেন , রাসূল (সঃ) ইরশাদ করেনঃ তোমরা ফরায়েয ও কুরআন শিক্ষা কর এবং মানুষকে শিক্ষা প্রদান কর। কেননা আমাকে দুনিয়া থেকে তুলে নেয়া হবে। (ফাতহুল কাবীর)
রাসূল (সঃ) এখানে কুরআনের সাথে ফরায়েযের কথা উল্লেখ করেছেন। কুরআন শিখার গুরুত্ব আমরা সবাই জানি। ফরায়েয কিন্তু কুরআন থেকে আলাদা নয়। বরং ফরায়েযের উৎসই হল আল কুরআন থেকে। তাহলে এর গুরুত্ব অবশ্যই কম নয়।
৩) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রঃ) থেকে (مرفوع) সূত্রে বর্ণিত, রাসূল (সঃ) ইরশাদ করেনঃ তোমরা ফরায়েয ও কুরআন শিক্ষা কর এবং মানুষকে শিক্ষা প্রদান কর। কেননা আমাকে দুনিয়া থেকে তুলে নেয়া হবে। আর ফরায়েয সংক্রান্ত জ্ঞানকেও তুলে নেয়া হবে। এমনকি দু’জন ব্যক্তি সম্পত্তি বণ্টন নিয়ে ঝগড়া করবে; কিন্তু তারা তৃতীয় কাউকেও পাবে না, যে তাদের মাঝে মীমাংসা করে দেবে। (ফাতহুল বারী)
একজন বুদ্ধিমান মানুষের এই হাদীসের মর্মার্থ বুঝতে বেশি সময় লাগার কথা নয়৷ রাসূল (সঃ) ফরায়েয নিজে শিখতে এবং মানুষকে শিক্ষা দান করার আদেশ দিয়ে গেছেন। এবং তিনি বলছেন এই জ্ঞানকে তুলে নেয়া হবে। এবং এই জ্ঞানের অভাবেই সমাজে অশান্তি-বিশৃঙখলা দেখা দিবে।
আপনি দেখুনতো আজকে কি সম্পত্তি বন্টন নিয়ে পরিবারে, আত্নীয়-স্বজনদের মধ্যে অশান্তি, বিশৃঙ্খলা, মনোমালিন্য, সম্পর্কচ্ছেদ ইত্যাদি ঘটনা ঘটছে না? ঘটাই তো স্বাভাবিক কারণ আমাদের তো সেই জ্ঞান নেই যার মাধ্যমে এই অশান্তি-বিশৃঙ্খলা দূর করা সম্ভব।
৪) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সঃ) ইরশাদ করেন জ্ঞান হল তিন প্রকার। এছাড়া যা আছে তা অতিরিক্ত। ১) সুস্পষ্ট আয়াত তথা কুরআন, ২) প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত, ৩) ন্যায়পরায়ণ বণ্টন তথা ফরায়েয। (আবু দাউদ)
ভায়েরা, রাসূল (সঃ) কুরআন, হাদীস এবং ফরায়েয এই তিনটি বিষয়ের জ্ঞানকে অপরিহার্য বলেছেন এবং বাকি অন্যান্য জ্ঞান, শাস্ত্রকে তিনি অতিরিক্ত বলেছেন। এই হাদীসের মাধ্যমেও প্রমাণিত হয় যে ফরায়েয শিক্ষার গুরুত্ব কুরআন-হাদীসের চেয়ে কম নয়, কেননা এটি তো কুরআন-হাদীসেরই অংশ।
৫) হযরত আবু হুরায়রা (রঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সঃ) বলেছেনঃ তোমরা ফরায়েয শিক্ষা কর মানুষকে শিক্ষা প্রদান কর। কেনানা এটা হলো জ্ঞানের অর্ধেক। কেননা এটা ভুলে যাবে এবং এটাই হল প্রথম বস্তু যা আমার উম্মত থেকে সর্বপ্রথম ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। (ইবনে মাযাহ)
আল্লহু আকবার,
আপনারা কি এমন একটি বিষয়কে অবহেলা করছেন যা শিখা এবং অপরকে শিক্ষা প্রদানের আদেশ প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সঃ) দিয়ে গেছেন এবং একে জ্ঞানের অর্ধেক বলে আখ্যায়িত করেছেন?
দয়া করে আর অবহেলা করবেন না, এটাই মোক্ষম সময় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি শিক্ষা করার। কারণ আপনি যদি এখনই এই জ্ঞান হাসিল না করেন এবং ঐ সময়ে উপনীত হন যখন এই উম্মত থেকে ফরায়েয তথা জ্ঞানের অর্ধেক তুলে নেয়া হবে তখন আর সুযোগ থাকবে না।
আমি এই সিরিজে ফরায়েযের basic বিষয়গুলো থেকে শুরু করে মুনাসাখা কিভাবে করতে হয় সেই নিয়মগুলো নিয়ে আলোচনা করব ইন শা আল্লাহ। এবং আমি খুব সহজেই এটি আলোচনা করব যাতেকরে একজন মানুষ, যে এই বিষয়টির সাথে একদমই নতুন সেও যেন এটি বুঝতে পারে ইন শা আল্লাহ। প্রত্যেকটি বিষয় বিভিন্ন গ্রাফিক্স এবং উদাহরণের মাধ্যমে সাজানোর চেষ্টা করেছি যাতে বুঝতে একদমই অসুবিধা না হয়। যেই বিষয়গুলো একটু জটিল সেগুলোর জন্য পাওয়ারপেয়েন্ট স্লাইড তৈরী করেছি যাতে আমার বুঝাতে এবং আপনাদের বুঝতে সুবিধা হয়। সবশেষে আমি কয়েকটি ফরায়েয প্র্যাক্টিক্যালি করে আপনাদের দেখাব যাতেকরে আপনাদের আর কোন সমস্যা না থাকে।
যারা মাদ্রাসার আলিম শ্রেণির ছাত্র তাদের জন্য এটি হবে অত্যন্ত উপকারী কারণ তাদের সিলেবাসে এই বিষয়টি রয়েছে। যারা কওমি মাদ্রাসার ছাত্র তাদের সিলেবাসেও এটি রয়েছে। অতএব তাদের জন্যও এটি হবে অত্যন্ত উপকারী ইন শা আল্লাহ।
সর্বোপরি আপনি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হোন বা না হোন, আপনার জন্য ফরায়েয খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা হয়ত এতক্ষণে আপনিও বুঝতে পেরেছেন।
তাহলে এখন থেকে এই সিরিজের শেষ পর্যন্ত সাথে থাকার দাবী জানিয়ে আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আপনারা আমার জন্য দুয়া করবেন যাতে সফলতার সাথে এই কাজ সম্পন্ন করতে পারি।
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ
আমাদের ফেসবুক পেজের লিংকঃ
/ fast-arabic-115214480163537
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: