❤️সুমধুর কন্ঠে তেলাওয়াত সূরা আল কাফিরুন ও বাংলা অনুবাদ সহ। Surah Al-Kafirun with Bangla translation
Автор: চলো সূরা শিখি
Загружено: 2022-09-06
Просмотров: 5768
Описание:
🎤 তেলাওয়াতে: ক্বারি মোহাম্মদ জিবরীল।
🎤 বাংলা অনুবাদ: বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
📽️ Editing and more: চলো সূরা শিখি।
সূরা আল কাফিরুন এর তাফসীর (১-৬)
সহীহ মুসলিমে হযরত জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)। তাওয়াফের পর দুই রাকআত নামাযে এই সূরা এবং (আরবি) সূরা পাঠ করতেন। সহীহ মুসলিমেই হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) ফজরের দুই রাকআত সুন্নত নামাযেও এ সূরা দুটি পাঠ করতেন। মুসনাদে আহমদে হযরত ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) ফজরের পূর্বের দুই রাকআতে এবং মাগিরিবের পরের দুই রাকআ’তে (আরবি) এই সূরা দুইটি বিশেরও অধিকবার অথবা দশেরও অধিকবার পাঠ করতেন।মুসনাদে আহমদে হযরত ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “আমি ফজরের দুই রাকআত সুন্নাত নামাযে এবং মাগরিবের দুই রাকআত সুন্নাত নামাযে রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে (আরবি) এবং এই সূরা দুটি চব্বিশ বার অথবা পঁচিশবার পড়তে দেখেছি। মুসনাদে আহমদেরই অন্য এক রিওয়াইয়াতে হযরত ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে এক মাস ধরে ফজরের পূর্বের দুই রাকআত নামাযে এবং মাগরিবের পরের দুই রাকআতে নামাযে (আরবি) এ সূরা দু'টি পাঠ করতে দেখেছেন। (এ হাদীসটি জামে তিরমিযী, সুনানে ইবনে মাজাহ এবং সুনানে নাসায়ীতেও রয়েছে। ইমাম তিরমিযী (রঃ) এটাকে হাসান বলেছেন)এই সূরাটি যে কুরআনের এক চতুর্থাংশের সমতুল্য এ বর্ণনাটি ইতিপূর্বে গত হয়েছে। (আরবি) সূরাটিও একই বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন।মুসনাদে আহমদে হযরত নওফিল ইবনে মুআবিয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন যে, তাঁকে (তাঁর পিতাকে) রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “যয়নব (রাঃ) কে তুমি তোমার কাছে নিয়ে প্রতিপালন কর।” নওফিলের (রাঃ) পিতা এক সময়ে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট আগমন করলে তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেনঃ “মেয়েটি সম্পর্কে তুমি কি করেছো?” উত্তরে তিনি বললেনঃ “আমি তাকে তার মায়ের কাছে রেখে এসেছি।” রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ “কেন রেখে এসেছো?” তিনি (নওফিল (রাঃ)-এর পিতা মুআবিয়া উত্তরে বললেনঃ “শয়নের পূর্বে পড়ার জন্যে আপনার কাছে কিছু ওয়াযীফা শিখতে এসেছি।” রাসূলুল্লাহ তখন বললেনঃ (আরবি) পাঠ করো, এতে শিরক থেকে মুক্তি লাভ করা যাবে।' হযরত জিবিল্লাহ ইবনে হা'রিসাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম (সঃ) বলেছেনঃ “যখন তুমি বিছানায় শয়ন করতে যাবে তখন। সূরাটি শেষ পর্যন্ত পাঠ করবে। কেননা, এটা হলো শিরক হতে মুক্তি লাভের উপায়।” (এ হাদীসটি ইমাম আবুল কাসিম তিবরানী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)আবদুর রহমান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) যখন বিছানায় শয়ন করতে যেতেন তখন (আরবি) সূরাটি শেষ পর্যন্ত পাঠ করতেন। (এ হাদীসটিও ইমাম তিবরানী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত হারিস ইবনে জিবিল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেনঃ “আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমাকে এমন কিছু শিখিয়ে দিন যা আমি ঘুমোবার সময় পাঠ করবো।” তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “যখন তুমি বিছানায় ঘুমোতে যাবে তখন (আরবি) পাঠ করবে। কেননা, এটা শিরক হতে মুক্তি লাভের উপায়।' (এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে ভাল জানেন)১-৬ নং আয়াতের তাফসীরএই মুবারক সূরায় আল্লাহ তা'আলা মুশরিকদের আমলের প্রতি তাঁর অসন্তুষ্টির কথা ঘোষণা করেছেন এবং একনিষ্ঠভাবে তাঁরই ইবাদত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এখানে মক্কার কুরায়েশদেরকে সম্বোধন করা হলেও পৃথিবীর সমস্ত কাফিরকে এই সম্বোধনের আওতায় আনা হয়েছে। এই সূরার শানে নুযূল এই যে, কাফিররা রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে বললোঃ “এক বছর আপনি আমাদের মাবুদ প্রতিমাগুলোর ইবাদত করুন, পরবর্তী বছর আমরাও এক আল্লাহর ইবাদত করবো।” তাদের এই প্রস্তাবের জবাবে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা এ সূরা নাযিল করেন। আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবী (সঃ) কে আদেশ করছেনঃ তুমি বলে দাওঃ হে কাফিরগণ! না আমি তোমাদের উপাস্যদের উপাসনা করি, না তোমরা আমার মাবুদের উপাসনা কর। আর না আমি তোমাদের উপাস্যদেরকে উপাসনা করবো, তোমরা আমার মাবুদের উপাসনা করবে। অর্থাৎ আমি শুধু আমার মায়ূদের পছন্দনীয় পদ্ধতি অনুযায়ী তাঁরই উপাসনা করবো, তোমাদের পদ্ধতি তো তোমরা নির্ধারণ করে নিয়েছে। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ (আরবি)অর্থাৎ তারা শুধু মনগড়া বিশ্বাস এবং খাহেশাতে নাফসানী বা কুপ্রবৃত্তির পিছনে পড়ে রয়েছে, অথচ তাদের কাছে তাদের প্রতিপালকের হিদায়াত বা পথ। নির্দেশ পৌছে গেছে।” (৫৩:২৩) অতএব, রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাদের সংস্পর্শ হতে নিজেকে সর্বপ্রকারে মুক্ত করে নিয়েছেন এবং তাদের উপাসনা পদ্ধতি ও উপাস্যদের প্রতি সর্বাত্মক অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। লক্ষ্যণীয় যে, প্রত্যেক ইবাদতকারীরই মাবুদ বা উপাস্য থাকবে এবং উপাসনার পদ্ধতি থাকবে। রাসূলুল্লাহ (সঃ) এবং তাঁর উম্মত শুধু আল্লাহ তা'আলারই ইবাদত বা উপাসনা করেন। নবী করীমের (সঃ) অনুসারীরা তাঁরই শিক্ষা অনুযায়ী ইবাদত করে থাকে। এ কারণেই ঈমানের মূলমন্ত্র হলোঃ , (আরবি) অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই। এবং মুহাম্মদ (সঃ) তাঁর রাসূল।” পক্ষান্তরে কাফির মুশরিকদের উপাস্য বা মাবুদ আল্লাহ ছাড়া ভিন্ন, তাদের উপাসনার পদ্ধতিও ভিন্ন ধরনের। আল্লাহর নির্দেশিত পদ্ধতির সাথে তাদের কোনই সম্পর্ক নেই। এজন্যেই আল্লাহ তা'আলা স্বীয় নবী (সঃ) কে নির্দেশ দিয়েছেন যে, তিনি যেন কাফিরদেরকে জানিয়ে দেনঃ তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীন এবং আমার জন্যে আমার দ্বীন। যেমন আল্লাহ তা'আলা অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “হে নবী (সঃ) যদি তারা তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে তবে তাদেরকে বলে দাওঃ আমার আমল আমার জন্যে এবং তোমাদের আমল তোমাদের জন্যে, আমি যে আমল করি তা হতে তোমরা মুক্ত এবং তোমরা যে আমল কর তা হতে ক্ত।” (১০:৪১) আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা আরো বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “আমাদের কর্ম আমাদের জন্যে এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের জন্যে।” (৪২:১৫) অর্থাৎ আমাদের কর্মের জন্যে তোমাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে না এবং তোমাদের কর্মের জন্যে আমাদেরকেও জবাবদিহি করতে হবে না।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: