বিশ্বনবীর জীবনী l হযরত মুসা আঃ এর জীবনী – ইতিহাসের পাতায় বনি ইসরাইল। by Abu Taha Adnan 2023
Автор: AR SHAB OFFICIAL
Загружено: 2023-05-17
Просмотров: 113
Описание:
#waz_2023 #abu_taha_adnan #new_waz
বিশ্বনবীর জীবনী l Biography Of Prophet Mohammed l Abu Taha Adnan l Adnan Waz 2023
#বিশ্বনবীর_জীবনী # আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনান
#abu_toha_muhammad_adnan #abu_taha_adnan #adnan_waz #new_waz
#new_waz #waz_2023 #adnan_waz_2023
সময়কাল খ্রিষ্টপূর্ব ত্রয়োদশ শতাব্দী। তখনকার সময়ে প্রাচীন মিশরের রাজধানী ছিল পেন্টাটিউক, নীল নদের তীরে ছিল এই নগরী। এই নগরীর শেষ প্রান্তে বসবাস করত বনি ইসরাইল বংশের লোকেরা। এই নগরীর সম্রাট ছিল এক ফেরাউন, নাম – রামেসিস। ফেরাউন ছিল বনি ইসরাইল বংশের প্রতি বিদ্বেষ ভাবাপন্ন। কারণ- একবার কতিপয় গনক গননা করে তাকে জানায় বনি ইসরাইল বংশের কোন এক সন্তান মিশরের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। এতে ফেরাউন বিচলিত হয়ে উঠে। সে তার রাজ্যে ঘোষনা দিয়ে দেয়- বনি ইসরাইল বংশে যত সন্তান জন্ম গ্রহন করবে সবাইকে যেন হত্যা করা হয়।
তাই সেসময় ফেরাউনের গুপ্তচরেরা সন্তর্পণে ঘুরে বেড়াত। কেও জন্মগ্রহন করলেই তারা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করত।
হযরত মুসা আঃ এর জীবনী জানতে হলে তার জন্মের আগের ইতিহাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ঠিক এই সময়ই পিতা ইমরান আর মা ইউকাবাদের ঘর আলোকিত করে জন্মগ্ৰহণ করেন শিশু মুসা (আঃ)। জন্মের পরপরই তাঁর মা খুব বিচলিত হয়ে পড়েন। কোলের সন্তানকে বাঁচাতে বড় অস্থির হয়ে পড়েন । ধাত্রীকে কড়জোড় অনুরোধ করলেন সে যেন কাউকে কিচ্ছু না বলে।
হযরত মুসা আঃ এর জত্যির্ময় চেহারা দেখে ধাত্রীর অন্তর প্রবল মমতায় ভরে উঠলো । সে এ ব্যাপারে কাউকে কিছু বলবে না বলে মূসা আ এর মাকে নিশ্চিত করে ।
এভাবেই হযরত মুসা আঃ কে তাঁর মা তিন মাস গোপনে রাখলেন। লুকিয়ে লুকিয়ে তাকে লালন পালন করলেন। কিন্তু আর কতদিন? এই বুঝি ফেরাউনের রক্ষী বাহিনী এলো বলে। মায়ের মন সন্তানের নিরাপত্তার জন্য ক্রমশ ব্যাকুল হতে লাগলো। তখন আল্লাহ তায়ালা তাকে জানিয়ে দিলেন সে যেন একটি বাক্সে ভরে মুসা আঃ কে নদীতে ভাসিয়ে দেন । পবিত্র কুরআনে ব্যাপারটি এভাবে বর্ণিত হয়েছে,
وَ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلٰۤی اُمِّ مُوۡسٰۤی اَنۡ اَرۡضِعِیۡهِ ۚ فَاِذَا خِفۡتِ عَلَیۡهِ فَاَلۡقِیۡهِ فِی الۡیَمِّ وَ لَا تَخَافِیۡ وَ لَا تَحۡزَنِیۡ ۚ اِنَّا رَآدُّوۡهُ اِلَیۡکِ وَ جَاعِلُوۡهُ مِنَ الۡمُرۡسَلِیۡنَ
বাংলা অর্থঃ মূসার জননীর কাছে অহী পাঠালাম, [1] শিশুটিকে স্তন্যদান কর। যখন তুমি এর সম্পর্কে কোন আশংকা করবে, তখন একে (নীল) দরিয়ায় ভাসিয়ে দাও এবং ভয় করো না, দুঃখও করো না। [2] নিশ্চয় আমি একে তোমার নিকট ফিরিয়ে দেব [3] এবং একে একজন রসূল করব। (সূরা ক্বসাস , আয়াত ৭)
আল্লাহ তায়ালার উক্ত নির্দেশ অনুযায়ী তিনি কাঠের বাক্স বানিয়ে শিশু মুসা কে নদীতে ভাসিয়ে দেন। সেই কাঠের বাক্স ভাসতে ভাসতে ফেরাউনের প্রাসাদে গিয়ে ঠেকলো। কয়েকজন দাসী এসে তা তুলে নিয়ে ফেরাউন এবং তার স্ত্রী আসিয়া বিনতে মুজাহিম রাঃ এর সামনে পেশ করলো।
হযরত আছিয়া বাক্সটা খোলার পর হযরত মুসা কে দেখে অতি মুগ্ধ হলেন। তিনি নিজের ছেলে হিসেবে রাখতে চাইলেন তাঁকে। কিন্তু বিপত্তি বাঁধাল ফেরাউন। সে এঁকে হত্যা করতে চাইলো। তার মনে প্রবল সন্দেহ হলো — এ শিশুটি বনী ইসরাইলের কেউ হবে। হতে পারে এই সে-ই।
যার জন্য অসংখ্য শিশুকে সে হত্যা করেছে। কিন্তু হযরত আসিয়া বিনতে মুজাহিম রাঃ যুক্তি দিয়ে বললেন, ‘সে হয়ত আমাদের চক্ষের শীতলতা হবে। তাঁকে হত্যা করবেন না। আমরা তাকে আমাদের মত করে গড়ে নিব।’ ফেরাউন তার কথা মেনে নিল। হযরত মুসা আঃ এর শৈশবকাল
হযরত মুসা আঃ কে দুধপান করানো নিয়ে বেশ জটিলতায় পড়লেন আসিয়া রাঃ। ক’জন ধাত্রীকে আনা হলো অথচ সে কারো বুকেই মুখ লাগালো না। এসব ঘটনা প্রত্যক্ষ দেখছিলেন মূসা আঃ এর বোন মরিয়ম। সে বলল , ‘আমি একজন ধাত্রীর সন্ধান দিতে পারি। সে অতি যত্নের সাথে তাকে লালন করবে এবং আমি আশাবাদী সে তাঁর দুধ পান করবে।’
এই ঘটনাটি ইবনে আব্বাস রা এভাবে বর্ণনা করেন, মরিয়মের কাছ থেকে এ কথা শুনে ফেরাউনের লোকেদের মনে সন্দেহ জাগলো — এই মেয়েটি বোধহয় তাঁর মা বাবার খোঁজ জানে।
তখন তাকে প্রশ্ন করা হলো, তুমি জানো কি করে তোমার নির্ধারিত ধাত্রীই তাঁর উপযুক্ত হবে?
বিপত্তি বাঁধল কিছুদিন যাওয়ার পর। ফেরাউন মুসা আঃ কে কোলে নিলেন। তখন মূসা আঃ তার গালে প্রচণ্ড জোরে চড় বসালেন। কোন কোন বর্ণনায় আছে, তিনি ছড়ি দিয়ে খেলছিলেন। ফেরাউন কাছে যেতেই তিনি মাথায় আঘাত করে বসলেন।
এই ঘটনায় ফেরাউন বেশ চটে যায়। সে মূসা আঃ কে হত্যা করতে চাইলো। তবে আসিয়া রাঃ বুঝালেন, এটা নিতান্তই শিশুসুলভ আচরণ । আপনি তাকে পরিক্ষা করে দেখতে পারেন।
আসিয়া রাঃ এর কথামত পরীক্ষার আয়োজন করা হলো । এক পাত্রে মণিমুক্তা আরেকপাত্রে আগুনের অঙ্গার । মূসা আঃ কে ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি মণিমুক্তার দিকে গেলেও জিবরাঈল আঃ তাঁকে অঙ্গারের দিকে ঘুরিয়ে দিলেন।
তিনি অঙ্গার হাতে স্পর্শ করে মুখে দিতেই মুখ পুড়ে গেল ।সেই থেকে শুরু হলো তাঁর মুখের জড়তা ।অধিকাংশ তাফসিরবিদগণ এভাবেই বর্ণনা করেছেন।
হযরত মুসা আঃ এর জীবনী এর এই অংশটিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই পাঠকদের জন্য তুলে ধরলাম।
হযরত মুসা আঃ তাঁর জীবনের দীর্ঘ সময় ফেরাউনের প্রাসাদে কাটিয়েছেন। শৈশবে মুখ পুড়ে যাওয়ার কারণে তাঁর মুখে জড়তা সৃষ্টি হয়। অথচ নবুয়তের কাজ আঞ্জাম দেওয়ার জন্য বিশুদ্ধভাষী হওয়া জরুরী।
তাই তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানালেন, ‘হে আমার পালনকর্তা আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন এবং আমার কাজ সহজ করে দিন এবং আমার জিহবা থেকে জড়তা দূর করে দিন। যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে। এবং আমার পরিবারবর্গের মধ্য থেকে আমার একজন সাহায্যকারী করে দিন। আমার ভাই হারুনকে।
তার মাধ্যমে আমার কোমর মজবুত করুন। এবং তাকে আমার কাজে অংশীদার করুন । যাতে আমরা বেশী করে আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করতে পারি।এবং বেশী পরিমাণে আপনাকে স্মরণ করতে পারি।আপনি তো আমাদের অবস্থা সবই দেখছেন।’ (সূরা ত্বহা , আয়াত ২৬-৩৬)
• বিশ্বনবীর জীবনী l হযরত মুসা আঃ এর জীবনী –... • বিশ্বনবীর জীবনী l হযরত মুসা আঃ এর জীবনী –...
FB:_https://www.facebook.com/
IG:-https://www.instagram.com/
Thank you 😊👍✔
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: